- ১। প্রচুর ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াঃএ ঘাটতি পুরনের জন্য অবশ্যই সর্ব প্রথম খাবার তালিকায় যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালসিয়াম ভরপুর খাবার থাকতে হবে। যেমন- * দুধ একটি ভাল উৎস এজন্য দুধ, দুগ্ধজাত খাবার যেমন, দই, মাখন , মাঠা , ছানা ইত্যাদি। * সবুজ শাক সবজিঃ পালং শাক, ডাঁটা শাক, মেথি শাক, বরবটি, ব্রকলি ও অন্যান্য। * ডালঃ মুগ ডাল, মসুর ডাল, ছোলা, খেসারী ও অড়হরের ডাল প্রভৃতি। * ফলঃ কমলা লেবু, বাদাম, শিমের বিচি, কাঠ বাদাম, তিল ইত্যাদি।
- ২। নিয়মিত সকালে হাঁটার অভ্যাস করাঃ ভিটামিন ডি শরীরের ক্যালসিয়াম গ্রহণ ও সঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। দৈনিক সকালে সূর্যালোকে ১০-১৫ মিনিটের জন্য হলেও শরীরে রোদ লাগিয়ে হাঁটা খুবই ভালো অভ্যাস। তবে প্রচন্ড রোদ এড়িয়ে চলা উচিৎ তাতে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
- ৩। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহনঃ যেহেতু ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম ধরে রাখতে সাহায্য করে তাই ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিৎ প্রচুর পরিমাণে। ডিমের কুসুম, মাছ, ডিম, মাশরুম, গাভীর দুধ প্রভৃতি ভিটামিন ডি এর পরিচিত উৎস।
- ৪। ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াঃ ম্যাগনেসিয়াম অপর একটি পুষ্টি উপাদান যা শরীরের ক্যালসিয়ামের ভারসম্য বজায় রাখা ও গুরুত্বপুর্ন কাজে সহায়তা করে। ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম সংযুক্ত যৌগ হিসেবে কোষে অবস্থান করে তাই এর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। পালং শাক, বীট কপি শাক, ধুন্দল, ঝিঙে, শসা, সরিষা শাক, মোটর ডাল, কলাই, কুমড়ো বিচি, শিমের বিচি ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে।
- ৫। কোমল পানীয় বর্জনঃ যে কোন ধরনের কোমল পানীয় সেটা চিনি যুক্ত বা চিনি বিহীন হোক না কেন, তা শরীরের ক্যালসিয়াম ধারন ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে। কোমল পানীয় রক্তে ফসফেটের মাত্রা বৃদ্ধি করে যা শরীর থেকে ক্যালসিয়াম বের করে দেয়। তাই সব ধরনের কোমল পানীয় বর্জন করা আবশ্যক।
- ৬। অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ থেকে বিরত থাকাঃ আধুনিক জীবন যাত্রায় প্রতিদিন এক কাপ কড়া কফির সঙ্গে সকাল শুরু করা একটি প্রচলিত অভ্যাসে দাড়িয়ে গেছে। কিন্তু আপনি যদি ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে ভুগে থাকেন তবে অবশ্যই কফি পানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। * চা, কফিতে থাকা ক্যাফেইন হাড়ের ক্যালসিয়াম বিশ্লিষ্ট হতে প্রভাবিত করে। * দৈনিক ৪ কাপের বেশি কফি পান করলে হাড় ও দাঁতের খতের সম্ভাবনা বেড়ে যায় প্রচুর পরিমাণে। * ২ কাপের অধিক কফি পান একেবারেই নিষিদ্ধ এবং সন্ধার পর একেবারেই নয়। * ক্যাফেইন বিহীন গ্রীন টি পান করা যেতে পারে পরিমিত।
- ৭। অধিক লবণ খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবেঃ খাবারে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া বা কাঁচা লবণ খাওয়ার অব্যাস খুবই ক্ষতিকর। লবনে থাকা সোডিয়াম শরীরের ক্যালসিয়াম ভেঙ্গে ফেলে এবং তা বর্জ্য হিসেবে বের করে দেয়। হাড়ের ও দাঁতে জমে থাকা ক্যালসিয়াম স্তরেও খতিসাধন করে অতিরিক্ত লবণ। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে শরীরের সকল পুষ্টি উপাদানের ধারন ক্ষমতা ও ভারসম্যতায় আসে পরিবর্তন। তাই শরীরের শক্তিমত্তা ও স্বাভাবিক সুস্থ্যতা ধরে রাখতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার নিয়ম অনুযায়ী পরিমিত পরিমাণে দৈনিক গ্রহণ করা আবশ্যক। তবে হঠাৎ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট গ্রহণ করা যেতে পারে।
রয়াল বাংলা ডেস্ক |
শরীরের ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধির উপায় |
ক্যালসিয়াম |
- royalbangla.com এ আপনার লেখা বা মতামত বা পরামর্শ পাঠাতে পারেন এই এ্যড্রেসে [email protected]
পরবর্তী পোস্ট |
ইউরিন ইনফেকশন: কারণ ও প্রতিরোধের উপায় |