-
অনেক বাবা মা তার শিশুদের মোটা হওয়ার কথা বিশ্বাস করতে পারেন না। অন্য শিশুদের মোটা বললেও নিজের বাচ্চার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যটা একটু ভালো বা বেবি ফ্যাট এর অজুহাত দিতে দেখা যায়। এভাবে আমরা আমাদের শিশুদের অপরিনত বয়সে ডায়াবেটিস আর হৃদরোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছি। ছোট থেকেই সঠিক খাদ্যাভ্যাস আর নিয়ন্ত্রিত জীবন এর শিক্ষা দিতে পারলে আমরা অবশ্যই ভবিষ্যত প্রজন্মের সুস্বাথ্য নিশ্চিত করতে পারব। আজকালকার অনেক শিশুরাই মাছ আর সবজি খেতে চায় না। চিকেন ফ্রাই আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর উপরই তিন বেলার মধ্যে দু বেলার খাবার চলে। দেশি বা বিদেশি ফলেও অনেকের অনিহা দেখা যায়। শিশুদের খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করতে পারেনঃ
-
এক
পাঁচ ছয় মাস বয়সে যখন শক্ত খাবার শুরু করা হয় তখন থেকেই খিচুড়ি বা ভাতের সাথে বিভিন্ন সবজি আর মাছ দিয়ে দিন। তাতে পছন্দ অপছন্দ গড়ে ওঠার আগেই শিশু এসব খাবারের স্বাদ আর গন্ধের সাথে পরিচিত হবে।
-
দুই
পেট খারাপ হবে এই ভয়ে বা ঝামেলা এড়ানোর জন্য অনেক বাবা মা এক বছরের কম বয়সী শিশুদের শুধু চাল ডালের খিচুড়ি বা দুধ/সুজি খাওয়ান। এটা একদমই ঠিক নয়। এতে শিশুর ভিটামিন আর মিনারেলের ঘাটতি তৈরি হয় । বিভিন্ন সব্জি আর মাছের স্বাদ এর সাথেও পরিচিত হতে পারে না।
-
তিন
ছয় মাস বয়স থেকেই প্রতি সপ্তাহে একটি নতুন খাবার সেটা ফল হোক সবজি হোক আর মাছ/মুরগি হোক শিশুকে খাওয়ান। পুরো সপ্তাহ খেয়াল রাখুন যে নতুন খাবার শিশুর কোন সমস্যা করছে কিন। যদি না করে তাহলে সেই নতুন খাবার খেতে ভবিষ্যতে আর কোন বাধা নেই।
-
চার
ছয় মাস বয়স থেকেই মধ্যবর্তী নাস্তা হিসাবে কলা/আপেল/পেয়ারা ইত্যাদি ফল খাওয়ানো উচিত।
ফরমালিন এর ভয়ে আমরা আর কতকাল ফল থেকে দূরে থাকবো জানি না। তবে ঠান্ডা কাশি আর ছোঁয়াচে রোগ প্রতিরোধ করতে ফলের ভুমিকা অনেক। সবজি/শাক মজাদার করে রান্না না করাও শিশুদের সবজি অনিহার কারন।
সর্বশেষ বলা যায় নিচের পাঁচটি বিষয়ে আপনাকে সচেতন হতে হবে।
-
ক
ছোটবেলা থেকেই সবজি খাওয়ানোর অভ্যাস করান
-
খ
মাংসের চেয়ে মাছের উপর জোর দিন
-
গ
ফাস্টফুড বর্জন করুন
-
ঘ
ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন
-
ঙ
খেলাধুলার সুযোগ তৈরি করুন
ধন্যবাদ
ডায়েটিশিয়ান ফারজানা
চেম্বারঃ ১৯ একে কমপ্লেক্স, গ্রীন রোড (সেন্ট্রাল হস্পিটালের বিপরীতে), ঢাকা। এপয়েন্টমেন্টঃ ০১৭১-৭২৩৭৭২২