-
কিটোজেনিক বা কিটো ডায়েট কি? ওজন কমানোর জন্য চাইলেই কি যে কেউ এ জাতীয় ডায়েট ফলো করতে পারবে!
কিটোজেনিক বা কিটো ডায়েট সাধারণত শরীরের বাড়তি ওজন দ্রুত কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এই ডায়েটে শর্করার পরিমাণ খুবই কম থাকে বা পুরোপুরি ভাবে শর্করা বাদ দেওয়া হয় এই ধরনের চার্ট থেকে। কিটোজেনিক ডায়েটে মূলত লো - কার্ব, উচ্চ ফ্যাট আর প্রোটিন যুক্ত খাবার গুলো রাখা হয়
কিটোজেনিক ডায়েট কয়েক ধরনের হয়ে থাকে -
স্ট্যান্ডার্ড কিটোজেনিক ডায়েট (SKD): এই জাতীয় কিটো ডায়েটে শুধুমাত্র ৫% কার্বোহাইড্রেট রাখা হয় বাকি ৭৫% ফ্যাট আর ২০% প্রোটিন রাখা হয়।
Cyclical ketogenic diet (CKD): সপ্তাহের ৪ থেকে ৫ দিন একেবারে কম কার্বোহাইড্রেট, বাকি ১ থেকে ২ দিন বেশি কার্বোহাইড্রেট থাকে এই জাতীয় ডায়েটে।
Targeted ketogenic diet (TKD): এই ডায়েটে শারিরীক পরিশ্রমের উপর ভিত্তি করে খাদ্যতালিকায় শর্করা থাকবে কিনা বা কতোটা থাকবে তা বিবেচনা করা হয়।
High-protein ketogenic diet: এই জাতীয় ডায়েটে ৩৫% প্রোটিন রাখা হয়, বাকি ৬০% ফ্যাট এবং সামান্য কার্বোহাইড্রেট রাখা হয়
কিটো ডায়েটে মূলত যেসব খাবারগুলো রাখা হয় - ডিম, মাখন, ক্রিম, পনির, দই, মাছ, কম ক্যালরিযুক্ত শাক-সবজি।যেমন- লাউ, ফুলকপি, ব্রোকলী, লাল-সবুজ শাক, বাদাম ও বিভিন্ন ফলের বীজ। তেল হিসেবে থাকে অলিভ অয়েল, সূর্যমুখী তেল। ফলের মধ্যে জলপাই, আভোকাডো, স্ট্রবেরি, লেবুর মতো ফল।
কিটোজেনিক ডায়েটে রেস্ট্রিক্টেড খাবার- মিষ্টি বা চিনি এবং এগুলো দিয়ে বানানো খাবার। শর্করা জাতীয় খাবার - ভাত, পাস্তা, নুডলস , আলু, মিষ্টিকুমড়া, গাজর এই জাতীয় খাবারগুলো কিটোজেনিক ডায়েট থেকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয় বা খুবই সামান্য রাখা হয় ।
চাইলেই কি ওজন কমানোর জন্য কিটো ডায়েট করা যাবে ?
কিটোজেনিক ডায়েট মূলত কিছু বিশেষ রোগে দেওয়া হয় , যেমন : এপিলেপ্সি ( মৃগী রোগের বিশেষ অবস্থায় ) বা কখনো কিছু বিশেষ যেমন - হৃদরোগ, ক্যান্সার, Alzheimer's Disease, প্রকট ব্রণের সমস্যায়,Polycystic ovary Syndrome ( PCOS), Brain injuries এসব বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে দেওয়া যেতে পারেন।
দীর্ঘদিন কিটো ডায়েট ফলো করার ফলে চুল পড়ে যাওয়া, স্কিন ডিজিজ, মাথা ব্যাথা/ মাইগ্রেন এর প্রব্লেম দেখা যায়। বিশেষ করে যদি কোন রোগ থাকার পরেও কেউ কিটো ডায়েট ফলো করেন তাদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হতে পারে এ পদ্ধতি।
কিটো ডায়েটের রেসাল্ট অনেক দ্রুত পাওয়া যায়, শুরুর দিকে ওজন খুব দ্রুত কমানো গেলেও পরবর্তী সময়ে কিটো ডায়েট ছেড়ে দিলে অনেকের ক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কিটো ডায়েটের ফলে লো ব্লাড প্রেশার , কিডনি স্টোন, কোষ্ঠকাঠিন্য ও হূদেরাগের ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।
তবে দ্রুত ওজন কমায় বলে আজ-কাল এ জাতীয় ডায়েট ফলো করার আগ্রহ সবার মাঝে। কিন্তু শরীরেই কন্ডিশন না বুঝে হঠাৎ করেই যে কেউ কিটোজেনিক ডায়েট করবেন না,এতে করে হিতে-বিপরীত হতে পারে। আর অবশ্যই এক্সপার্ট বা নিউট্রিশনিস্ট এর পরামর্শ ছাড়া এমন ডায়েট চার্ট/খাদ্য তালিকা অনুসরণ আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ধন্যবাদ
নিউট্রিশনিস্ট সাদিয়া স্মৃতি
চেম্বার এড্রেস এবং সময়
চেম্বার-1
মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস।
রবিবার এবং বুধবার ( সকাল ১০.৩০-১.৩০) ৬/৯, আউটার সার্কুলার রোড, মালিবাগ মোড়, ঢাকা। এপয়েন্টমেন্ট ও সিরিয়াল - 01558998823 ( সকাল ১০ টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত সিরিয়াল নেয়া হয়, প্রত্যেক চেম্বারের জন্য)
চেম্বার: 2
ডক্টর সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
রোগী দেখবার সময়- বিকাল ৫.৩০টা- রাত ৮টা ( প্রতি সোমবার) For Appointment - 01558998823
![]() |
Nutritionist Sadiya Smreety |
কিটো ডায়েট কি ? কার জন্য প্রযোজ্য ? |
কিটো ডায়েট |
- royalbangla.com এ আপনার লেখা বা মতামত বা পরামর্শ পাঠাতে পারেন এই এ্যড্রেসে [email protected]
পরবর্তী পোস্ট |
গর্ভাবস্থায় ভুলে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি (পিল) খেলে কী কোন সমস্যা হতে পারে? |