-
ইসবগুলের ভুষি পরিপাকতন্ত্রে যাবার পর নিজের সাথে পানি শোষণ করে ধরে রাখে। কিন্তু নিজে মানুষের শরীরে শুষিত হয় না। ফলে নিজের সাথে পানি নিয়ে ফুলে পায়খানার সাথে বাইরে বের হয়ে আসে। পায়খানা নরম করে। পায়খানার পরিমান বাড়ায়। কিন্তু আমাদের শরীরে এর কোন পুষ্টিগুণ নেই।
এটা কি কাজ করে
-
এক
পরিপাকতন্ত্র থেকে পানি গ্রহণ করে পায়খানা নরম রাখে।
-
দুই
পায়খানাটা সহজ করে।
-
তিন
মলের পরিমাণটা বাড়ায়।
-
চার
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
-
পাঁচ
কোষ্ঠকাঠিন্য সম্পর্কিত যে রোগ (পাইলস, ফিসার, colorectal cancer) তার ঝূকি কমায়।
-
ছয়
সঙ্কুচিত মলদ্বার প্রসারিত করতে সাহায্য করে।
খাবার নিয়ম
-
ক
রাতে ও সকালে ২ মুঠ ঈশপ গুলের ভুষি পানিতে লেবুর শরবত অথবা দুধ অথবা ফলের রসের সাথে ভিজিয়ে সাথে সাথে খাবেন।
-
খ
তবে যদি একবেলা খান তাহলে সেটা সকাল বেলা খাবেন।
-
গ
দুইবেলা খেলে সকালে ও সন্ধ্যাবেলা খাবেন।
-
ঘ
একদম ঘুমের আগে অথবা বিছানায় যাবার পূর্বে খাবেন না।
-
ঙ
খাবার পর যথেষ্ট পরিমানে পানি খাবেন
কেন ভিজিয়ে রাখবেন না ?
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইসবগুলের ভুষি রাতে ভিজিয়ে দিনে খান অথবা দিনে ভিজিয়ে রাতে খান। এটা ঠিক না। ভিজিয়ে সাথে সাথে খাবেন। না হলে এটা বাহির থেকে পানি শোষণ করে আগেই ফুলে যাবে।
রাতে খাবেন না সকালে ?
এটা খুবই সাধারন একটা প্রশ্ন। আমরা প্রায় প্রায়ই এই ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হই যে এটা কখন খাব? রাতে না দিনে? খাবার আগে না পরে? তার আগে আমাদের জানতে হবে এটা কিভাবে কাজ করে? সাধারনত ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার পর যথেষ্ট পরিমানে পানি খেতে হয়। আর রাতে ঘুমানোর আগে খেলে সারা রাত পানি খাওয়া হয় না। ফলে পায়খানা আরও শক্ত হওয়ার প্রবনতা থাকে। তাই একবেলা খেলে সেটা দিনের বেলা সকালে খাওয়াই ভালো। সারাদিন কিছু না কিছু পানি খাওয়া হবে। পায়খানা নরম থাকবে। আর রাতে খেলে সন্ধ্যা বেলা খাবেন। তাহলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যথেষ্ট পরিমানে পানি খাওয়া যাবে।
খালি পেটে খাবেন না ভরা পেটে
এটাও খুবই commonly asked question. রোগীরা সবসময়ই জিজ্ঞাসা করে। এক্ষেত্রে উত্তরটা হবে আপনার সুবিধামত খাবেন। খালি পেট বা ভরা পেট কোন বিষয় না।
শুধু কি পানির সাথে খাবো ?
এটাও খুবই commonly asked question. অনেকেই বলে খেতে ভালো লাগে না। খুবই কষ্টকর। স্বাদ ভালো না। তবে এক্ষেত্রে আপনার সুবিধামত সুস্বাদু করে খেতে পারেন। তাই ভুষিটাকে আপনি পানির সাথে অথবা লেবুর শরবত অথবা দুধ অথবা হরলিক্স অথবা চিনি অথবা গুঁড় অথবা ফলের রসের সাথে ভিজিয়ে খেতে পারবেন। যেভাবে আপনার ভালো লাগে।
অনেকের ধারনা ইসবগুলের ভুষি খেলে পাতলা পায়খানা হতে পারে। কিন্তু ইসবগুল একই সাথে ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দুটিই প্রতিরোধ করতে সক্ষম। তাই ইসবগুলের ভুষির সাথে পাতলা পায়খানার খুব একটা সম্পর্ক নাই।
কোনটা খাবো
অনেকের একটা common প্রশ্ন থাকে কোনটা খাবো? খোলাটা নাকি প্যাকেটজাত ইসবগুল?
-
এক
যে কোনটাই খেতে পারেন সেটা যদি নষ্ট ও ভেজাল না হয়।
-
দুই
তবে প্যাকেটজাত কৃত্রিম স্বাদের ইসবগুলের ভুষির চেয়ে সাধারন ইসবগুলই ভালো।
-
তিন
তাছাড়া সাধারণ ইসবগুলের ভুষি দামেও সস্তা।
কতোটুকু কয়বার খাবো ?
-
ক
এটা নির্ভর করবে কি উদ্দেশ্যে খাচ্ছেন এবং আপনার ক্ষেত্রে response কেমন।
-
খ
তবে সাধারনত রাতে ও সকালে ২ মুঠ করে ২ বার খেতে বলা হয়।
-
গ
অনেকে ২ চামচ করে খেতে পারেন।
-
ঘ
যার রেসপন্স ভালো একবেলা ও খেতে পারে। সুতরাং ইসবগুল সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনা ত্যাগ করে এটি নিয়মিত ও প্রয়োজনমত গ্রহন করা যেতে পারে।
ধন্যবাদ
Colorectal Care Dr. Md Ashek Mahmud Ferdaus
FCPS(surgery) FISCP(India)
Ms(Colorectal Surgery)
Bangabandhu Sheikh Mujib Medical Univarsity
Chamber: নেক্সাস হাসপাতাল-ঢাকা রোড - ময়মনসিংহ
Contact:01796586561
Colorectal Care Dr. Md Ashek Mahmud Ferdaus |
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম |
ইসবগুল |
- royalbangla.com এ আপনার লেখা বা মতামত বা পরামর্শ পাঠাতে পারেন এই এ্যড্রেসে [email protected]
পরবর্তী পোস্ট |
ইউরিন ইনফেকশন: কারণ ও প্রতিরোধের উপায় |