ডিপ্রেশন (Depression) এবং প্রেগন্যান্সি (Pregnancy) দুটি আলাদা বিষয়, তবে এদের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়। গর্ভাবস্থায় মেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন, কারণ এই সময়ে ডিপ্রেশন বা অন্যান্য মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিচে ডিপ্রেশন এবং প্রেগন্যান্সির মধ্যে সম্পর্ক ও প্রভাব নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:
১. প্রেগন্যান্সিতে ডিপ্রেশনের কারণ
** হরমোনাল পরিবর্তন
গর্ভাবস্থায় শরীরে হরমোনের মাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন হয়, যা মেজাজের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
** শারীরিক ও মানসিক চাপ
গর্ভাবস্থায় শারীরিক অস্বস্তি, বমি, ক্লান্তি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা ডিপ্রেশন ট্রিগার করতে পারে।
** পারিবারিক বা সামাজিক চাপ পরিবার বা সমাজ থেকে অতিরিক্ত চাপ, যেমন জেন্ডার ভিত্তিক প্রত্যাশা বা আর্থিক সমস্যা ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে।
** পূর্বের মানসিক সমস্যা
যাদের আগে থেকেই ডিপ্রেশন বা অন্যান্য মানসিক সমস্যা আছে, তাদের গর্ভাবস্থায় ডিপ্রেশন হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
২. ডিপ্রেশনের লক্ষণ
- অবসাদ বা দুর্বলতা অনুভব
- ঘুমের সমস্যা (অতিরিক্ত ঘুম বা অনিদ্রা)
- খাবারে অনীহা বা অতিরিক্ত খাওয়া
- মনোযোগের অভাব
- অকারণে কান্না বা দুঃখবোধ
- আত্মহত্যার চিন্তা
৩. ডিপ্রেশনের প্রভাব
মায়ের উপর:
ডিপ্রেশন মায়ের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি গর্ভাবস্থায় জটিলতা বাড়াতে পারে, যেমন উচ্চ রক্তচাপ বা প্রি-এক্লাম্পসিয়া।
শিশুর উপর:
গর্ভাবস্থায় ডিপ্রেশন শিশুর বিকাশে প্রভাব ফেলতে পারে। এটি প্রিম্যাচিউর বার্থ, কম ওজন বা শিশুর মানসিক বিকাশে বাধার কারণ হতে পারে।
৪. চিকিৎসা ও সমাধান
ক). কাউন্সেলিং
সাইকোথেরাপি বা কাউন্সেলিং ডিপ্রেশন মোকাবিলায় সাহায্য করতে পারে।
খ) ওষুধ
কিছু অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ গর্ভাবস্থায় নিরাপদ, তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।
গ) লাইফস্টাইল পরিবর্তন
নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত ঘুম ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে।
ঘ)সামাজিক সহায়তা
পরিবার ও বন্ধুদের কাছ থেকে মানসিক সমর্থন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৫. কখন ডাক্তার দেখাবেন
- যদি ডিপ্রেশনের লক্ষণগুলি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়।
- যদি দৈনন্দিন কাজকর্মে সমস্যা হয়।
- যদি আত্মহত্যার চিন্তা মাথায় আসে।
গর্ভাবস্থায় ডিপ্রেশন একটি সাধারণ সমস্যা, তবে সঠিক চিকিৎসা ও যত্নের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। গর্ভবতী মহিলাদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া উচিত।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/Rumas-Ultrasound-109856337478413
লেখিকা
ডাঃ সরওয়াত আফরিনা আক্তার (রুমা)
MBBS,MSc(Australia),FCGP,CMU,DMU, Advanced Training on TVS,Fetal Echo,Anomaly Scan,Paediatric Ultrasound,Musculoskeletal Ultrasound, Duplex Doppler,Infertility & Gynae Ultrasound,From Dhaka,Mumbai, Channai, Delhi, Gujarat.
Consultant Sonologist
Aalok HeathCare Ltd
ঠিকানাঃ
আলোক হাসপাতাল লিমিটেড
বাড়ি নং - ০১, রোড নং - ০৫, ব্লক নং - এ, সেকশন- ৬, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬।
(মিরপুর ১০ মেট্রো স্টেশনের পশ্চিম পাশে)
সময়ঃ
সকাল - ৮.০০ টা - ৩.০০ টা পর্যন্ত
বিকাল - ৬.০০ টা - রাত্র ১১.০০ পর্যন্ত
(শুক্রবার বিকাল বন্ধ)।
অনুসন্ধানঃ
09678822822, 01769969836.
Appointment এর জন্য
+8801892696007
+8801402801628
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/Rumas-Ultrasound-109856337478413