বেশি পরিমাণে প্রোটিন বা আমিষ খেলে অথবা অ্যালকোহল জাতীয় খাবার বেশি খেলে দেহে পিউরিন নামক নন এসেনসিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরি হয়। এই পিউরিন থেকেই ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয় । এই ইউরিক অ্যাসিড প্রথমে রক্তে চলে যায়। সেখান থেকে কিডনির মাধ্যমে প্রস্রাবের সঙ্গে দেহ থেকে বের হয়ে যায়। রক্তে যদি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পায় এই অবস্থাকে বলা হয় হাইপারইউরিসেমিয়া।
আমাদের প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে কিছু আছে যেগুলোতে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। আবার কিছু পুষ্টিকর খাবার আছে যেগুলো ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে ওষুধের মত কাজ করে।
আসুন জেনে নিই ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি হলে কোন খাবার গুলো পরিহার করা উচিতঃ
- ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে নিজের খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত করুন।যেমনঃ গরু, খাসি, ভেড়া, মহিষের মাংস।অর্গান জাতীয় খাবার যেমনঃ কলিজা,মগজ,জিহবা পরিহার করুন।
- খোসাযুক্ত প্রানী যেমনঃ চিংড়ি, কাঁকড়া সাথে সামুদ্রিক মাছ এড়িয়ে চলুন।
- মসুর ডাল,বাদাম, মটরশুঁটি, শীমের বীচি এড়িয়ে চলবেন। সেই সাথে কিছু কিছু শাকসবজি যেমনঃ পালংশাক,পুইশাক, ফুলকপি ব্রোকলি,ঢেড়স। এছাড়া মাশরুমও খাওয়া যাবে না।
- কৃত্রিম রং, চিনি বা কর্ন সিরাপ দেওয়া খাবার একেবারে বন্ধ করা উচিত। অ্যালকোহল,ক্যাফেইন জাতীয় খাবার,কোমল পানীয় পরিহার করুন।
- মিষ্টি ফলে ফ্রুকটোজ থাকে যা ইউরিক অ্যাসিডের স্ফটিকের সাথে যুক্ত হয়ে স্ফটিককে বড় করে দেয়।কাজেই মিষ্টি ফল না খাওয়া বা এড়িয়ে চলাই ভালো।
আপনার ইউরিক অ্যাসিড বেশি হলে এই খাবার গুলো প্রতি দিনের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন। জেনে বুঝে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে খাবারই হতে পারে মহাঔষধ।
সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/JenifaJasia
লেখক
পুষ্টিবিদ জেনিফা জাসিয়া
ওবেসিটি । ডায়েট থেরাপি । পুষ্টি বিশেষজ্ঞ
অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য কল করুন
০১৭৩৮-৭৪৫৪৬৫
চেম্বার
পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিঃ
ঠনঠনিয়া,শেরপুর রোড ( ভাই পাগলা মাজারের পাশে),বগুড়া
রোগী দেখার সময়
শনি থেকে বৃহস্পতিবার ,বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৮টা
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/JenifaJasia