![]() |
রয়াল বাংলা ডেস্ক |
কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ের ঘরোয়া উপায় |
কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস |
পানিশূন্যতা ও আঁশযুক্ত খাবার না খাওয়া সাধারণত এর কারণ । তবে দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, হরমোন পরিবর্তন , পেশির সমস্যা বা ক্যান্সারের মত মারাত্মক রোগের উপসর্গ হিসেবেও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে ।
কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ সমূহ :
* সপ্তাহে ৩ বারেরও কম বার পায়খানা হওয়া ।
* মল পিণ্ডের ন্যায় কঠিন ও শক্ত হয়ে যাওয়া ।
* পায়খানা কষা হওয়া।
* মলত্যাগে বাধা অনুভূত হওয়া।
* প্রতিবারে মলত্যাগ সম্পূর্ণ না হওয়া ।
বেশ জরুরি অবস্থা হলে পায়ুপথে রক্তপাত ও হতে পারে । উপরোক্ত যে কোন একটি অথবা দুইটি উপসর্গ দেখা দিলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।
বাড়িতে তৈরি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ের কিছু উপাদান
১. আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন বেশি বেশি:
* দিনে অন্তত ২ কাপ পরিমাণ আঁশ বা তন্তু যুক্ত খাবার খাওয়া আবশ্যক।
* আলু,বাদাম, আপেল, শিমের বিচি , শস্য, ফুলকপি , পুঁইশাক , ডাঁটাশাক ইত্যাদি তন্তু যুক্ত খাবার ।
* নিয়মিত এ ধরনের খাবার গ্রহণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনা থাকেনা এবং শরীর সুস্থ্য থাকে ।
২. খেজুর:
* খেজুর বেটে রস করে খাওয়া যেতে পারে ।
* দৈনিক সকালে ও ও রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস করে এ রস খেলে উপকার পাওয়া যায় ।
* রস করার পরিবর্তে পাকা খেজুর চিবিয়ে খেলেও তা কার্যকরী হয় ।
* ফাইবার সমৃদ্ধ খেজুর মলকে মানিশুন্য হওয়া থেকে বিরত রাখে এবং দ্রুত নির্গত হতে সাহায্য করে ।
* দৈনিক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এমনকি তাৎক্ষণিকভাবে তা নির্মূল করতেও সক্ষম ।
৩. জলপাই তেল:
* সকালে খালি পেটে ২ টেবিলচামচ জলপাই তেল খাওয়া বেশ উপকারী ।
* জলপাই তেল মলকে পিচ্ছিল রাখতে সাহায্য করে ।
* এটি রান্নায় ব্যবহার করা কার্যকরী।
৪. ভোজ্য নারিকেল তেল:
* অর্ধেক চামচ নারিকেল তেল সকালে ও সন্ধ্যায় গ্রহণ করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দুর হয়।
* যে কোন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
* তাৎক্ষণিক উপকার পেতে এক চামচ করে খেতে হবে।
* ২/৩ দিন পর পর ব্যবহার করলে শক্ত মলও নির্গত হয়।
৫. খাবার সোডা:
* এক চা -চামচ খাবার সোডা এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে পান করতে হবে।
* খুব অল্প সময়ের মধ্যে পায়খানার বেগ আসতে বাধ্য ।
* খালি পেটে খেলে বেশি উপকার পায়া যায় ।
* তবে নিয়মিত খাওয়া অনুচিত , অভ্যাসে পরিণত হলে স্বাভাবিক হজম প্রকৃয়া ব্যহত হয় ।
৬. ত্রিফলা: *(আমলকী, হরিতকী ও বহেরা এই তিন ফলের মিশ্রণকে একত্রে ত্রিফলা বলে )
* হালকা গরম এক গ্লাস পানির মধ্যে ২ চামচ ত্রিফলা চূর্ণ মিশিয়ে পান করা উচিৎ।
* রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করলে উপকার পাওয়া যায় অধিক।
* এটি খাওয়ার পর অন্য কিছু খাওয়া উচিৎ নয় , পানি পানও কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর করতে হবে।
৭. গমের খুদ:
* ২০-২৫ গ্রাম গমের খুদ জ্বালিয়ে স্যুপ করে খাওয়া যেতে পারে ।
* রুটি , কেক বা ঘন জুসের মত করেও খাওয়া যায়।
* প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এটি থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়না।
৮. ভেষজ চা:
* পানি ফুটিয়ে পাত্রে নিতে হবে এরপর ভেষজ চা তার মধ্যে ডুবিয়ে রাখতে হবে কমপক্ষে ৩০ মিনিট । রস পানিতে ভালো ভাবে মিশে গেলে তা পান করতে হবে ।
* দিনে তিন থেকে চার কাপ পান করলে বেশ কার্যকরী হয়।
৯. রেড়ির তেল:
* ১ চা চামচ রেড়ির তেল প্রতিদিন সকালে পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য চিরতরে নির্মূল হয় ।
* খেতে বিস্বাদ লাগলে গরম লেবুর শরবত অথবা গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পান করা যেতে পারে।
- royalbangla.com এ আপনার লেখা বা মতামত বা পরামর্শ পাঠাতে পারেন এই এ্যড্রেসে royal_bangla@yahoo.com
পরবর্তী পোস্ট |
দাম্পত্য জীবনে সুখী থাকার ১০টি সহজ উপায় |