হাই ব্লাড প্রেশার বা হাইপারটেনশন অনেকের মধ্যে থাকলেও বেশিরভাগ সময় কোন লক্ষন প্রকাশ পায়না বলে অনেকেই জানেন না যে তিনি হাইপারটেনশনে ভুগছেন। অনেকেই আছেন যে শুধুমাত্র ব্লাড প্রেশার মাপার পর ই জানতে পেরেছেন তার হাই ব্লাড প্রেশার আছে। তাই হাইপারটেনশন হলো এক ধরনের নীরব ঘাতক।
সাধারণত সিস্টোলিক প্রেশার ১৩০ বা তার উপরে এবং ডায়াস্টোলিক প্রেশার ৮০ বা তার বেশি থাকলে সেই কন্ডিশনকে হাইপারটেনশন বলে। দীর্ঘসময় ধরে কারো প্রেশার এই ঘরে থাকে তাহলে তাকে হাই ব্লাড প্রেশারের রোগী বলা হয়।
হাই ব্লাড প্রেশার আছে এমন রোগীদের আবার দেখা যায় ওজন বেশি, ডায়বেটিস, কিডনি রোগ বা অন্যান্য মেটাবলিক রোগ আছে। অর্থাৎ, হাই ব্লাড প্রেশার এবং মেটাবলিক রোগগুলো হাতে হাত ধরে আসে।
হাই ব্লাড প্রেশারে আর্টারী গুলোতে উচ্চ চাপে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার দরুন, আর্টারির দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে সেখানে প্ল্যাক জমে আর্টারিকে সরু করে দেয়। ফলে যথেষ্ট রক্ত প্রবাহিত হতে পারেনা। এই ঘটনা হার্ট এর করোনারি আর্টারীতে হলে মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্র্যাকশন বা হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটনা ঘটে। একই ঘটনার কারনে কিডনির ভ্যাসেল গুলোও ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে।
হাই ব্লাড প্রেশারের ডায়েটারি মেনেজমেন্ট হিসাবে রোগীর অবস্থাভেদে সোডিয়াম কমিয়ে দেওয়া হয়। এর সাথে ওজন কমানো এবং লাইফস্টাইল মোডিফিকেশনে জোর দেওয়া হয়। অর্থাৎ একই সাথে সকল মেটাবলিক রোগের ম্যানেজমেন্ট করা হলে উচ্চ রক্ত চাপ ও নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব। তবে প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শে মেডিকেশন ও নেওয়া যেতে পারে।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/DietitianMunira
লেখক
পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা
কনসালটেন্ট ডায়েটিশিয়ান
ইবনেসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/DietitianMunira