দৈহিক মিলনের আগে নিজেদেরকে বিশেষত নারীকে মিলনের জন্য তৈরি করার যে প্রক্রিয়া অর্থাৎ সঠিকভাবে উত্তেজিত করার কলাকৌশল গুলোকে ফোরপ্লে বলে। শৃঙ্গার বা পূর্বরাগ (ইংরেজি: Foreplay) হল যৌনসঙ্গমের পূর্বে এমন কিছু মানসিক ও শারীরিক ক্রিয়াকলাপ যা যৌন চাহিদাকে বাড়িয়ে দেয়। ফোরপ্লে ছাড়াই যৌনক্রীড়া কিন্তু চরম অশান্তি ডেকে আনতে পারে। বিশেষত নারীর জন্য যৌনজীবন অভিশপ্ত এক জীবন মনে হতে পারে । অনেক নারী ফোরপ্লে ছাড়া যৌনতাকে প্রায় ধর্ষণের পর্যায়ে ফেলেন। শৃঙ্গার বা ফোরপ্লে সঙ্গীদের মাঝে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় এবং তাদের মাঝে বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। যৌন চাহিদা মানুষের মৌলিক চরিত্রের একটা দিক। এটি একজন হতে অন্যজনে ছড়ায়। বাতসায়নের কামসূত্রে নানাবিধ শৃঙ্গার-এর বর্ণনা আছে। কিন্তু এগুলোর বেশিরভাগই বাস্তবে এপ্লিকেবল ততটা নয় প্রয়োজনও নেই। তবে সাধারণ কিছু ফোরপ্লে টেকনিকই যথেষ্ট যৌনসঙ্গীকে যথেষ্ট উত্তেজিত করার জন্য।
কত সময় ধরে ফোরপ্লে করতে হবে?
ধরা বাঁধা কোন নিয়ম নেই।তবে পার্টনারের কাম বাসনা যতোক্ষণ অবধি জাগ্রত না হচ্ছে ততোক্ষণ চালিয়ে যেতে হবে। কখনও ত্রিশ সেকেন্ডে প্রবল কামভাব আসতে পারে আবার কখনও পাঁচ থেকে দশ মিনিটও লাগতে পারে।
যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন ফোরপ্লে সম্পন্ন হয়েছে?
১) শ্বাস প্রশ্বাস এর গতি বেড়ে যাবে সঙ্গীনী কে উত্তেজিত মনে হবে।
২) যোনি পথ থেকে কামরস বের হয়ে যোনিপথ ভেজা, পিচ্ছিল হয়ে যাবে।
৩) সঙ্গীনী মিলনের জন্য ব্যকুল হয়ে যাবে ।
৪) হার্ট বিট বেড়ে যাবে,ব্লাড চলাচল বৃদ্ধি পাবে ।
৫) নারীর যোনিপথের আশেপাশের অংশ ফুলে যাবে, একটু প্রসারিত হবে বিশেষ করে লেবিয়া মেজোরা,লেবিয়া মাইনোরা,ক্লাইটোরিস।
৬) নাক মুখ দিয়ে গরম নিশ্বাস বের হবে ।
৭) পুরুষ কে জড়িয়ে ধরতে চাইবে ইত্যাদি ।
এই লক্ষন গুলো প্রকাশ পেলে মিলন করা উচিৎ তার আগে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।
ফোরপ্লে করার পরও স্ত্রীর যোনি পথ যদি শুকনা থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে সঠিকভাবে ফোরপ্লে করা হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখতে পারেন। ফোরপ্লে একটা চর্চার ব্যাপার আস্তে আস্তে অভ্যস্ত ও দক্ষ হওয়া যায় । শুধু বিষয়টা একটু চিন্তা করতে হয়।ফোরপ্লে করার কারনে যদি লিঙ্গ শিথিল হয়ে যায় সেক্ষেত্রে স্ত্রীকে লিঙ্গ স্পর্শ করতে বলুন অথবা লিঙ্গ যোনিতে আলতো করে ঘষুন আশা করি উপকৃত হবেন। মনে রাখবেন ফোরপ্লে একটা যৌথ ব্যাপার যাতে নারী-পুরুষ দুজনই সক্রিয় হয়ে ওঠে।
প্রধান ভুল ধারনা:
যৌনতা সম্পর্কে প্রধান যে মুল ধারনা তা হলো, অনেক পুরুষই যৌনতাকে তার একার আনন্দের বিষয় মনে করে। কেউ কেউ নারীকে ভোগের বস্তু মনে করে। তার সুখ বা আহ্লাদ বা কামনা বাসনাকে পাত্তা দিতে চায়। এমন ভুল ধারনা থাকলে যৌনতা শুধু একপাক্ষিক একঘেয়ে বিরক্তিকর একটি প্রক্রিয়া হয়ে যাবে। আর নারীর জীবন হবে তিক্ত এবং আনন্দহীন।
ফোরপ্লে কিভাবে করতে হয়?
১) ঠাট্টা মশকরা এবং বডিটাচ করে মশকরা: স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটি হতে হবে মধুর , বোঝাপড়ার এবং ঠাট্টা মশকরার । ইংরেজিতে এসব সম্পর্ককে বলে রিলেশন অব জোকস। এধরনের সম্পর্ক হয় স্বামী-স্ত্রী , বন্ধু, সমবয়সী , শ্যালক শ্যালিকা এদের মধ্যে। এসব সম্পর্কের মধ্যে হাসি-তামাশা- ঠাট্টা মশকরা থাকে। আবার আরেক ধরনের সম্পর্ক হচ্ছে রিলেশন অব এভয়ডেন্স । যেমন , শ্বশুড়,ভাসুর, শাশুড়ী , ফুপা , খালু এসব সম্পর্ক হলো রেসপেক্ট এর সম্পর্ক। কিন্তু সমস্যা যদি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা দাঁড়ায় এমন রেস্পেক্টের সম্পর্কে। যেমন অনেকে স্বামীকে আপনি সম্বোধন করেন। এমনটা হওয়া বাঞ্চনীয় নয়। অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হতে হবে বন্ধুর মত হাসি-তামাশা ঠাট্টার ।তবেই একটি সুখী যৌনজীবন পাওয়া সম্ভব। এখানে বডি টাচ এর কথা বলা আছে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে শরীর স্পর্শ মূলক আচরণ (যেমন কাতুকুতু ,সুড়সুড়ি,দুষ্টুমি- ) মানসিক দুরত্ব কমাতে সহায়তা করে। এরকম খুনসুটি সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য দরকার। অর্থাৎ হালকা দুষ্টুমি , খুনসুটি দিয়ে ফোরপ্লে শুরু হতে পারে।
২) ডার্টি টক বা গরম-নরম কথাবার্তা ও রোমান্স: এরকম অন্যরকম কথাবার্তা কখনও এমন কাজ করে যে কথা শুনেই অনেক নারী উত্তেজিত হতে পারে। যাহোক, উত্তেজনা একটা পর্যায়ক্রমিক ব্যাপার । ফোরপ্লে শুরু হয় হাসি-তামাশা-ঠাট্টা-মশকরা দিয়ে । এরপর একটু ডার্টি টক জিনিসটাকে আরেকটু গভীরে নিয়ে যায়।
৩) বিভিন্ন জায়গায় তাকে স্পর্শ করুন: স্পর্শ একটা ম্যাজিকের মত কাজ করে। একেকজনের দুর্বল জায়গা একেকরকম হতে পারে। আস্তে আস্তে সঙ্গীনীকে জানা যায়। কোথায় স্পর্শ করলে সে পুলক অনুভব করে। যেমন অনেক পুরুষের লিঙ্গ উত্থানের জন্য নারীর হাতের স্পর্শ ম্যাজিকের মত কাজ করে।
৪) তার কানে গলায় ঘাড়ে বিশেষ মনোযোগ দিন: ক্লোজভাবে সংযুক্ত হয়ে এসব জায়গায় আদর করলে নারী খুব দ্রুত উত্তেজিত হয়ে পরে।
৫) বিশেষ সংবেদনশীল অঞ্চল ম্যাসেজ করুন: অনেকের অনেক জায়গায় সংবেদণশীলতা থাকতে পারে। তবে যোনীমুখ ও ভগাঙ্কুর এটি কমন সংবেদনশীল জায়গা (জি স্পট)। এসব জায়গায় স্পর্শ বা ম্যাসেজ করলে নারীর চুড়ান্ত কামভাব চলে আসে এবং আসতে বাধ্য।
যে জায়গাগুলো বেশি গুরুত্বপুর্ণ:
ক) ক্লাইটোরিস
খ) জি স্পট
গ) যৌনি
ফোরপ্লে এবং যৌনতার শেষ ধাপে যাওয়ার আগে এই তালিকাটি মাথায় রাখতে পারেন।
ক)চুম্বন
খ)লেহন
গ)মর্দন (ব্যথাহীনভাবে)
ঘ)দংশন( মৃদু ব্যথাহীনভাবে)
ঙ)পেনিট্রেশন
- ফোরপ্লের ধরাবাধা কোন নিয়ম নেই। মুলকথা হলো ফোরপ্লে যৌনতার প্রাথমিক পার্ট এতটুকু আগে বোঝা ও স্বীকার করা দরকার।
- ফোরপ্লে দিয়ে যদি যৌনতা আরম্ভ হয় তবে তা সফল হওয়ার সম্ভাবনা 98%। ফোরপ্লে শুধু নারীকে যৌনতার জন্য প্রস্তুত করে তা না। বরং পুরুষের পারফরমেন্সেও ভুমিকা রাখে। ফোরপ্লে করার সময় পুরষের লিঙ্গ দিয়ে হালকা আঠাল লালার মত পাতলা বীর্যরস বেরিয়ে যায়।
- এটি বেরিয়ে গেলে পরে লংটাইম যৌনকাজ করা সহজ হয়ে যায়। আশাকরি ফোরপ্লের গুরুত্ব কিছুটা অনুধাবন করেছেন।