গরমের এই মৌসুমে তরমুজ আপনাকে রাখবে সতেজ। খুব সামান্য পরিমাণে ক্যালরি আছে এতে। পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে ভিটামিন এ ও সি। পটাশিয়াম ও আঁশের পরিমাণও কম নয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো, তরমুজের ৯২ শতাংশই পানি। ফলে শরীরে পানির অভাব পূরণে তরমুজ আদর্শ খাবার। পড়ুন তরমুজের আরও কিছু গুণের কথা।
তরমুজ বাড়ায় মস্তিষ্কের ক্ষমতা
ভিটামিন বি৬ -এর দারুণ এক উৎস তরমুজ। আর মস্তিষ্ক সচল রাখার অন্যতম উপাদান ভিটামিন বি৬ । মজার ব্যাপার হলো, মস্তিষ্কে জলীয় উপাদান ও তরমুজের পানির পরিমাণ একই। ফলে মাথা ঠান্ডা রাখতে তরমুজের তুলনা খুব কমই মেলে।
তরমুজ মানেই পানি
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচারের গবেষণায় দেখা গেছে, তরমুজে পানির পরিমাণ ৯১ দশমিক ৫ শতাংশ। তার মানে একটা তরমুজ বিশুদ্ধ পানির আধার। প্রতিদিন তরমুজ খেলে শরীরে পানির অভাব জানালা দিয়ে পালাবে!
তরমুজ কমায় ক্যানসারের ঝুঁকি
টমেটোতে একটা খাদ্য উপাদান থাকে, যার নাম লাইসোপেন। একটা বড়সড় টমেটোতে যে পরিমাণ লাইসোপেন থাকে, তার থেকে দেড় গুণ বেশি থাকে এক কাপ পরিমাণের তরমুজে। লাইসোপেন অতি শক্তিমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মানবশরীরের কোষের মৃত্যুর হার কমায়। একই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। লাইসোপেনের বড় গুণ হলো, এটি ক্যানসারের ঝুঁকিও কমিয়ে আনে।
চোখের আলো তরমুজ
ভিটামিন এ র খনি বলতে পারেন তরমুজকে। সবারই জানা, ভিটামিন এ হলো চোখ ভালো রাখার জন্য দারুণ এক খাদ্য উপাদান। তাই তরমুজ খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়বে, এ ছাড়া নানান ধরনের সংক্রমণ থেকে চোখ থাকবে সুরক্ষিত। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন ১০০ গ্রাম তরমুজ আপনার চোখ রাখবে সুস্থ, দৃষ্টিশক্তি হবে তীক্ষ্ণ।
মাংসপেশির ব্যথা কমায় তরমুজ
একাধিক গবেষণায় পাওয়া গেছে, তরমুজের জুস মাংসপেশির ব্যথা কমায়। তাই হাড়ভাঙা খাটুনির পর তরমুজের জুস কাজ করবে টনিকের মতো। এর পেছনে যুক্তি কী? গবেষকেরা দেখেছেন, তরমুজে উচ্চ পরিমাণে সিট্রুলিন আছে। সিট্রুলিন মানবশরীরের ধমনির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখে, রক্তচাপও কমিয়ে দেয়। তাই মাংসপেশিতে ব্যথা হলে এক গ্লাস তরমুজের জুস হতে পারে মোক্ষম দাওয়াই। তবে তার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া জরুরি।
তরমুজে ওজন হ্রাস
আগেই বলা হয়েছে, তরমুজে প্রায় পুরোটাই পানি। পাশাপাশি এর মধ্যে ক্যালরির পরিমাণও খুব কম। ফলে দিনে কয়েকবার তরমুজ দিয়ে পেট ভরালে এই গ্রীষ্মেই শরীর থেকে ঝড়িয়ে ফেলতে পারবেন অতিরিক্ত চর্বি! তিন বেলা তরমুজ খেতে নিশ্চয়ই একঘেয়ে লাগার কথা। তাই কখনো তরমুজ খেতে পারেন ফালি ফালি করে কেটে। কখনো জুস বানিয়ে।
অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রেহাই
এখন অনেক ক্রিম বা লোশন তৈরির উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয় তরমুজ। তরমুজ কেন ক্রিম বা লোশনে? আগেও বলা হয়েছে, এতে আছে লাইসোপেন। সোজা বাংলায় লাইসোপেন হলো ক্যারোটিনসমৃদ্ধ খাওয়ার উপযোগী রঞ্জক পদার্থ। এতে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। এই লাইসোপেনই আপনাকে বাঁচাবে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে। ফলে সানবার্ন কিংবা চামড়ার ক্যানসার থাকবে নিরাপদ দূরত্বে।
পুষ্টিবিদ মোঃ ইকবাল হোসেন
চেম্বারঃ
সার্জিস্কোপ হাসপাতাল, ইউনিট-২, কাতালগঞ্জ, চট্টগ্রাম। প্রতি শুক্রবার থেকে বুধবার, সন্ধ্যা ৭ঃ০০ টা থেকে রাত ১০ঃ০০ টা পর্যন্ত।
সিরিয়ালের জন্যঃ ০১৭৬৪-৭৮৬৭৫৩
অনলাইন সেবা পাওয়ার জন্য
হোয়াটস এ্যাপ নম্বর-01533843123