বিবাহিত জীবনে সুখী হওয়ার সাথে যৌনজীবনে সফল ও সুখী হওয়ার সম্পর্ক গভীর। যৌনসমস্যা নিয়ে বিবাহিত জীবন আনন্দময় না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে যৌনসমস্যার চেয়ে যৌনশিক্ষা বেশি গুরুত্বপুর্ণ। ভারতীয় উপমহাদেশে পড়াশোনার সিলেবাসে কোথাও যৌনশিক্ষার স্থান নেই। তাই যৌনতা, বিবাহিত জীবন এসব ব্যাপারে বলতে গেলে নব্বই শতাংশ মানুষ ভুল ধারনা নিয়ে বেড়ে ওঠে। তাই ছোট-খাট যৌনসমস্যাতেই মুষড়ে পড়ে। যৌন জীবন ও দাম্পত্য জীবন বিষাক্ত হয়ে ওঠে। পরিবারে সুখী হওয়ার দুইটি পার্ট। যথা:
ক. পারিবারিক জীবন বা দাম্পত্য জীবন:
অনেকের কোন যৌনসমস্যা নেই কিন্তু সঙ্গীনীর সাথে সুসম্পর্কের এবং বোঝা-পড়ার ঘাটতির কারণে যৌনজীবনে সুখী হতে পারে না। অনেকে পরিবারে তেমন সময় দিতে চান না। স্ত্রী-সন্তানের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করেন না। মনে রাখতে হবে, সবার আগে পারিবারিক আবহ ,সুসম্পর্ক,বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া তারপর যৌনজীবন। মানসিক দুরত্ব বজায় রেখে শারিরীক সম্পর্ক (যৌনজীবন) সুখের হয় না।
খ. যৌন জীবন: সফল ও সুখী যৌন জীবনের জন্য প্রয়োজন :
১) রোম্যান্টিকতা:
সব মানুষ রোম্যান্টিক হয় না একথা সত্য হলেও সুখী দাম্পত্য জীবনের খাতিরে একটু রোম্যান্টিক হতেই হয়। তাছাড়া রস-কষহীন জীবন বিরক্তিকর ও একঘেয়ে হয়ে যেতে পারে তাই নিজে রোম্যান্টিক হওয়ার চেষ্টা করুন। প্রয়োজেনে একটু আধটু অভিনয় করুন। জীবনটাতো একটা রঙ্গমঞ্চ। সঙ্গিনীর মধ্যেও রোম্যান্টিকতা সঞ্চারিত করুন! প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে সময়ে-অসময়ে স্থানে-অস্থানে স্ত্রীকে অপ্রত্যাশিত যৌন ইঙ্গিত বা ইশারা করুন । মনে রাখবেন আপনার স্ত্রীর সাথে মাঝে মাঝে শরীর স্পর্শ করার সম্পর্ক বজায় রাখুন। শারীরিক ঘনিষ্ঠতা মানসিক দুরত্ব কমায়।
২) ফোরপ্লে সম্পর্কে ধারনা ও ফোরপ্লের অভ্যাস:
ফোরপ্লে (Foreplay) বা শৃঙ্গার কি?
দৈহিক মিলনের আগে নিজেদেরকে বিশেষত নারীকে মিলনের জন্য তৈরি করার যে প্রক্রিয়া অর্থাৎ সঠিকভাবে উত্তেজিত করার কলাকৌশল গুলোকে ফোরপ্লে বলে। শৃঙ্গার বা পূর্বরাগ (ইংরেজি: Foreplay) হল যৌনসঙ্গমের পূর্বে এমন কিছু মানসিক ও শারীরিক ক্রিয়াকলাপ যা যৌন চাহিদাকে বাড়িয়ে দেয়। ফোরপ্লে ছাড়াই যৌনক্রীড়া কিন্তু চরম অশান্তি ডেকে আনতে পারে। বিশেষত নারীর জন্য যৌনজীবন অভিশপ্ত এক জীবন মনে হতে পারে। অনেক নারী ফোরপ্লে ছাড়া যৌনতাকে প্রায় ধর্ষণের পর্যায়ে ফেলেন।
কত সময় ধরে ফোরপ্লে করতে হবে?
ধরা বাঁধা কোন নিয়ম নেই।তবে পার্টনারের কাম বাসনা যতোক্ষণ অবধি জাগ্রত না হচ্ছে ততোক্ষণ চালিয়ে যেতে হবে। কখনও ত্রিশ সেকেন্ডে প্রবল কামভাব আসতে পারে আবার কখনও পাঁচ থেকে দশ মিনিটও লাগতে পারে।
যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন ফোরপ্লে সম্পন্ন হয়েছে?
১) শ্বাস প্রশ্বাস এর গতি বেড়ে যাবে সঙ্গীনী কে উত্তেজিত মনে হবে।
২) যোনি পথ থেকে কামরস বের হয়ে যোনিপথ ভেজা, পিচ্ছিল হয়ে যাবে।
৩) সঙ্গীনী মিলনের জন্য ব্যকুল হয়ে যাবে ।
এই লক্ষন গুলো প্রকাশ পেলে মিলন করা উচিৎ তার আগে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।ফোরপ্লে করার পরও স্ত্রীর যোনি পথ যদি শুকনা থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে সঠিকভাবে ফোরপ্লে করা হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখতে পারেন। ফোরপ্লে একটা চর্চার ব্যাপার আস্তে আস্তে অভ্যস্ত ও দক্ষ হওয়া যায় । শুধু বিষয়টা একটু চিন্তা করতে হয়।ফোরপ্লে করার কারনে যদি লিঙ্গ শিথিল হয়ে যায় সেক্ষেত্রে স্ত্রীকে লিঙ্গ স্পর্শ করতে বলুন অথবা লিঙ্গ যোনিতে আলতো করে ঘষুন আশা করি উপকৃত হবেন। মনে রাখবেন ফোরপ্লে একটা যৌথ ব্যাপার যাতে নারী-পুরুষ দুজনই সক্রিয় হয়ে ওঠে।
প্রধান ভুল ধারনা:
যৌনতা সম্পর্কে প্রধান যে মুল ধারনা তা হলো, অনেক পুরুষই যৌনতাকে তার একার আনন্দের বিষয় মনে করে। কেউ কেউ নারীকে ভোগের বস্তু মনে করে। তার সুখ বা আহ্লাদ বা কামনা বাসনাকে পাত্তা দিতে চায়। এমন ভুল ধারনা থাকলে যৌনতা শুধু একপাক্ষিক একঘেয়ে বিরক্তিকর একটি প্রক্রিয়া হয়ে যাবে। আর নারীর জীবন হবে তিক্ত এবং আনন্দহীন।
ফোরপ্লে (Foreplay) বা শৃঙ্গার কি?
১) ঠাট্টা মশকরা এবং বডিটাচ করে মশকরা: স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটি হতে হবে মধুর , বোঝাপড়ার এবং ঠাট্টা মশকরার । ইংরেজিতে এসব সম্পর্ককে বলে রিলেশন অব জোকস। এধরনের সম্পর্ক হয় স্বামী-স্ত্রী , বন্ধু, সমবয়সী , শ্যালক শ্যালিকা এদের মধ্যে। এসব সম্পর্কের মধ্যে হাসি-তামাশা- ঠাট্টা মশকরা থাকে। আবার আরেক ধরনের সম্পর্ক হচ্ছে রিলেশন অব এভয়ডেন্স । যেমন , শ্বশুড়,ভাসুর, শাশুড়ী , ফুপা , খালু এসব সম্পর্ক হলো রেসপেক্ট এর সম্পর্ক। কিন্তু সমস্যা যদি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা দাড়ায় এমন রেস্পেক্টের সম্পর্কে। যেমন অনেকে স্বামীকে আপনি সম্বোধন করেন। এমনটা হওয়া বাঞ্চনীয় নয়। অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হতে হবে বন্ধুর মত হাসি-তামাশা ঠাট্টার ।তবেই একটি সুখী যৌনজীবন পাওয়া সম্ভব। এখানে বডি টাচ এর কথা বলা আছে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে শরীর স্পর্শ মুলক আচরণ (যেমন কাতুকুতু ,সুড়সুড়ি,দুষ্টুমি- ) মানসিক দুরত্ব কমাতে সহায়তা করে। এরকম খুনসুটি সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য দরকার। অর্থাৎ হালকা দুষ্টুমি , খুনসুটি দিয়ে ফোরপ্লে শুরু হতে পারে।
২) ডার্টি টক বা গরম-নরম কথাবার্তা ও রোমান্স: এরকম অন্যরকম কথাবার্তা কখনও এমন কাজ করে যে কথা শুনেই অনেক নারী উত্তেজিত হতে পারে। যাহোক, উত্তেজনা একটা পর্যায়ক্রমিক ব্যাপার । ফোরপ্লে শুরু হয় হাসি-তামাশা-ঠাট্টা-মশকরা দিয়ে । এরপর একটু ডার্টি টক জিনিসটাকে আরেকটু গভীরে নিয়ে যায়।
৩) বিভিন্ন জায়গায় তাকে স্পর্শ করুন: স্পর্শ একটা ম্যাজিকের মত কাজ করে। একেকজনের দুর্বল জায়গা একেকরকম হতে পারে। আস্তে আস্তে সঙ্গীনীকে জানা যায়। কোথায় স্পর্শ করলে সে পুলক অনুভব করে। যেমন অনেক পুরুষের লিঙ্গ উত্থানের জন্য নারীর হাতের স্পর্শ ম্যাজিকের মত কাজ করে।
৪) তার কানে গলায় ঘাড়ে বিশেষ মনোযোগ দিন: ক্লোজভাবে সংযুক্ত হয়ে এসব জায়গায় আদর করলে নারী খুব দ্রুত উত্তেজিত হয়ে পরে।
৫) বিশেষ সংবেদনশীল অঞ্চল ম্যাসেজ করুন: অনেকের অনেক জায়গায় সংবেদণশীলতা থাকতে পারে। তবে যোনীমুখ ও ভগাঙ্কুর এটি কমন সংবেদনশীল জায়গা (জি স্পট)। এসব জায়গায় স্পর্শ বা ম্যাসেজ করলে নারীর চুড়ান্ত কামভাব চলে আসে এবং আসতে বাধ্য।
যে জায়গাগুলো বেশি গুরুত্বপুর্ণ:
ক) ক্লাইটোরিস
খ) জি স্পট
গ) যৌনি
ফোরপ্লে এবং যৌনতার শেষ ধাপে যাওয়ার আগে এই তালিকাটি মাথায় রাখতে পারেন।
ক)চুম্বন
খ)লেহন
গ)মর্দন (ব্যথাহীনভাবে)
ঘ)দংশন( মৃদু ব্যথাহীনভাবে)
ঙ)পেনিট্রেশন
ফোরপ্লের ধরাবাধা কোন নিয়ম নেই। মুলকথা হলো ফোরপ্লে যৌনতার প্রাথমিক পার্ট এতটুকু আগে বোঝা ও স্বীকার করা দরকার। ফোরপ্লে দিয়ে যদি যৌনতা আরম্ভ হয় তবে তা সফল হওয়ার সম্ভাবনা 98%। ফোরপ্লে শুধু নারীকে যৌনতার জন্য প্রস্তুত করে তা না। বরং পুরুষের পারফরমেন্সেও ভুমিকা রাখে। ফোরপ্লে করার সময় পুরষের লিঙ্গ দিয়ে হালকা আঠাল লালার মত পাতলা বীর্যরস বেরিয়ে যায়। এটি বেরিয়ে গেলে পরে লংটাইম যৌনকাজ করা সহজ হয়ে যায়। আশাকরি ফোরপ্লের গুরুত্ব কিছুটা অনুধাবন করেছেন। যৌনতাকে ট্যাবু বা ঘৃণ্য জিনিস মনে করবেন না৷ আমাদের প্রাতঃকৃত্য কিংবা প্রাতঃরাশের মত এটিও একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় নিত্যকর্ম, যা শরীর-মনকে চাপমুক্ত তথা ভারমুক্ত করে ।
৩) ডায়েট
স্বল্প মেয়াদে কার্যকর খাবার মিল্কশেক:
১. খেজুর , বাদাম ও দুধের মিল্কশেক । এটি খুবই কার্যকরি । সহবাসের একঘন্টা আগে সেবন করা যেতে পারে।
২. পাকা কলা,দুধ ও খেজুরের মিল্কশেক। এটিও কার্যকরি। সহবাসের একঘন্টা আগে সেবন করা যেতে পারে।
৩. গোল্ডেন মিল্ক: ডিম,দুধ,বাদামের মিল্কশেক ; এটিও কার্যকরী তবে হজমের সমস্যা আছে কিনা দেখে নিতে হবে।
দীর্ঘ মেয়াদে যৌনস্বাস্থ্য ভাল রাখতে সেক্স হরমোন বাড়ায় এমন খাবার হলো:
১. কালোজিরা
২. মধু
৩. গরুর মাংস
বাদামসমুহ :
১.কাজুবাদাম
২.কাঠবাদাম
৩.পেস্তাবাদাম
৪.চিনাবাদাম
যেসব ফল সরাসরি ইরেক্টাইল ডিসফাংশন দূর করতে কাজ করে
১.খেজুর
২. ডালিম
৩. কলা
৪. কমলালেবু
এবার নিচের টিপসগুলো মেনে চলুন। আশা করি ইরেক্টাইল ডিসফাংশন সমস্যা থাকলেও দূর হয়ে যাবে। তবে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন বিষয়ক পুরো লেখাটি পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
১)সেক্স হরমোন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান,ডিম আর দুধের মিশ্রন সাথে তিন রকম বাদাম, কিস মিস, মধু,খেজুর, গরুর গোশত, বেদানা,তরমুজ প্রভৃতি
২)যৌন ব্যয়াম কেইগেল এক্সারসাইজ বা ইড়াপিঙ্গলা নাড়ির ব্যয়াম করুন। ইউটিউবে ভিডিও দেখে নিন । লিংক দেয়া থাকল। সকালে ১০ রাতে ১০ মিনিট করে।
৩) প্রতিমাসে স্বামী স্ত্রী দুইজনেই সেক্সকাউন্সিলিং সেশন ৩০ মিনিট, সেক্স থেরাপি প্রয়োজন মত অভিজ্ঞ রেজিস্ট্রারড্ চিকিৎসকের কাছ থেকে নিন,এতে আপনার মেডিসিনের উপর নির্ভরতা কমে যাবে, আত্মবিশ্বাস বাড়বে, যা উন্নত বিশ্বে খুবই জনপ্রিয় একটা বিষয়। একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক আপনার দূর্বলতা গুলে ধরিয়ে দিবে, সুন্দর যৌন মিলনের জন্য দিক নির্দেশনা দিবে।
৪) নিজে রোমান্টিক হন সাথে স্ত্রীকেও রোমান্টিক করে নিন।
৫) মাঝে মাঝে দুইজনে রসালাপ করুন,হট এবং ডার্টি কথা আলোচনা করুন।
৬) স্ত্রীকে আর্কষনীয় পোশাকপরতে বলুন।
৭) রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যান,সকালে হাটাহাটি করুন,নিজের ওজন কে নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
৮) পারিবারিক, বা ব্যক্তিগত দুশ্চিন্তা, যাবতীয় নেশা পরিহার করুন,নিজের প্রতি আস্থা রাখুন।
৯) হৃদরোগ, ডায়াবেটিস,হরমোনের সমস্যা, কিডনি রোগ ইত্যাদি কোন সমস্যা থাকলে তার চিকিৎসা নিন।
১০) বেশির ভাগ পুরুষের সাময়িক কিছু দিনের জন্য সমস্যা হতে পারে, যা আপনাআপনি ভালো হয়ে যায়,আর যদি মাসের অধিক সময় ধরে সমস্যা চলতে থাকে কোন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে লো ডোজে ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে আর দীর্ঘদিন ধরে সমস্যাই ভুগলে অবশ্যই দেরি বা লজ্জা না করে চিকিৎসা নিন।
১১) মনে রাখবেন খেজুর,বাদাম,দুধের এই মিল্কশেকটি খেলে প্রচুর এনার্জি পাওয়া যাবে। ম্যাজিকের মতো নেক্সট ডে তে দূর্বলতা কেটে যাবে । কারো হজমের সমস্যা হলে সপ্তাহে ২-৩দিন যেকোনো সময় মিল্কশেক খেতে পারে। কারো দুধে সমস্যা থাকলে দুধ বাদ দিয়ে বাকিগুলো চিবিয়ে খেয়ে নিবেন। আলাদা চিনির প্রয়োজন নেই,কেননা খেজুর খুবই মিষ্টি হয়ে থাকে।
১২) কলা অত্যন্ত সহজলভ্য ফল এই কলা অসংখ্য গুণের আধার। হ্যাঁ, পুরুষের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও অত্যন্ত সহায়ক। কলা দেহে প্রচুর এনার্জি যোগায়। এতে আছে একটি বিশেষ এনজাইম bromelain, যা পুরুষের যৌন দুর্বলতা রোধ করতে সহায়ক। আছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা যৌনতার সময় ভরপুর এনার্জি যোগায়।
১৩) গবেষকরা দেখেছেন যে যাদের দেহে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি রয়েছে তাদের তুলনায় যাদের ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি রয়েছে তাদের এই জাতীয় লিঙ্গ উত্থানজনিত অসুবিধাগুলি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। রক্তনালীগুলি সুস্থ রাখার জন্য এই ভিটামিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি ছাড়া রক্ত সঞ্চালন ভাল হয় না, এবং আপনার শরীরের প্রায় সমস্ত কিছু যথা আপনার লিঙ্গ শক্তিশালী হওয়ার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
১৪)ভিটামিন বি-৩ রক্ত প্রবাহ এবং ইরেকটাইল ফাংশন বাড়াতে সহায়তা করে এবং এর ঘাটতি ইরেক্টাইল ডিসফাংশন-এর অন্যতম কারণ।
একটি কথা মনে রাখবেন এত এত ভিটামিন ও মিনারেল এর কথা মাথায় রাখা সম্ভব নয়। ভিটামিন ও মিনারেল স্বাভাবিক রাখার উপায় হল ফল ও সবজি খাওয়া। ভিটামিন আসে ফল ও সবজি থেকে। তাই ফল ও সবজি নিয়মিত খাবেন। অনেকেই হয় ফল নয়ত সবজি এর যেকোন একটি বা দুটি থেকে দূরে থাকে। আবার খেলেও অনিয়মিত। আপনার টোটাল স্বাস্থ্য যদি ভাল থাকে তাহলে আপনার যৌনস্বাস্থ্যও ভাল থাকবে। তাই স্বাস্থ্যগত দূর্বলতা রেখে ভাল পারফরমেন্স আশা করা কঠিন।
কত ঘনঘন মিলন করা যাবে??
এটার বাঁধাধরা নিয়ম নেই। একএক জনের ইচ্ছে, চাহিদা একএক রকম।যেমন একজন ৩/৪ বার বা এর ও অধিক বার খাবার না খেলে তার ভালো লাগে না আবার কেউ দুএকবার খেয়েই দিব্যি ভালো থাকে।যৌন জগতের ও ঠিক একই নিয়ম।এখানে কোন নিয়ম খাটেনা।স্বামী স্ত্রীর প্রয়োজন হলেই এটা করতে নিষেধ নেই। সবচেয়ে ভালো নিয়ম হচ্ছে দুইজনেই চাচ্ছে, কারও কোন আপত্তি নেই।
কয়েকটি বিশেষ টিপস:
১) বিভিন্ন পজিশনে যৌনমিলন করতে ভুলবেন না।
২) দ্রুত বীর্যপতনের সমস্যা থাকলে ডাবল কনডম ব্যবহার করতে পারেন। দ্রুত বীর্যপাত নিয়ে বিস্তারিত পড়ুন এই লিংক থেকে।
৩) যৌনতার নানা স্বাদ-ভঙ্গি এক্সপেরিমেন্ট করুন , কোনটাতে আরও মজা পেতে পারেন।
৪) প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। গুডলাক।