গ্রীষ্মের গরমে শারীরিক স্বাস্থ্য ভাল রাখার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখাও জরুরি। তাই এই বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। গ্রীষ্মের আগমনের ফলে কেউ কেউ মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই অবস্থা সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার বা গ্রীষ্মকালীন বিষণ্ণতা নামে পরিচিত।
এটি হল এক ধরনের বিষণ্নতা যা বছরের সময়, আলো এবং আবহাওয়ার দ্বারা প্রভাবিত হয়। লক্ষণগুলি সাধারণত শরত্কালে এবং/অথবা শীতের শুরুতে দেখা যায় এবং বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে এগুলি বেড়ে যায়।
গ্রীষ্মকালীন বিষন্নতার সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
• বিষণ্ণ এবং খিটখিটে মেজাজ
• উদ্বিগ্ন বোধ
• উত্তেজিত বোধ
• ক্ষুধা হ্রাস
• ওজন হ্রাস
• ঘুমানোর অসুবিধা এবং অনিদ্রা
গ্রীষ্মের বিষণ্নতা একটি আরও গুরুতর অবস্থা যেখানে লক্ষণগুলি আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম যেমন কাজ, স্কুল বা ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করে। আত্মহত্যার চিন্তাভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত মানসিক চাপও পরিলক্ষিত হয়েছে যেমন:
• রুটিনে ব্যাঘাতের কারণে ঘুম এবং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন
• কিছু গ্রীষ্মে সীমিত অর্থের কারণে ছুটিতে কোথাও যেতে না পারা
• শারীরিক চেহারা নিয়ে উদ্বেগের কারণে উদ্বেগ বা গ্রীষ্মের বাইরের কিছু কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করা এড়িয়ে যাওয়া।
তাই একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে দেখা করা এবং চিকিৎসা নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত যদি আপনি হতাশ বোধ করেন বা আত্মহত্যার চিন্তাভাবনা করেন, বা অ্যালকোহল, নিকোটিন, ক্যাফিন বা অন্য কোনও পদার্থ ব্যবহার করেন।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/Dr-Fatema-Zohra-Psychiatrist-Specialist-in-Family-Medicine-293734764582169
লেখক
ডা. ফাতেমা জোহরা
MBBS(DU), MD Psychiatry (BSMMU), FMD(USTC), DHMS(BD)
মনোরোগ, যৌনরোগ ও মাদকাসক্তি নিরাময় বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক
মানসিক রোগ বিভাগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/Dr-Fatema-Zohra-Psychiatrist-Specialist-in-Family-Medicine-293734764582169