আজকের সময়ের আতংকের নাম ক্যান্সার । সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয় ক্যান্সার ম্যানেজমেন্ট ঠিক হলো কিনা এটি নিয়ে। এই মূহুর্তে যেহেতু আমি একটি সরকারি হাস্পাতালের সাথে জড়িত আছি এবং এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষের চিকিৎসা সরকারি হাসপাতালে করে থাকে তাই আমি এখানের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।
যখনই আমরা এখানে রোগী পাই এরপর যে প্রশ্ন থাকে তা হলো আসা মাত্র চিকিৎসা শুরু হওয়া নিয়ে। মনে রাখবেন শুধু ধারণা করে ক্যান্সার চিকিৎসা হয় না।
প্রথমত আপনার রোগীর রোগ ধরা পরেছে কিনা। না পড়ে থাকলে আগে ন্যুনতম মাংসের পরীক্ষায় ধরা পড়তে হবে। যদি আপনি বাহিরেও পরীক্ষা করান তারপরও বেশ কিছুদিন পর রিপোর্ট আসে। মনে রাখবেন ক্যান্সার সনাক্ত না করে কোন চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না।
দ্বিতীয়ত এটি কোন পর্যায়ে আছে? রোগ ছড়িয়ে গেছে কিনা। কারন দুটো ক্ষেত্রে চিকিৎসা ভিন্ন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাথে আরও কিছু পরীক্ষা যেটাকে আমরা ইমিউনোহিস্টোকেমিস্ট্রি বলি। যার কারনে আপনার রোগীর আগে কোন ধরনের চিকিৎসা ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে এটা নির্নয় করা যায়। যা তার ভালো ভাবে বেচে থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তৃতীয়ত আপনার রোগী কি শারীরিক অবস্থায় এসেছেন। এটাকে পারফরম্যান্স স্ট্যাটাস বলে। যদি শারীরিক অবস্থা বেশী খারাপ থাকে সে রোগীর অপারেশন, কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন ইত্যাদি নেয়ার উপযুক্ত থাকেন না। সুতরাং কোন রোগমুক্ত করার চিকিৎসা রোগীদের সুস্থ রাখার জন্য শুরু করা যাবেনা।
তার মানে কি দাড়ালো?
ক্যান্সার চিকিৎসা শুরু করার জন্য হাতে অন্য অনেক রোগের থেকে সময় বেশি লাগে । পরীক্ষা নিরিক্ষার প্রয়োজন অনেক বেশি আর অনেক বিস্তারিত ভাবে জানা লাগে। বেশিরভাগই ব্যয়বহুল। রোগ ছড়িয়ে যাবার পরে বা খুব খারাপ অবস্থায় কোন চিকিৎসাই আমাদের শরীর নিতে পারে না।
সুতরাং চিকিৎসা শুরু করার জন্য সময় দেয়া জরুরি। আগে সনাক্ত জরুরি। এরপর নিশ্চয়ই দ্রুত চিকিৎসা শুরু করাও দরকার। কিন্তু এই ধাপগুলি সম্পর্কে সবার জানা আর সচেতনতা বৃদ্ধি ভিষণ ভাবেই প্রয়োজন।
এখানে বিভিন্নভাবে বিভিন্নস্থান থেকে রোগী আসেন। যারা বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে দরকারী পরীক্ষা নিরিক্ষার মাধ্যমে রোগ সনাক্ত না করে তক্ষুনি সেখানে অপারেশন সম্পন্ন করেন। ফলে ক্যান্সার আগে ধরা পড়ার পরিবর্তে অপারেশন এর পরে এটি নির্নয় করা যায় যে সেটা ক্যান্সার ছিলো । এই কারনে কিন্তু তারা কাংখিত বেচে থাকার ফলাফল থেকে বঞ্চিত হন। আর এর পরিনতি আমাদের ক্যান্সার রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ।
মনে রাখবেন আগেই সনাক্ত এবং রোগের পর্যায় অনুযায়ী চিকিৎসা দিলে সেই রোগী বাচার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/DrLailaShirinOncoSurgeon
ডাঃ লায়লা শিরিন
সহযোগী অধ্যাপক, ক্যান্সার সার্জারী, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল।
চেম্বার
কনসালট্যান্ট, সার্জারী। (স্তন, পায়ুপথ, খাদ্যনালীর ক্যান্সার ও ল্যাপারস্কপিক সার্জারী বিশেষজ্ঞ )
ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, মতিঝিল, ঢাকা।
০২-৫৮৩১১৭৪০
০২-৫৮৩১১৭৪৩-৪
০২-৫৮৩১২৩৭২
০২-৪৮৩২০৯৬২-৫
০২-৪৮৩১৮৭১৫
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/DrLailaShirinOncoSurgeon