প্রশ্নটা প্রায় সবারই। প্রতি বছরই একটি নির্দিষ্ট সময়ে আমরা কমবেশি অসুস্থ হয়ে পড়ি। কারো জ্বর, তো কারো খুসখুসে কাশি, কারো ঠাণ্ডা লেগে নাক বন্ধ। উল্টোদিকে আমাদের আশেপাশেই এমন কিছু মানুষ আছেন যারা একদমই অসুস্থতায় পড়েন না। আবার অসুস্থ হলেও তেমন দুর্বল হন না। আসলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত কম হবে অসুস্থতা বা বিভিন্ন সংক্রমনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে। তাই আসুন দেখে নিই কি কি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও খাবার আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায়
কি খাচ্ছেন খেয়াল রাখুন
প্রতিদিন একটা আপেল ডাক্তার থেকে দূরে রাখে এ সত্যটা মেনে চলুন। তাছাড়া প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি রাখুন, ফ্যাটি খাবার, অতিরিক্ত লবন, ভাত এড়িয়ে চলুন, হোল গ্রেইন জাতীয় খাবার খান
ভিটামিন ডি-র অভাব
আপনি যদি প্রায়ই অসুস্থ হন তাহলে ভিটামিন ডি গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে পারেন । সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ভিটামিন ডি তীব্র্র শ্বাসনালীর সংক্রমণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফ্যাটযুক্ত মাছ, ডিমের কুসুম এবং মাশরুম জাতীয় খাবারের সাথে প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-র যোগান দিতে পারে।
কম পানি পান
শরীরের প্রতিটি টিস্যু এবং অঙ্গ পরিচালনায় পানির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। পানি টিস্যুগুলোতে প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্টস ও মিনারেল বহন করতে সহায়তা করে। তাছাড়া পানি মুখ, নাক এবং গলা আর্দ্র রাখে যা অসুস্থতা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘুম জরুরি । রাতে ঘুমের সময় শরীরের ইমিউন সিস্টেম খুব সক্রিয় থাকে এবং তখন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শরীরের প্রতিরক্ষা কোষগুলো বৃদ্ধি পায়। শরীরকে কোনো রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ও শরীরে নতুন শক্তি সঞ্চয় করতে ঘুম খুবই জরুরি। একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন।
হাত পরিষ্কার না রাখা
আপনার হাত দিনব্যাপী অনেক জীবাণুর সংস্পর্শে আসে। নিয়মিত হাত না ধুয়ে মুখ, ঠোঁট বা খাবার স্পর্শ করা হলে তখন অসুস্থতা ছড়াতে পারে। তাই সবসময় হাত পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন।
দাঁত পরিষ্কার না রাখা
মুখের সুস্বাস্থ্য শারীরিক সুস্থতার পরিপূরক। মুখের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা গেলে মুখের রোগের পাশাপাশি অনেক ধরনের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করা যায়। বহু গবেষণায় দেখা যায়, দাঁত ও মাড়ির রোগের সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্ট্রোক, হৃৎপি-ের প্রদাহ, ডায়াবেটিস , কিডনি রোগ, স্বল্প ওজনের শিশুর জন্ম, গর্ভপাত ইত্যাদির সাথে জড়িত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম
খেয়াল করুন আপনার বাচ্চাটি দুর্বল, অল্পতেই অসুস্থ হয়ে যায় আবার কিছু বাচ্চা খুব ডানাপিটে, হাসিখুশি এবং অসুস্থ হলে তেমন দুর্বল হয় না। আসলে যে বাচ্চাগুলো হেলদি ফুড ও লাইফস্টাইল মেনে বড় হয়েছে তাদের রোগাক্রান্ত হওয়া সম্ভাবনা কম। মানুষ বড় হলেও এ সমস্যাগুলো থেকে যায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী না হলে অল্প অসুস্থতাতেও মানুষ খুব সহজে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোগের আক্রমণও জোরালো হয়।
বংশগত সমস্যা
যাদের শরীরে হোয়াইট ব্লাড সেল বা শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ কম তাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই অবস্থাটি লিউকোপেনিয়া হিসাবে পরিচিত। যেমন অল্পতেই ঠান্ডা লাগা
ধন্যবাদ
Nusrat Jahan
Nutrition and Diet Consultant