-পিত্তথলির ক্যান্সার যদি অপারেশন যোগ্য থাকে তবে এই ক্ষেত্রে এফএনএসি বা সুচের পরীক্ষা সাধারণত অপারেশন এর আগে করতে হয় না। এতে ক্যান্সার ছড়িয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য পুরো পিত্তথলি এবং সাথে লিভারের কিছুটা অংশ একইসাথে অপারেশন করে ফেলা হয়। সংশয় থাকলে প্রয়োজন বোধে অপারেশন এর সময় 'Frozen section' বা মাংসের ক্যান্সার নির্নয়ের এক ধরনের পদ্ধতির ব্যাবস্থা করা যেতে পারে।
-অপারেশন করে পুরো পিত্তথলি এবং লিভারের কিছুটা আর লসিকা গ্রন্থি সমূহ অপারেশন এর মাধ্যমে অপসারণ করলে এইসব রোগীর ক্ষেত্রেও অনেক ভালো ফলাফল আশা করা যায়। যেহেতু পিত্তথলির ক্যান্সার এর আসল চিকিৎসা ভালো অপারেশন, তাই এই দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন ।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
-অপারেশন ই পিত্তথলির পাথর আর ক্যান্সার দুটোরই প্রধান চিকিৎসা পদ্ধতি।
এখনকার সময়ের সবচেয়ে বেশি অপারেশন হয় পিত্তথলির পাথরের জন্য। বিশেষত ল্যাপারস্কপি বা পেট ছিদ্র করে অপারেশন আসার পর থেকে এটি আরও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই পিত্তথলির ক্যান্সার, অন্য সব ক্যান্সার এর মতোই, প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় উপসর্গ বিহীন।
-পেট ফুটো করে অপারেশন করার পর প্রায় শতকরা ২ ভাগ ক্ষেত্রে পিত্তথলির ক্যান্সার ধরা পরে? তাই অপারেশন এর পর পিত্তথলির মাংস পরীক্ষা অবশ্যই করা উচিৎ।
-এটি কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন অনেকেই এর গুরুত্ব না বুঝার কারনে অপারেশন এর পর পিত্তথলির মাংস পরীক্ষা করেন না, আবার অনেক রুগি অপ্রয়োজনীয় মনে করে এই পিত্তথলি পরীক্ষা না করিয়ে ফেলে দেন।
-কিছুকিছু ক্ষেত্রে পিত্তথলির পাথরের অপারেশনের পর এই ক্যান্সার সনাক্ত হয়। এজন্য পেট ফুটো করে অপারেশন করার সময় যাতে পিত্তথলিতে ছিদ্র না হয় এদিকে খেয়াল রাখাও জরুরি। যেহেতু এতে করে সমস্ত পেটেই ক্যান্সার ছড়িয়ে যেতে পারে। যার ফলে প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যান্সারের যে কাংখিত বেঁচে থাকার হার তা কমে যেতে পারে।
-তাই শুধু রোগীর নয়, আমাদের সবারই এই বিষয় নিয়ে সচেতনতা জরুরি।
ডাঃ লায়লা শিরিন
সহযোগী অধ্যাপক, ক্যান্সার সার্জারী, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল।
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/DrLailaShirinOncoSurgeon