- ১. সকালের খাবার বাধ্যতামূলক করা:
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সকালের খাবারের অভ্যাস তৈরি করা খুবই জরুরি । এটি দিনের কাজের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে এবং পাচন প্রক্রিয়া বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। -
২. খাবার কমপক্ষে আধাঘণ্টা আগে পানি পান করানো:
খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে পানি পান করলে পাচনতন্ত্র সক্রিয় হয় ফলে ক্ষুধা সৃষ্টি হয় । সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরপর এই অভ্যাস তৈরি হলে সকালের এর খাবার এবং পরবর্তী ধাপের জন্য তা কার্যকরী হয় । -
৩. ২ ঘণ্টা অন্তর খাবার পরিবেশন:
একবারে বেশি খাবার শিশুর খাদ্যযন্ত্রের জন্য উপযুক্ত নয় । তাই অল্প অল্প করে প্রতি দুই ঘণ্টায় একবার খাবার দেওয়া হলে তা হজমে সাহায্য করে এবং ক্ষুধার উদ্রেক করে ।
-
৪. মাঝে মাঝে হালকা খাবার দেওয়া :
বাচ্চার খাবারের প্রতি রুচি ধরে রাখতে নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি বাড়িতে বানানো হালকা খাবার খাওয়ানো যেতে পারে । তবে অবশ্যই বাজারের খোলা খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে । -
৫. নিয়মিত খাবারের ভিন্নতা সৃষ্টি করা:
প্রতিদিন একই খাবারে শিশুর খাবারের প্রতি বিরক্তি এসে যায় । তাই প্রতিবেলায় নতুন ধরনের খাবার ডিতে হবে ।যেমন- প্রতিদিন ডিম সিদ্ধ না দিয়ে তাকে ডিম দিয়ে তৈরি পুডিং অথবা স্যুপ তৈরি করে দেওয়া যেতে পারে। শিশুর খাবারে রঙিন শাক-সবজি রাখা জরুরি। এতে শিশু খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হয় । -
৬. জিংক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো:
খাবারে জিঙ্কের অভাব ক্ষুধা -মন্দা ও অরুচির জন্য দায়ী, তাই জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাদ্য শিশুকে দেওয়া উচিৎ। কাজু বাদাম, গম, কুমড়া ইত্যাদি জিংক সমৃদ্ধ। এ জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। -
৭. খেলাধুলা ও ব্যায়ামে উৎসাহিত করা:
শারীরিক পরিশ্রম অবশ্যই ক্ষুধা তৈরি করে । এক্ষেত্রে শিশুকে বেশি বেশি খেলাধুলায় উৎসাহিত করা ও হাসিখুশি রাখা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । - ৮. শিশুর মাথা ও শরীর ঠাণ্ডা রাখা:
উষ্ণ আবহাওয়া ক্ষুধা কমিয়ে দেয় তাই শিশুর জন্য অবশ্যই নির্মল আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। -
৯. শিশুকে দেওয়ার আগে সে খাবার নিজে খেয়ে দেখা:
অন্যকে খেতে দেখলে শিশুরা নিজে খেতে উৎসাহিত হয় । তাই খাবারের আগে বাবা -মা যদি নিজে খেয়ে দেখান তাহলে বাচ্চাও খেতে চাইবে। -
১০. প্রিয় খাবার গুলো মাঝে মাঝে তৈরি করা:
খাবারের প্রতি শিশুর উৎসাহ ও আকর্ষণ ধরে রাখতে তার পছন্দের খাবার গুলো তৈরি করে খাওয়ানো খুব উপকারী ।
সাধারণ অসুস্থতায় যেমন, জ্বর বা পেট খারাপ হলে শিশুকে ঘন ঘন তরল খাবার দিন। এতে শিশু দুর্বল হয়ে পড়বে না। পেটে গ্যাস হলেও অরুচি দেখা দেয়। তখন অল্প অল্প করে হালকা খাবার খাওয়ানো উচিৎ। শিশুর হঠাৎ না খেতে চাওয়া স্বাভাবিক হিসেবেই ধরে নেওয়া হয় , তবে এক সপ্তাহের বেশি যদি এই সমস্যা থাকে তখন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ । - ৮. শিশুর মাথা ও শরীর ঠাণ্ডা রাখা:
উষ্ণ আবহাওয়া ক্ষুধা কমিয়ে দেয় তাই শিশুর জন্য অবশ্যই নির্মল আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। -
৯. শিশুকে দেওয়ার আগে সে খাবার নিজে খেয়ে দেখা:
অন্যকে খেতে দেখলে শিশুরা নিজে খেতে উৎসাহিত হয় । তাই খাবারের আগে বাবা -মা যদি নিজে খেয়ে দেখান তাহলে বাচ্চাও খেতে চাইবে। -
১০. প্রিয় খাবার গুলো মাঝে মাঝে তৈরি করা:
খাবারের প্রতি শিশুর উৎসাহ ও আকর্ষণ ধরে রাখতে তার পছন্দের খাবার গুলো তৈরি করে খাওয়ানো খুব উপকারী ।
সাধারণ অসুস্থতায় যেমন, জ্বর বা পেট খারাপ হলে শিশুকে ঘন ঘন তরল খাবার দিন। এতে শিশু দুর্বল হয়ে পড়বে না। পেটে গ্যাস হলেও অরুচি দেখা দেয়। তখন অল্প অল্প করে হালকা খাবার খাওয়ানো উচিৎ। শিশুর হঠাৎ না খেতে চাওয়া স্বাভাবিক হিসেবেই ধরে নেওয়া হয় , তবে এক সপ্তাহের বেশি যদি এই সমস্যা থাকে তখন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ । এছাড়াও পড়তে পারেন ডায়েটিশিয়ান সিরাজাম মুনিরার শিশুদের খাওয়ার রূচি বাড়ানোর টিপস ।
রয়াল বাংলা ডেস্ক |
শিশুর খাবারে অরুচি দূর করবেন কিভাবে ? |
মা ও শিশু |
- royalbangla.com এ আপনার লেখা বা মতামত বা পরামর্শ পাঠাতে পারেন এই এ্যড্রেসে [email protected]
পরবর্তী পোস্ট |
শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন জরুরি |