রয়াল বাংলা ডেস্ক |
সেরা 13 টি খাদ্যাভ্যাস যা আপনার ওজন কমিয়ে আপনাকে আমুল বদলে দিতে পারে। |
সুসাস্থ্য ও অভ্যাস |
পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা
করোনায় ওজন নিয়ে আর নাই চিন্তা (শেষ পর্ব)
ডায়েট প্ল্যান
রান্নাকরা খাবার খান। ফ্যাক্টরি মেড খাবার যেমন পাউরুটি, বিস্কুট, চিপস, চকোলেট,প্রসেসড বা প্রক্রিয়াজাত ইত্যাদি খাবার এড়ানোর চেষ্টা করুন।
২.স্ন্যাক্স বা নাস্তার অগ্রাধিকার :
স্ন্যাক্স বা নাস্তা হিসেবে বেকারি খাবার (বিস্কুট, কেক,চকোলেট )অপেক্ষা হোটেলের নাস্তা কে অগ্রাধিকার দিন কেননা বেকারি খাবার সবচেয়ে ক্যালরিসমৃদ্ধ।
৩.তিন বি:
Bakery , Brewery, Beverage এই তিন বি-কে এড়িয়ে চলুন বেকারি খাবার অপেক্ষা হোটেলের রান্না করা খাবার , ফাস্টফুড অপেক্ষা রান্নাকরা বাসার খাবার, কোমল পানীয় অপেক্ষা ফলের রস, শ্যাম্পেন, বিয়ার অপেক্ষা বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি পানীয় কে অগ্রাধিকার দিন। ৪.খাবার আস্তে ভালো করে চিবিয়ে খান:
খাওয়ার সময় টেলিভিশন দেখা বা ফোনে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।খাবার আস্তে ভালো করে চিবিয়ে খান
৫.মাংসের চেয়ে মাছকে:
মাংসের চেয়ে মাছকে বেশী অগ্রাধিকার দিন।
৬.বসে খাওয়া:
খাবার অবশ্যই বসে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৭.সালাদ:
ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার দিনের যেকোনো খাবার কিংবা স্নাক্স বা নাস্তা খাওয়ার সময় একটু হলেও সালাদ দিয়ে খাওয়া শুরু করুন।
৮.মিষ্টি স্বাদের চেয়ে ঝাল-লবণ :
মিষ্টি স্বাদের চেয়ে ঝাল-লবণ স্বাদের খাবারকে অগ্রাধিকার দিন।
৯. সময়মত খাবার খাওয়া:
সময়মত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
১০.রাত ৯টার আগে:
রাত ৯টার আগে ডিনার (রাতের খাবার) সারার চেষ্টা করুন।
১১.নিরামিষ:
সপ্তাহে অন্তত একদিন নিরামিষভোজী হোন অর্থাৎ আমিষ বর্জন করুন।
১২.ভাত না তরকারি
তরকারি দিয়ে ভাত নয় বরং ভাত দিয়ে তরকারি খান। অবশ্যই সবজি-তরকারি এবং সালাদের কথা বলছি। ভাতের পাশাপাশি একবেলা রুটি বা আলুসেদ্ধ খাওয়ার অভ্যাস করুন।
১৩.ঋতু অনুযায়ী ফল:
ঋতু অনুযায়ী ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।(দেশী বা বিদেশী যেফলই হোক না কেন)
আগের পর্বগুলোতে খাবার নিয়ে আলোচনা করেছি। অনেক হলো খাবারদাবার। এই পর্বে, কিছু টিপস শেয়ার করব, যা মেনে চললে আপনার ওজন নিয়ে থাকবে না কোনো টেনশন, জীবন হবে সুন্দর।
-আপনার পেটের একটা বন্ধু আছে নাম ডায়েটিশিয়ান। খাবারের চার্ট করতে তার সাহায্য নিন।
-রাত ৮-৯ মধ্যে রাতের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। আপনি ঘুমানোর কয়েক ঘন্টা আগে যদি বেশিরভাগ খাবার খান তবে আপনার শরীর আরও ভাল হজম করতে সক্ষম হয়। স্বাস্থ্যকর ওজন -পরিচালনার জন্য ভাল হজম গুরুত্বপূর্ণ।
-দিনে লিটারচারেক পানি খাবেন, এতে করে দেহে ওয়াটার রিটেনশন হওয়ার আশঙ্কা কমে, যে কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকতে বাধ্য হয়।
-অতিরিক্ত আম খাওয়া থেকে বিরতো থাকুন।
-আপনার বড় খাবারগুলি একাধিক ছোট খাবারে ভাগ করুন। কারণ মনের ক্ষুধা বড় ক্ষুধা। উদাহরণ – যখন ছোটো প্লেটে খাবার নিবেন, সাইন্টিফিকেলি আপনার কাছে মনে হবে বেশি খেয়ে ফেলেছেন। আর এই কাজটি আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে কিন্তু।
-রেগুলার কাজ করুন। ঘর মোছা, ঝাড়ু দেয়া, টবে পানি দেয়া ইত্যাদি কাজে হাত দিন, ক্যালরি ক্ষয় হবে।
-অবশ্যই নিয়ম করে প্রতিদিন ঘরের রুমে দরকার হলে হাঁটুন।
-সকাল বেলা ছাদে গিয়ে গায়ে রোদ লাগিয়ে আসুন।
-রাত জাগা বন্ধ করুন, আপনার হরমোনাল পরিবর্তন, স্ট্রেস সবকিছু কিন্তু দায়ী এই অনিয়মিতো ঘুম।
-পরিবারকে সময় দিন, মেডিটেশন করুন।
-দুপুরে রাতে খাবারের পর সালাদ, দই রাখুন।
-শাক জাতীয় খাবার রাখুন। রাতে নয়, দুপুরে। তবে যেদিন বেশি খেয়ে ফেলবেন সেদিন শাক রাতেও রাখতে পারেন।
-অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ ওজন বাড়িয়ে দেয়। অতএব, শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় পরিমাণ লবণ গ্রহণ করতে হবে।
আমরা কেউ জানতাম না, আমাদের সাথে কী হতে যাচ্ছে। তবে মানুষ কিন্তু অভ্যাসের দাস। তাই পরিস্থিতিকে মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আর এতো চিন্তা কিসের, একটু নিয়ম মেনে চলুন, ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে জীবনকে বানান নো চিন্তা ডু ফূর্তি।
লেখক
পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা
কনসালটেন্ট ডায়েটিশিয়ান
ইবনেসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ডায়েটিশিয়ান, ভাইবস হেলথ কেয়ার বাংলাদেশ।
www.facebook.com/DietitianMunira
- royalbangla.com এ আপনার লেখা বা মতামত বা পরামর্শ পাঠাতে পারেন এই এ্যড্রেসে [email protected]
পরবর্তী পোস্ট |
শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন জরুরি |