- নবজাতকের খাদ্য:
:
শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য বুকের দুধ খাওয়া খুবই প্রয়োজনীয় । ক্ষুধা পেলে সে কান্না করে বা মুখে আঙ্গুল দিয়ে অথবা চোষার মত শব্দ করে সাধারণত জানায় ।শিশু জন্মানোর ৬ মাস অবধি শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ এবং ১২ মাস পর্যন্ত অন্য খাবারের পাশাপাশি বুকের দুধ খাওয়ানো অবশ্য কর্তব্য । এতে শিশুর সুস্থতা ও পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত হয় । -নবজাতককে প্রতি ২-৩ ঘণ্টা অন্তর খাওয়াতে হবে। -যদি বুকের দুধ খাওয়ান সেক্ষেত্রে প্রতিবারে ১০-১৫ মিনিট করে শিশুকে খাওয়াতে হবে । যদি বোতলের খাওয়াতে হয় সে হিসেবে ৬০-৯০ মিলিলিটার দুধ খাওয়াতে হবে প্রতিবারে ।
-
শিশুর গোসল ও পরিচর্যা:
প্রাথমিক অবস্থায় নবজাতকের গোসল খুব একটা পছন্দের নয় , তার জন্য আরামদায়ক গোসলের ব্যবস্থা করতে হবে ।
-শিশু ক্ষুধার্ত থাকলে বা একেবারে খাওয়ার পরপরই গোসল করানো উচিত নয় ।
-পাত্রে ২-৩ ইঞ্চি উষ্ণ আরামদায়ক পানিতে সাবধানতার সাথে ৫-১০ মিনিট গোসল করাতে হবে।
- ৫-১০ মিনিট করে সপ্তাহে ২-৩ বার গোসলই নবজাতকের জন্য যথেষ্ট।
-
পর্যাপ্ত ঘুম:
নবজাতকের পরিমিত ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারি ।
- সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু ২-৪ ঘণ্টা করে প্রতিবারে , দিনে প্রায় ১২-১৬ ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকে।
-নবজাতক দিন ও রাতের পার্থক্য জানেনা । সাধারণত ঘুম ভাঙলেই সে খেতে চায় এবং খাওয়া শেষ হলে কিছুক্ষণের মধ্যে আবার ঘুমিয়ে যেতে চায়।
-শিশু সাধারণত পর্যায়ক্রমে হালকা ঘুম এবং গাঢ় ঘুম দুই ধাপে প্রায় ৪০ মিনিট করে চক্রাকারে ঘুমিয়ে থাকে । হালকা ঘুমের পর কিছু সময়ের জন্য জেগে মৃদু শব্দ করতে পারে এ সময় গভীর ঘুমের জন্য শান্ত পরিবেশ বাধ্যতামূলক।
-রাতে ২-৩ বার খাবার জন্য নবজাতক ঘুম থেকে জেগে ওঠে সাধারণত।
-
নবজাতকের সঙ্গে সময় কাটানো:
শিশুর সঙ্গে আন্তরিকতা সৃষ্টির জন্য অবশ্যই পিতা-মাতার যত বেশি সম্ভব সময় কাটাতে হবে।
- নবজাতকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম থাকে তাই তার নিকটে যাওয়া সকলকে অবশ্যই পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
-শিশুকে কোলে নেওয়ার সময় অবশ্যই মাথার পিছনে হাত রেখে সুস্থির ও আরামদায়ক অবস্থা তৈরি করতে হবে যাতে ঘাড়ের উপর চাপ না পড়ে । শিশু কে বিছানায় রাখার সময় ও এই অবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
-নবজাতককে কখনোই ঝাঁকুনি দেওয়া উচিত নয় । এতে শিশুর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ সহ মারাত্মক জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। চোয়াল বা পায়ের পাতায় স্পর্শ করে আদর করা যেতে পারে কিন্তু কোন অবস্থাতেই মজা করে হলেও শিশুকে ঝাঁকুনি দেওয়া বা শূন্যে লোফালুফি করা যাবেনা।
-শিশুকে বহন করার সময় সব সময় তার নিরাপত্তার ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে । -
নবজাতকের টিকা
নবজাতকের টিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই নবজাতকের টিকার চার্ট জানাটা জরুরী।
- নবজাতকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম থাকে তাই তার নিকটে যাওয়া সকলকে অবশ্যই পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
-শিশুকে কোলে নেওয়ার সময় অবশ্যই মাথার পিছনে হাত রেখে সুস্থির ও আরামদায়ক অবস্থা তৈরি করতে হবে যাতে ঘাড়ের উপর চাপ না পড়ে । শিশু কে বিছানায় রাখার সময় ও এই অবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
-নবজাতককে কখনোই ঝাঁকুনি দেওয়া উচিত নয় । এতে শিশুর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ সহ মারাত্মক জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। চোয়াল বা পায়ের পাতায় স্পর্শ করে আদর করা যেতে পারে কিন্তু কোন অবস্থাতেই মজা করে হলেও শিশুকে ঝাঁকুনি দেওয়া বা শূন্যে লোফালুফি করা যাবেনা।
-শিশুকে বহন করার সময় সব সময় তার নিরাপত্তার ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে । -
নবজাতকের সঙ্গে সময় কাটানো:
শিশুর সঙ্গে আন্তরিকতা সৃষ্টির জন্য অবশ্যই পিতা-মাতার যত বেশি সম্ভব সময় কাটাতে হবে।
- নবজাতকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম থাকে তাই তার নিকটে যাওয়া সকলকে অবশ্যই পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
-শিশুকে কোলে নেওয়ার সময় অবশ্যই মাথার পিছনে হাত রেখে সুস্থির ও আরামদায়ক অবস্থা তৈরি করতে হবে যাতে ঘাড়ের উপর চাপ না পড়ে । শিশু কে বিছানায় রাখার সময় ও এই অবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
-নবজাতককে কখনোই ঝাঁকুনি দেওয়া উচিত নয় । এতে শিশুর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ সহ মারাত্মক জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। চোয়াল বা পায়ের পাতায় স্পর্শ করে আদর করা যেতে পারে কিন্তু কোন অবস্থাতেই মজা করে হলেও শিশুকে ঝাঁকুনি দেওয়া বা শূন্যে লোফালুফি করা যাবেনা।
-শিশুকে বহন করার সময় সব সময় তার নিরাপত্তার ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে ।
রয়াল বাংলা ডেস্ক |
নবজাতকের যত্ন কিভাবে নিবেন |
মা ও শিশু |
- royalbangla.com এ আপনার লেখা বা মতামত বা পরামর্শ পাঠাতে পারেন এই এ্যড্রেসে [email protected]
পরবর্তী পোস্ট |
ইউরিন ইনফেকশন: কারণ ও প্রতিরোধের উপায় |