সাপ ভয় পান না এমন মানুষ বিরল।সাপে কামড়ালে ভয়েই রুগি অর্ধমৃত হয়ে যায়।কিন্তু সবক্ষেত্রেই কি বিপদের আশংকা আছে?
আমাদের দেশে প্রায় ১০০ প্রজাতির সাপ আছে,যার মধ্যে কেবল ৬ প্রজাতির সাপ বিষধর,বাকী ৯৪ প্রজাতির কোন বিষ নেই।অর্থাৎ এই ৯৪ প্রজাতির সাপ কামড়ালে কোন সমস্যা নেই,চিকিৎসা ছাড়াই ভাল হয়ে যায়।এই সুযোগটাই নিয়ে থাকেন ওঝারা।ঝড়ে বক মরে,কবিরাজের কেরামতি ফলে।সাপের দংশনে ওঝার বিষ নামানোর অনেক পৌরানিক কাহিনী সমাজে প্রচলিত আছে।ওঝাদের ব্যাবসায় এসব সামাজিক অন্ধবিশ্বাস সহায়ক ভুমিকা পালন করে।
বিষধর সাপ কামড়ালেই কেবল চিকিৎসা প্রয়োজন,সেক্ষত্রে ওঝার ঝাড়ফোক কোনই কাজে লাগে না বরং সময়ের অপচয় ছাড়া কিছুই না।বিষধর সাপের দংশন আর চিকিৎসা শুরুর সময়ের পার্থক্য যত কম হবে চিকিৎসার সফলতার সম্ভাবনা ততবেশি।কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় রুগী ওঝার পর্ব শেষ করে হাসপাতালে যখন আসেন ততক্ষনে অনেক মুল্যবান সময় অপচয় হয়ে গেছে,রুগীর প্রাণ ওষ্ঠাগত ।বিষধর সাপের দংশনে প্রতিবছর স্বয়ং অনেক ওঝা হাসপাতালে ভর্তি হন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ও অনেক বেশি।
মে থেকে অক্টোবর মাসে অর্থাৎ বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব বাড়ে।এই সময় অধিকাংশ স্থলভাগ ডুবে যাওয়ায় সাপ নতুন বাসস্থানের সন্ধানে বাসাবাড়ির উঁচু স্থানে আশ্রয় খুঁজে।
সাপে কাটা রোগী মনে করেন মৃত্যু অত্যাসন্ন।তাই এসব রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে যে সব সাপ বিষধর নয় আর বিষধর হলে ও চিকিৎসা আছে।
হাতে বা পায়ে কামড়ালে আমরা সাধারনত আক্রান্ত অংশের উপর রশি বা গামছা দিয়ে টাইট করে বেঁধে রাখি।এটা একেবারেই ভুল প্রাথমিক চিকিৎসা। আলতো ভাবে বাঁধা যেতে পারে বা ১০ মিনিট পর পর কয়েক মিনিটের জন্য বাধন খুলে দেয়া যেতে পারে।সবচে ভাল ব্যবস্থা হল আক্রান্ত হাতের বা পায়ের দুপাশে বাঁশের বা কাঠের ফালি দিয়ে তার উপর আলতো করে বাঁধা যেন নাড়াচাড়া কম হয়।একটানা শক্ত করে বেঁধে রাখলে দীর্ঘক্ষন রক্ত চলাচল বন্ধ থাকায় পঁচন ধরতে পারে। চিরতরে হারাতে হতে পারে হাত পা।
যেকোন সাপে কাটা রুগীকে হাসপাতালে নিতে হবে,কারন সাপটি বিষধর ছিল কিনা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারবেনা,রুগীকে পর্যবেক্ষনে রাখতে হয়।ডাক্তার যদি বিষক্রিয়ার কোন লক্ষন লক্ষ করেন তাহলে এন্টিভেনাম ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করে থাকেন।
এই বর্ষাকালে সাপ গর্ত থেকে বের হয়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয় তাই ঘর বাড়িতে সাপের উপদ্রপ বাড়ে । তাই বসতবাড়িতে কার্বলিক এসিড রাখতে পারলে ভাল না হয় লাল লাইফবয় সাবানের টুকরো রাখতে পারেন এতে সাপ ঘরে আসবে না ।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/dr.iqbalahmed
লেখক
ডাঃ ইকবাল আহমেদ
প্লাস্টিক ও এস্থেটিক সার্জন
সহকারী অধ্যাপক,
বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ,ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
চেম্বার :
বাংলাদেশ কসমেটিক সার্জারি , বাড়ি ৮, রোড
১৪, ধানমণ্ডি (সোবহানবাগ মসজিদের গলিতে), ঢাকা।
এপয়েন্টমেন্ট
০১৭৬৬৯৩৫২৫৪,০১৩১৪০৯৯৯২২
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/dr.iqbalahmed