খুব ব্যস্ত আপনি, ব্যস্ততা ছাপিয়ে কখন একটু বিশ্রাম নেবেন, সেই ফুসরত খুঁজতেই আপনি ক্লান্ত। অফিস থেকে বাসা, আবার বাসা থেকে সেই অফিস। অফিসেও তো কাজের চাপ আর অশান্তির কোনো শেষ নেই। বাসায়ও তো অশান্তি বা ঝুটঝামেলার শেষ থাকে না। সবমিলিয়ে জীবনটা কেমন ঘেটে যাচ্ছে। অথচ আপনি প্রায়ই ভাবেন যে আগের দিনগুলো কত সুন্দর ছিল। পরিবারের সঙ্গে কত ভালো একটা বোঝাপড়া, সখ্যতা ছিলো একসময়। কিন্তু দিন যাচ্ছে, আর আপনি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন নিজের প্রিয় পরিবার থেকে। এটা কি আসলেই ঠিক?
মনোবিদেরা বলছেন, সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের মূলমন্ত্র- পরিবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত সময় কাটনো। এই পারিবারিক সময় যে খুব আয়োজন করে কাটাতে হবে এমন কোনো কথা নেই।
টেলিভিশন, ট্যাব,স্মার্টফোন আর ল্যাপটপ ব্যবহারের মধ্যদিয়ে খাবার টেবিলে জায়গা করে নিয়েছে প্রযুক্তি। এসব ডিভাইস দূরে সরিয়ে খাবার টেবিলে গল্প করুন পরিবারের সব সদস্য মিলে। বাবা-মায়েরই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে একে পারিবারিক নিয়মে পরিণত করতে। ইন্টারনেটের মোহে আমরা রীতিমতো দিশেহারা। পারিবারিক আড্ডা বা বন্ধুমহলেও আমরা আড্ডা রেখে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকি। তাছাড়া অফিসের সারাদিনের ধকল শেষে বাড়িতে ফিরেই আবারো ইন্টারনেট নিয়ে পড়ে থাকি। এতে পরিবারের সদস্যের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি হতে থাকে। তাই যতটুকু সম্ভব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিরত থাকুন এবং পরিবারকে যথার্থ সময় দিন।
পরিবারের সদস্যদের খাবারের পছন্দ অপছন্দ আমরা সবাই কম বেশি জানি। সপ্তাহের একটি দিন সবাই একত্রে পরিবারের প্রিয় মানুষগুলোর জন্য পছন্দের খাবার রান্না করা যাক। এতে সম্পর্ক আরও মজবুত এবং পরিবারের সাথে কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত উপভোগ করার সৌভাগ্য হবে।
পরিবারের নিজেদের সদস্যদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে মাসে অন্তত একদিন সবাই মিলে ঘুরতে যান। এছাড়াও কোন আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এতে আত্মীয়তার বন্ধনও দৃঢ় হবে। এতে কাজের একঘেয়েমিও দূর হবে এবং পরিবারের সঙ্গে খানিকটা সময়ও কাটবে।
পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে বাচ্চাদের যোগাযোগ তৈরি করুন। এতে ছোটদের মধ্যে পারিবারিক মূল্যবোধ তৈরি হবে। মাঝে মধ্যে পুরনো ফ্যামিলি অ্যালবাম দেখুন সবাই মিলে। স্মৃতিচারণেও বর্তমান প্রজন্ম পারিবারিক ঐতিহ্য সম্পর্কে অবহিত হয়। পরিবারে দাদা-দাদী ও নানা-নানীর কাছাকাছি থাকার সৌভাগ্য হয় না অনেকের। মুরুব্বিদের কাছে না পাওয়ার বেদনাটা ঝাপসা বরাবরের মতোই। পারিবারিক মুল্যবোধ তৈরিতে বয়োজ্যেষ্ঠদের অভাববোধ করতে হবে। তাদের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করুন সবসময়।
উৎসবমুখর পরিবেশ সবসময়ই পরিবারকে আরও কাছে আনে। জীবনের নানা ব্যস্ততার কারণে আমরা অনেকেই পরিবারের সঙ্গে বিশেষ দিনগুলো উদযাপন করতে পারি না। এতে পারিবারিক সম্পর্কেও বাড়ে দূরত্ব। তবে নিজেরা একটু চাইলেই সময়ের স্বল্পতাকে দূরে ঠেলে দিয়ে, যতটুকু সময় পাওয়া যায় তার মাঝেই নিজেদের মধ্যে আনন্দঘন মুহূর্তগুলো ও দূরত্ব ঘুচিয়ে আনার উপলক্ষ্য তৈরি করতে পারি।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/ডা-অনির্বাণ-মোদক-পূজন-106765094929779
লেখক
ডা: অনির্বাণ মোদক পূজন
এমবিবিএস,বিসিএস(স্বাস্থ্য-রিকমেন্ডেড) ডি-কার্ড (বিএসএমএমইউ,ঢাকা)
এমএসিপি (আমেরিকা), ডিএমইউ(আল্ট্রা)
কনসালটেন্ট -কার্ডিওলজি।
জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
হৃদরোগ, বাতজ্বর ও উচ্চ রক্তচাপ রোগ বিশেষজ্ঞ
চেম্বার :
মাধবপুর মা-মনি হাসপাতাল
হাজী রুপু মিয়া ভবন (সেমকো ফিলিং ষ্টেশনের বিপরীতে)
মাধবপুর, পৌরসভা, হবিগন্জ্ঞা।
তথ্য,সেবা,সিরিয়াল:
০১৭০৫৪৭৬৭২৫,০১৭০৫৪৭৬৭২৪,০১৭০৫- ৪৭৬৭২৬.
রোগী দেখার সময়:
প্রতি বুধবার সকাল ৯.০০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/ডা-অনির্বাণ-মোদক-পূজন-106765094929779