সমস্যার লক্ষণ সমূহ
* চুলকানো * ত্বক লাল হয়ে যায় * ঐ স্থানের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় * জ্বালা যন্ত্রণা হয় * কিছু ক্ষেত্রে ত্বক ফেটে রক্তপাত হতে পারেত্বক ছিলে যাওয়ার কারণ সমূহ
* ভেজা অবস্থায় ত্বকের সঙ্গে অন্য অঙ্গের ঘর্ষণ * কাপড়ের সুতা যদি আরামদায়ক না হয় তবে * কাপড়ের সঙ্গে দ্রুত ঘষা লাগা অন্যতম কারণ কিছু স্বাভাবিক অবস্থা এর জন্য বেশি দায়ী হতে পারে যেমন- * দীর্ঘসময় সাইকেল চালালে অথবা দৌড়ালে * খেলোয়াড়দের * শারীরিক স্থুলতা থাকলে বা নেশি মোটা মানুষের * যেসব মায়েরা সন্তান্দের বুকের দুধ পান করান এ ধরনের ক্ষেত্রে ঘন ঘন ত্বক ছিলে যাওয়ার সমস্যা হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। এর থেকে র্যাশ দেখা দেয় এবং দীর্ঘদিন থাকলে ত্বক স্থায়ীভাবে উজ্জ্বলতা হারায়, ঐ স্থান কালো বর্ন ধারন করে। তাই নিয়মিত সামান্য পরিচর্যায় সকল সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব। কিছু পরিচর্যার পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো-- ১। আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার রাখাঃ ত্বক যখনই ছিলে যায় বা ক্ষত সৃষ্টি হয়, সাথে সাথে ঐ স্থান পরিষ্কার করতে হবে দ্রুত সেরে ওঠার জন্য এবং সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য। * উষ্ণ পানি দিয়ে নরম তোয়ালে বা কাপড়ের সাহায্যে আস্তে আস্তে ঐ স্থান পরিষ্কার করতে হবে, খুব সাধারণ সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে * এরপর শুষ্ক কাপড়ের সাহায্যে মুছে ফেলতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে যেন পরিস্কারের পর ক্ষত স্থান ভেজা না থাকে
- ২। বরফঃ আক্রান্ত স্থানে ব্যাথা ও জ্বালাপোড়া দ্রুত কমিয়ে দিতে বরফের বিকল্প নেই। * তোয়ালে বা এক খন্ড কাপড়ে কয়েকটি বরফের টুকরো পেচিয়ে নিতে হবে। * উক্ত স্থানে ৫ মিনিট চেপে ধরে রাখতে হবে * কিছু সময় বরফ উঠিয়ে আবার একই পদ্ধতি অনুসরন করতে হবে
- ৩। নারিকেল তেলঃ ত্বকের সমস্যার দারুণ সমাধান খুবই সহজেই পাওয়া যায় এমন প্রাকৃতিক উপাদান নারিকেল তেল। * ১ চামচ নারিকেল তেল নিতে হবে * হাতের তালুতে বেশ পরিমাণে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে ভালো ভাবে মেখে দিতে হবে * ত্বকের তেল সম্পুর্ন শুষে নেওয়া অবধি অপেক্ষা করুন
- ৪। ঘৃতকাঞ্চন বা অ্যালোভেরা জেলঃ ত্বকের ক্ষত পূরণে অ্যালোভেরা ভীষণ উপকারী তাই এ ধরনের র্যাশ সহজেই সারিয়ে তোলে এবং এর জীবাণু প্রতিরোধী গুনের কারণে সংক্রামন রোগের থেকেও রক্ষা করে। * একটি অ্যালোভেরা পাতা নিয়ে কেটে সবটূকু জেল বের করে নিতে হবে। * আক্রান্ত স্থান ও তার আশেপাশে বেশ কিছু জায়গায় ভালোভাবে মেখে দিতে হবে * ২০/৩০ মিনিট পর পরিষ্কার করে ফেললেই হবে
- ৫। জলপাই তেলঃ ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় জলপাই তেলের কার্যক্ষমতা অতুলনীয়। ত্বক শীতল করে এবং দ্রুত সমাধান করে র্যাশের সমস্যা। ‘ * হাতের তালুতে যথেষ্ট পরিমাণে পরিষ্কার জলপাই তেল নিতে হবে * লাল হয়ে ওঠা স্থানে ধীরে ধীরে লাগিয়ে দিতে হবে ত্বক সম্পুর্ন তেল শুষে নেওয়া অবধি * ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। * রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করে সারা রাত রেখে দিলে অধিক উপকার পাওয়া যায়
- ৬।কাঁচা হলুদঃ ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধী উপাদান সমৃদ্ধ কাঁচা হলুদ ত্বকের উপরের এ সমস্যাকে খুব তাড়াতাড়ি সেরে তোলে। * ৩ চামচ কাঁচা হলুদের গুঁড়ো এর সঙ্গে পরিমাণ মত প্রায় ২ চামচ পানির সঙ্গে মিশিয়ে ঘন মিশ্রনের পেস্ট তৈরি করতে হবে। * আক্রান্ত স্থানে এই মিশ্রণ মেখে দিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে তা শুকিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত। * দিনে কয়েকবার এটা ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ৭। নিম পাতাঃ অনেক ঔষধি গুন সম্পন্ন প্রাকৃতিক উপাদান নিম। * পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে পরিমাণ মত নিম পাতা নিতে হবে। * পাতা গুলো বেটে পানির সাথে মিশিয়ে এই মিশ্রণ ক্ষত সাথানে লেপে দিতে হবে। * ২৫/৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে উপকার পাওয়া যায়।