কড়া বা জামুড়ার কারণ সমুহ
* পায়ের নির্দিষ্ট স্থানে ক্রমাগত আঘাত লাগা যেমন শক্ত বা অসামঞ্জস্য চামড়ার জুতা, উঁচু হীল যুক্ত জুতা ইত্যাদি। * ত্বকের অধিক শুস্কতা। * হাত দিয়ে ভারী যন্ত্রপাতির কাজ দীর্ঘদিন ধরে করতে থাকলে হাতের তালুতে বা আঙ্গুলে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। * পায়ের হঠাত আঘাত বা হাড়ের খতর কারণে হতে পারে । * ডায়েবেটিস রোগী যাদের পায়ে রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা আছে তাদের হতে পারে।লক্ষণ সমূহ
* শক্ত ও উঁচু চামড়ার স্তর * চাপ পড়লে ব্যাথা অনুভূত হওয়া * ধীরে ধীরে কালো রঙ ধারন করতে পারে খুব সাধারণ সমস্যার অতি সাধারণ কিছু সমাধান-- ১। আরামদায়ক জুতা ব্যবহার করাঃ ক্রমাগত হাঁটাহাঁটি তে ঘর্ষণের কারণে ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে যা থেকে ধীরে ধীরে জামুড়ার জন্ম হয়। * শক্ত জুতা ব্যবহার করা একেবারেই উচিৎ নয়। * পায়ে পুরোপুরি ফিট করে এমন জুতা ব্যবহার করা আবশ্যক সব সময়। * ৩/৪ জোড়া জুতা নিয়মিত বদল করে পরা উচিৎ যাতে একই জুতার কারণে পায়ের নির্দিস্ট স্থানেই সব সময় চাপ না পড়ে।
- ২। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারঃ ত্বকের শুস্কতা জামুড়া হওয়ার অন্যতম কারণ। * রেড়ীর তেল অথবা নারিকেল তেল ঘুমানোর পূর্বে পায়ে ও হাতে ব্যবহার করলে তা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। * রেড়ীর তেল পায়ের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে যা চামড়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।
- ৩। গরম পানির ব্যবহারঃ সব থেকে প্রাথমিক এবং সহজ সমাধান হলো গরম পানি। * পারে হালকা গরম পানি নিতে হবে। * আক্রান্ত পা অথবা হাত পানিতে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। * ঐ স্থানের শক্ত চামড়া একেবারে নরম হয়ে আসলে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিতে হবে পানি। * হাত দিয়ে খুব আলতো করে ধীরে ধীরে ঘসা দিয়ে চামড়ার উপরিস্তর তুলে ফেলার চেষ্টা করতে হবে।
- ৪। লেবুঃ ত্বকের যত্নে সব সময়ই লেবু দারুণ কার্যকরী একটি ফল। * রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, এ টুকরো লেবু ১ ইঞ্চি লম্বা ও চওড়ায় পায়ের পাতার মাপ অনুযায়ী কেটে নিতে হবে। * আক্রান্ত স্থানে লেবু রেখে সুতি কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে অথবা মোজা ও ব্যবহার করা যেতে পারে সারা রাত। * এ পদ্ধতি কিছুদিন ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে শক্ত চামড়া বিলুপ্ত হয়।
- ৫। পেয়াজঃ ঝাঁঝালো এ মসলা জামুড়া সমস্যা সমাধানে উপকারী ভীষণ। * একটি পাত্রে ভিনেগার নিয়ে তার মধ্যে কয়েক টুকরো পেঁয়াজ নিতে হবে। * পুরো দিন পেঁয়াজ এভাবে ভিজিয়ে রেখে রাতে ঘুমানোর আগে আক্রান্ত স্থানে বেঁধে দিতে হবে। * কয়েকদিন পর জামুড়া যথেষ্ট নরম হয়ে যায় এবং হাতের সামান্য ঘসাতেই আলগা হয়ে পড়ে।
- ৬। পাউরুটিঃ পাউরুটির মধ্যে থাকা ব্যক্টেরিয়া ও ময়দার গুনাগুন ত্বকের স্বাস্থ্যের অনুকুলে। * পাউরুটির টুকরো ভিনেগারে ভিজিয়ে রাখতে হবে সারাদিন। * রাতে ঘুমানোর পুর্বে শক্ত হয়ে যাওয়া চামড়ার স্থানে লাগিয়ে নিতে হবে। * সকালে উষ্ণ গরম পানিতে ঐ স্থান ধুয়ে ফেলতে হবে।
- ৭। খাবার সোডাঃ * একটি পাত্রে হালকা গরম পানি নিতে তাতে ৩/৪ চামচ খাবার সোডা মিশিয়ে নিতে হবে। এর মধ্যে ১০ মিনিট পা ডূবিয়ে রাখলে জামুড়া স্থান নরম হয়। কিছুদিন এ পদ্ধতি ব্যবহার করলে হাতের সামান্য ঘসাতেই তা উঠে আস্তে শুরু করে স্তরে স্তরে। * বাটিতে ১ চামচ লেবুর রস, ২ চামচ জলপাই মিশাতে হবে। ২ চামচ খাবার সোডা নিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি হবে। জামুড়ার উপরে ও আশেপাশের ত্বকে ভালোভাবে লেপে দিতে হবে। প্রতিদিন একবার করলে কিছু দিনেই সুপকার পাওয়া যায়।