ডায়াবেটিস এর কারণ
* অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস * পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারের অভাব * নিয়মিত শরীর চর্চা না করা * জীনগত কারণে বা বংশ পরম্পরায় হতে পারে * বয়স জনিত কারণেডায়াবেটিস এর ফলাফল
যে ধরনের ডায়াবেটিসই দেখা দিক না কেন, রোগীর দৈনন্দিন জীবন ধারণের পদ্ধতিই বদলে ফেলতে হবে। সম্পুর্ন নিরাময় করা সম্ভব না হলেও, এটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়। তবে অভ্যাসের পরিবর্তন না করলে হৃদরোগ, দৃষ্টি শক্তি অমে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে উচ্চমাত্রার কোলেস্টরেল ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে।তেতো রস ও ডায়াবেটিস
তেতো খাবার ডায়াবেটিস কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে। তবে তা সরাসরি রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে দেয় এ ধারণা ভুল। যদি তেতো খাবারে যথেষ্ট কার্বোহাইড্রেট থাকে তবে তা কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। তবে এক্ষেত্রে রস করে খেলে দারুণ কার্যকরী হয়। তেতো রস সুগার নিয়ন্ত্রন করে, ইনসুলিনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে, লিভার এবং অন্যান্য পেশীতে গ্লাইকোজেনকে উদ্দীপ্ত করে, এছাড়াও শরীরে গ্লূকোজ জমা থেকে বিরত রাখে। এত সব গুন থাকা সত্ত্বেও খেতে ভালো লাগেনা বলে অনেক রোগীই এটি খাওয়ায় উৎসাহ বোধ করেন না। এখানে সহনীয় মাত্রায় খাবার উপযোগী রস তৈরির উপায় বর্ণনা করা হলো।- ১। শসা ও করলার রসঃ প্রয়োজনীয় উপকরন - * ২টি বড় করলা * ১টি মাঝারী আকারের শসা * ১টি সবুজ আপেল * ১/২ লেবু * ১/২ টেবিলচামচ বা পরিমান মতো লবণ রস তৈরির ধাপসমূহ - * করলা ভালোভাবে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিতে হবে এবং ছুরি দিয়ে উপরের খোসা ছিলে ফেলতে হবে। * লম্বা ভাবে কেটে ভিতর থেকে বিচি এবং অপ্রয়োজনীয় আঁশ ফেলে দিতে হবে এবং ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। * গামলায় পানিতে করলার টুকরো গুলো ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে, এর মধ্যে ১/২ চামচ লবণ দেওয়া যেতে পারে। * এরপর শসা খোসা ছিলে , টুকরো করে কাটতে হবে। * সবুজ আপেল খোসা সহ ছোট করে কেটে নিতে হবে। * অতঃপর ভিজিয়ে রাখা করলা, আপেল ও শসা টুকরো ব্লেন্ডারে দিয়ে অথবা বেটে রস করতে হবে। * ১ গ্লাস এ শরবতের মধ্যে ১/২ লেবু চিপে রস মিশিয়ে দিতে হবে। দৈনিক খালি পেটে এক গ্লাস করে এ শরবত খাওয়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে দারুণ কার্যকরী।
- ২। কাঁচা হলুদ ও করলার শরবতঃ প্রয়োজনীয় উপকরন - * ২টি করলা * ১/২ লেবু * ১/৪ টেবিলচামচ কাঁচা হলুদের গুঁড়ো * ১ চিমটি হিমালয় লবণ * ১/২ চামচ সাধারণ লবণ শরবত তৈরির পদ্ধতি * করলা ভালোভাবে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিতে হবে এবং ছুরি দিয়ে উপরের খোসা ছিলে ফেলতে হবে। * লম্বা ভাবে কেটে ভিতর থেকে বিচি এবং অপ্রয়োজনীয় আঁশ ফেলে দিতে হবে এবং ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। * গামলায় পানিতে করলার টুকরো গুলো ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে, এর মধ্যে ১/২ চামচ লবণ দেওয়া যেতে পারে। * ভিজানো করলা জুশার মেশিনে দিয়ে অথবা বেটে রস প্রস্তুত করতে হবে। * এ শরবতে ১/২ লেবুর রস, ১/২ টেবিল চামচ কাঁচা হলুদের গুঁড়ো এবং ১ চিমটি হিমালয় লবন মিশিয়ে নিতে হবে। খালি পেটে দৈনিক এ শরবত পানে রক্তে চিনির মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকে।