কোমল পানীয়তে স্বাস্থ্যের যেমন অপকারীতা রয়েছে তেমনি এর বাজারমূল্যও বেশি। তাই এটির প্রাকৃতিক বিকল্প হিসেবে কি কি পানীয় হিসেবে খাওয়া যেতে পারে আসুন দেখে নিই।
পানি: পানি সবচেয়ে ভালো পানীয়, কারণ এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং এতে কোনো ক্যালোরি বা চিনি থাকে না। আপনি পানিতে লেবু, আপেল, বা শসা যোগ করে এর স্বাদ বাড়াতে পারেন।
ফলের রস: ঘরে তৈরি ফলের রস, যেমন কমলা, আপেল, বা আঙ্গুরের রস, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। বাজারে বিক্রি হওয়া ফলের রসের পরিবর্তে ঘরে তৈরি রস পান করা ভালো কারণ বাজারজাত রসে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে।
নারকেল পানি: নারকেল পানি একটি ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং পটাশিয়ামের যোগান দেয়। সামনের গরমের সময় পান করার জন্য একটি দুর্দান্ত পানীয় এ নারকেল পানি।
ভেষজ চা: ভেষজ চা হলো ভেষজ, মশলা বা ফুল দিয়ে তৈরি এক ধরনের চা। এটি ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসার একটি রূপ হিসাবে শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
ছাছ: ছাছ একটি ঐতিহ্যবাহী বাঙালি পানীয় যা দই দিয়ে তৈরি। এটি প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ, যা হজশক্তি বাড়াতে করতে সাহায্য করে।
বাদাম দুধ: বাদাম দুধ, যেমন কাজু বাদাম দুধ, সয়া দুধ, বা বাদাম দুধ এগুলো মাঝে মাঝে পান করতে পারেন।
স্মুদি: স্মুদি তৈরি করতে আপনি বিভিন্ন ধরণের ফল, শাকসবজি, এবং বাদাম ব্যবহার করতে পারেন। এগুলি ভিটামিন, খনিজ, এবং ফাইবার সমৃদ্ধ।
কফি: কফি একটি জনপ্রিয় পানীয় যাতে ক্যাফিন রয়েছে। ক্যাফিন ক্লান্তি দূর করাসহ, কর্মক্ষমতা বাড়ানোয় উপকারী হতে পারে।
লাচ্ছি: দই দিয়ে তৈরি একটি জনপ্রিয় পানীয়। এটি শুধু সুস্বাদুই নয়, বরং এর স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারিতা রয়েছে। লাচ্ছিতে প্রোবায়োটিক থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পেটের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে লাচ্ছি অনন্য ভূমিকা পালন করতে পারে।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/trust.a.dietitian
লেখক
Nusrat Jahan
Nutrition and Diet Consultant
www.facebook.com/trust.a.dietitian