এলার্জি বেশ পরিচিত একটা সমস্যা এটি। অতিরিক্ত ধুলাবালি পূর্ণ স্থানে গেলে হাঁচি, কাশি চোখ বা নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘদিন এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করলে এ স্থায়ী জটীল রোগ অ্যাজমা, ফুসফুসের রোগ বা হাঁপানির মত জটিল সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
ধুলোর এলার্জি মোকাবেলা
সবথেকে উত্তম কৌশল হলো ধুলাবালি এড়িয়ে চলা এবং সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। শোবার ঘরে একটা দীর্ঘসময় কাটাতে হয় তাই অবশ্যই সেখানের সকল আসবাব বিশেষ করে বিছানার চাদর, বালিশ বা কার্পেট ইত্যাদি অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে। পরিষ্কার করার সময় মাস্ক ব্যবহার করা আবশ্যক।
বাইরের ধুলা প্রতিরোধ
রাস্তাঘাটে যাওয়ার সময় অবশ‌্যই মাস্ক ব‌্যবহার করুন। ধুলোময় রাস্তা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হলে এড়িয়ে যান।
শোবার ঘরের ধুলা প্রতিরোধ
* বায়ু চলাচল মুক্ত বালিশের কভার ব্যবহার করুন। সুতি কাপড়ের পরিবর্তে পলিএস্টার বা প্লাস্টিক জাতীয় মাথার বালিশ, কোল বালিশ বা বিছানা মুড়িয়ে রাখা উত্তম।
* সপ্তাহে একদিন বিছানার চাদর ও বালিশের কভার গরম পানিতে ভিজিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এতে ধুলোর পোকা গুলো মরে যায় এবং গরম শুস্ককারক অথবা চড়া রোদে সেগুলো শুকাতে হবে।
* শোবার ঘর নিচতলায় হলে তা পরিবর্তন করা উচিৎ। নিচে স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া ডাস্ট-মাইট বেড়ে ওঠার জন্য উপযোগী। তাই পর্যাপ্ত আলোবাতাস যুক্ত শুষ্ক পরিবেশ বসবাসের জন্য উত্তম।
ঘরের মধ্যের ধুলা পরিষ্কার
* মেঝে সবসময় প্রথমে ঝাড়ু দিয়ে এরপর ভিজা কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছতে হবে।
* ঘরে কার্পেট বিছানো থাকলে অবশ্যই সপ্তাহে এক বা দুইদিন ভ্যাকিউম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। যদি ধূলিকণার অ্যালার্জি গুরুতর হয় তবে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে যদি মেঝে ও প্রাচীরের কার্পেটিংয়ের পরিবর্তে কাঠ বা ভিনাইল মেঝে এ সমস্যার সমাধানে কার্যকরি হতে পারে।
* কাঁথা ও কম্বল গরম পানিতে ধৌত করতে হবে।
* ভ্যাকুয়াম ক্লিনারে গৃহসজ্জার সামগ্রী যেমন সোফাসহ কাঠ, চামড়া, প্লাস্টার বা ধাতব আসবাব ধুলা পরিস্কারে ব্যবহার করা অ্যালার্জির প্রতিরোধে কাজ করে।
* পোষা প্রাণীর লোম থেকে এলার্জি দেখা দিতে পারে তাই অবস্থা বুঝে এড়িয়ে চলা উত্তম। লোমশ খেলনা সামগ্রী পুতুল ইত্যাদিও বর্জন করা উচিৎ।
ঘরের বাতাস শুষ্ক রাখা
* ভেজা ও অধিক আর্দ্রতা এলার্জি প্রবণতা বৃদ্ধি করে। তাই ঘরের বাতাসের আদ্রতা কমিয়ে রাখতে হবে।