ফলে কেউ কেউ মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে আত্মহননের পথও বেছে নেয়। শুধু তরুণ প্রজন্ম বা প্রাপ্ত বয়স্কই নয় একটি শিশুর সহজাত মানসিক বিকাশেও বুলিং ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ইতিবাচক মানসিকতা তৈরি করতে বুলিং-মুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
ইংরেজি ভাষায় ‘বুলিং’ বলতে কাউকে মানসিকভাবে আঘাত করার উদ্দেশ্যে তাকে বারবার বিভিন্নভাবে হয়রানি করাকেই বোঝায়। বুলিংয়ের ক্ষেত্রে সব সময়ই কোনো না কোনো প্রত্যক্ষদর্শী থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সামনে অপদস্থ করতে হাসির পাত্র হিসেবে উপস্থাপন করাই বুলিংয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য। বুলিং নানাভাবে হতে পারে। এর মধ্যে শারীরিক, মৌখিক, মানসিক, আবেগীয়, সাইবার, জাতিগত, যৌন হয়রানিমূলক নানা ধরনের বুলিংয়ের সঙ্গে আমরা পরিচিত।
অনেকেই বুলিং করাকে একটা ফান ভেবে নেন।কিন্ত এটা ফান না এটা এক ধরনের অপরাধ! খাবার নিয়ে যে কত রকমের বুলিং হয় তার হিসাব নাই। একজন যদি স্বাস্থ্যকর টিফিন আনে আরেকজন যে আনে না সেও হেসে বলে উঠে কি ডায়েট করো নাকি! এটা বাচ্চাদের সাথে কেবল না বড়দের সাথেও অনেক হয়। আমি ডায়েটিশিয়ান হওয়াতে রাস্তাঘাট এ, এমনকি খেতে বসলেও শুনতে হয় আরে তুমি ডায়েটিশিয়ান পোলাও খাচ্ছো কেন ? মানে আমি ডায়েটিশিয়ান বা পুষ্টিবিদ বলে আমাকে পাতা চিবিয়ে খেতে হবে আর কি!!
এভাবেই কিছু উচ্চ পদস্থ শিক্ষিত লোক ও বুলিং করতে ছাড়ে না। সেখানে স্কুলে খাবার নিয়ে বুলিং করা ত ডাল ভাত হয়ে গেছে।।।
স্কুল গুলো তে শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতার শিক্ষা নিয়ে এখন কাজ করতে দেখি না। সব বই পুস্তকে আটকে আছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও কিন্ত চাইলে মাসে একবার বাচ্চাদের নিয়ে একটা কাউন্সেলিং সেশন রাখতে পারেন যেখানে বুলিং একটা টপিক হতে পারে। নাহ এইসব মনে হয় স্কুলে আর হয় না।
স্কুলের কথা বাদ দিলাম, পরিবার ত সন্তানের জন্য আরো বড় স্কুল। সেখানে কি হচ্ছে? বাবা মা অভিভাবক যারা আছেন বাচ্চাকে ছোট থেকেই শিখাচ্ছেন এই সব আদব কায়দা, নীতি, শিষ্টাচার? পরিবার থেকে শিখে আসলে ত যে কোন পরিবেশে শিশু মানিয়ে নিতে পারতো! নিজের সন্তান কি করছে কি শিখছে বাবা মা হিসেবে সেটা খেয়াল রাখার দায়িত্ব কিন্ত আপনার ই।
স্কুলের মত বড় পরিবেশে পাঠানোর আগে প্রস্তুতি নেই আমরা বর্নমালা শিখাতে, এলফাবেট শিখাই। কিন্ত নেতিবাচক পরিস্থিতি কিভাবে সামলে নিবে সেটা ত শিখাতে ভুলে যাই। বাচ্চাকে কেউ বুলিং করলে সে যেনো তার সুন্দর প্রতিবাদ করতে পারে, ভেংগে না পড়ে সেই প্রস্তুতি ও তো নেয়া দরকার আমাদের। আমরা ত বাইরের মানুষ কে থামাতে পারবো না। কিন্ত আমার সন্তান কে শিখাতে পারবো কিভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঢাল হয়ে শক্ত হাতে দাড়াতে হয়!
মনে রাখবেন যে কোন ভালো কাজে অনেক বাধা থাকে। একটা ভালো খাদ্যভাস গড়ে তুলতেও কঠিন পরিশ্রম হয়।তার মানে এই না যে মানুষের কিছু কথায় হাল ছেড়ে দিবো। দিনশেষে আমিই ঠিক করবো আমার কি করা উচিত।আর আমার জন্য কি ভালো কি খারাপ। কারন আমার চেয়ে আমাকে কে বেশি ভালোবাসে।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/নিউট্রিশনিস্ট-সুমাইয়া-সিরাজী-102934114426153
লেখক
নিউট্রিশনিস্ট সুমাইয়া সিরাজী
Bsc (Hon's) Msc (food & Nutrition)
CND (BIRDEM), CCND (BADN)
Trained on Special Child Nutrition
Consultant Dientitiant (Ex)
Samorita Hospital
Mobile: 01750-765578,017678-377442
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/নিউট্রিশনিস্ট-সুমাইয়া-সিরাজী-102934114426153/