স্মৃতি একটি জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। আমাদের মধ্যে অনেকেই আমরা এইমাত্র যা শিখেছি তা ভুলে যাওয়ার প্রবনতা থাকে।অনেক সময় দেখা যায়, কোনো একটা সময় সবার উপর দিয়ে পড়াশোনার অনেক চাপ যায়। টার্ম পেপার, অ্যাসাইনমেন্ট, ল্যাব, প্রেজেন্টেশন, টার্ম ফাইনাল, কুইজ সব একসাথে এসে হাজির হয়। তাই সপ্তাহের অন্তত একটি দিন সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন রেখে ভার্সিটি-কলেজ-স্কুলের বাড়তি চাপকে সামাল দেয়া উচিত।
কেউ সারাদিন পড়ল কিন্তু কিছুই মনে রইল না, এমন হওয়ার চেয়ে তিন ঘন্টা পড়লাম যার সবটুকুই মনে আছে, এটাই উত্তম, এবং এটাই কাজে দেয়। সময়মত খাওয়া আর পর্যাপ্ত ঘুম না হলে পড়া কোন ভাবেই মনে থাকবে না। অনেকেই পরীক্ষার আগের রাত না ঘুমিয়েই সারারাত পড়ে। এতে করে দীর্ঘ সময়ের জন্যে ক্ষতি হতে পারে।
ব্যায়াম আমাদের স্মৃতিশক্তি এবং শেখার ক্ষমতাকে উন্নত করতে পারে কারণ এটি স্মৃতির সাথে সম্পর্কিত জায়গাগুলিতে নিউরন তৈরি করতে সহায়তা করে। কার্ডিও এবং রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং (ওজন) উভয়েরই শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে।
মানুষ কোনো কিছুর প্রতি আকর্ষণ অনুভব করলে তা সহজেই মস্তিষ্কে মেমোরি বা স্মৃতিতে রূপান্তরিত হয়ে যায় এবং তা স্মৃতিতে দীর্ঘস্থায়ী হয়। পড়ালেখা করার প্রতি আকর্ষণ বাড়ানোর অন্যতম উপায় পড়ার রুটিন বৈচিত্র্যময় করা। তাহলে মনে থাকবে সহজে, ভুলে যাওয়ার প্রবনতা কমে আসবে।তবুও মানসিক চাপ বা সমস্যা হলে অবশ্যই একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/Dr-Fatema-Zohra-Psychiatrist-Specialist-in-Family-Medicine-293734764582169
লেখক
ডা. ফাতেমা জোহরা
MBBS(DU), MD Psychiatry (BSMMU), FMD(USTC), DHMS(BD)
মনোরোগ, যৌনরোগ ও মাদকাসক্তি নিরাময় বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক
মানসিক রোগ বিভাগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/Dr-Fatema-Zohra-Psychiatrist-Specialist-in-Family-Medicine-293734764582169