সব পিতামাতার একটি উদ্দেশ্য থাকে, বাচ্চাদের ভালো চরিত্র গঠন করা। সব পিতামাতাই চান সন্তানের জন্য এমন পদক্ষেপ নিতে যা তাদের বাচ্চাদের বিকাশ কার্যকরি করবে এবং আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি পেয়ে ভবিষ্যতে সুন্দর মানবিকগুনাবলি সম্পন্ন মানুষ হবেন। ভালোভাবে লালন-পালন করতে গিয়ে পিতামাতারা বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করেন। কিছু কিছু বাবা-মায়েরা ভালোবাসার পরিবর্তে বাচ্চাকে চাপে রাখেন, তারা মনে করেন বাচ্চাকে চাপে রাখলে তাদের সুন্দর ব্যক্তিত্ব গঠন সহায়তা করা যায়। গবেষণায় প্রমানিত হয়েছে, পিতামাতার উষ্ণতা এবং ভালবাসার অভাব বাচ্চাদের আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে, কারন এসব পিতামাতা তাদের স্নেহের সাথে ভারসাম্য না রেখে সফল হওয়ার জন্য তাদের উপর প্রচুর চাপ প্রয়োগ করেন। এসব শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয় এবং তাদের আত্মবিশ্বাস এবং আত্মমর্যাদাবোধের অভাব দেখা যায়।
বাচ্চাকে ভালবাসার উপকারিতা:
-আপনার সন্তানের মানসিক সুস্থতায় সহাযতা করে।
- আপনার শিশুকে শারীরিকভাবে স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
- আপনার সন্তাানের মস্তিস্কের বিকাশ এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
-পিতা-মাতার এবং সন্তানের মধ্যে আরও দৃঢ মানসিক বন্ধন তৈরি করে।
- আপনার শিশুকে আত্মবিশ্বাসী হতে সহায়তা করে।
- আপনার শিশুর আত্মমর্যাদাবোধ বাড়াতে সহায়তা করে।
কীভাবে আপনার সন্তানকে স্নেহ-ভালবাসা দেখাবেন?
অনেকেই জানতে চান, পিতা-মাতা কিভাবে সন্তানের সাথে স্নেহ-ভালোবাসার আদান-প্রদান করতে পারেন। প্রতিটি বাবা-মায়ের বাচ্চাদের প্রতি ভালবাসা এবং স্নেহ প্রদর্শন করার নিজস্ব অনেকগুলি উপায রয়েছে, প্রতিটি বাবা-মাই ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে তাদের সন্তানদের ভালোবাসা প্রদান করতে পারেন। বাচ্চাদের স্নেহ-ভালোবাসা প্রদশর্নের জন্য নিম্নের পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করা যেতে পারেঃ
এক.আপনার সন্তাানেরা যখন ছোট থাকে তখন বাচ্চাদের জড়িয়ে ধরে, তাদের স্পর্শ করে স্নেহ-ভালোবাসা প্রদর্শন করতে পারেন।
দুই.আপনার সন্তাানের সাথে পারস্পরিক খেলাধুলা করার মাধ্যমে ভালবাসা এবং স্নেহ প্রদর্শন করতে পারেন।
তিন. আপনার বাচ্চাদের সাথে বাইরে গেলে তাদের হাত ধরার মাধ্যমে ভালোবাসা প্রকাশ করা যেতে পারে।
চার.আপনার সন্তাানের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার মাধ্যমে তার প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করতে পারেন।
পাঁচ.আপনার বাচ্চাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন না করার মাধ্যমে তাদের প্রতি স্নেহ ও ভালোবাসা প্রদর্শন করতে পারেন।
ছয়.আপনার বাচ্চা একটু বড় হলে তাদের বয়স উপযোগী ছোট ছোট পুরুষ্কার প্রদান করার মাধ্যমে তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করতে পারেন।
সাত.আপনার বাচ্চার জীবনের গুরুত্বপূর্ন মূহুত্বগুলো স্মরণ করা কিংবা উদযাপন করার মাধ্যমে তাদের স্নেহ-ভালোবাসা প্রদর্শন করতে পারেন।
আট.আপনার সন্তানেরা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তাকে গুডবাই বলার মাধ্যমে তাদের প্রতি স্নেহ-ভালোবাসা প্রদর্শন করতে পারেন।
নয়.প্রতিদিন সকালবেলা বাসা থেকে বের হবার সময় তাকে চুম্বন করার মাধ্যমে স্নেহ-ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারেন।
জিয়ানুর কবির
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিষ্ট
বি-এস.সি (অনার্স), সাইকোলজি
পিজিটি (সাইকোথেরাপি)
এম.এস ও এম.ফিল (ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি)।
কল্যাণ মানসিক হাসপাতাল
দক্ষিণ কল্যানপুর,মিরপুর রোড, ঢাকা
ফোন নম্বর:০১৭৪৮৭৮৭৮২৩
আরও বিস্তারিত জানতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/jianur.kabir