বর্তমানে অনেকেই মন খারাপ হলেই বিষন্নতায় আক্রান্ত বলে মনে করে চিকিৎসার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। আবার কেউ কেউ বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়েও সেটাকে মনখারাপ বলে গুরুত্ব দেয় না এবং চিকিৎসা নিতে চায় না। তাই মন খারাপ ও বিষন্নতার গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্যগুলি নিচে দেয়া হলো;
১
মন খারাপ একটি স্বাভাবিক আবেগ অন্যদিকে বিষন্নতা একটি আবেগজনিত মানসিক রোগ ।
২
মন খারাপ বা স্যাডনেস বিষন্নতার একটা লক্ষন এর সাথে আরোও কয়েকটি লক্ষণ (সবমিলে কমপক্ষে ৫টি) থাকলে তাকে বিষন্নতা বলা হয়।
৩
বেশিরভাগ মানুষের জীবনে কোন না কোন সময়ে মন খারাপ হয় কিন্তু অল্প কিছু মানুষ বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশে ৬.৭%মানুষ বিষন্নতায় আক্রান্ত (জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনিস্টিউট-২০১৯)।
৪
মন খারাপ সাধারণত অল্প কিছুদিন থাকে এটা ক্ষনস্থায়ী অন্যদিকে বিষন্নতা দীর্ঘদিন অর্থাৎ ১৪ দিন বা তার বেশি সময় থাকে।
৫
বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই মন খারাপের কারণ জানা যায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিষন্নতার কারণ জানা যায় না।
৬
মন খারাপের সময় শারীরিক লক্ষণ থাকে না। কিন্তু বিষন্নতায় শারীরিক লক্ষণ থাকে (যেমন- খাবার রুচির বেশি বা কম, ঘুমের পরিমান বেশি বা কম ইত্যাদি)।
৭
মন খারাপের সময় কাজকর্মের আগ্রহ কিছুটা থাকে। এই সময় প্রিয়কাজ করতে ভালো লাগে তবে বিষন্নতায় কাজকর্ম করার আগ্রহ মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়।
৮
মন খারাপের জন্য কখনোই ব্যক্তিগত, পারিবারিক, পেশাগত কাজকর্ম ও জীবনযাত্রা তেমন ব্যাহত হয় না। কিন্তু বিষণ্ণতার কারনে ব্যক্তির ব্যক্তিগত, সামাজিক, পারিবারিক এমনকি পেশাগত জীবন চরমভাবে ব্যহত হয়।
৯
বাইরে ঘুরতে গেলে, প্রিয়জনের সাথে ভালো সময় কাটালে কিংবা ভালো খাবার খেলে মনখারাপ ভালো হয়ে যায় কিন্তু বিষন্নতা ভালো হয় না।
১০
বিষন্নতার জন্য সাইকোথেরাপি বা মেডিসিন বা কোন কোন সময়ে দুই চিকিৎসারই প্রয়োজন হয় কিন্তু মন খারাপের জন্য সাধারণত চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।
লেখক
জিয়ানুর কবির
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিষ্ট
বি-এস.সি (অনার্স), সাইকোলজি
পিজিটি (সাইকোথেরাপি)
এম.এস ও এম.ফিল (ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি)।
কল্যাণ মানসিক হাসপাতাল
দক্ষিণ কল্যানপুর,মিরপুর রোড, ঢাকা
ফোন নম্বর:০১৭৪৮৭৮৭৮২৩
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/jianur.kabir