পায়ুপথের রোগের মধ্যে পাইলস বা অর্শ খুবই কমন একটি রোগ । যা বেশিরভাগ মানুষেরই হয়। যার ভালো চিকিৎসাও আছে। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগী পুরোপুরি সুস্থও হতে পারে।
হেমোরয়েডস বা পাইলস কী?
মলাশয়ের নিচের অংশ বা মলদ্বারের শিরাগুলো ফুলে যাওয়াকেই পাইলস বা হেমোরয়েডস বলে।
যে লক্ষণ দেখে বোঝা যায়-
মলের সাথে ব্যাথাবিহীন রক্ত পড়া(তাজা বা ফ্রেস ব্লেডিং)পাইলসের প্রধান লক্ষণ।
অন্যভাবে বলা যায়, পাইলসের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া, মলদ্বারে মাংসপিণ্ড ফুলে ওঠা, যা কখনও কখনও মলদ্বারের বাইরে ঝুঁলে পড়ে এবং হাত দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দিতে হয়। এ সময় যে রক্ত পড়ে সেটি সাধারণত টাটকা লাল হয়ে থাকে।
কখন অপারেশন করাবেন ?
অনেক রোগী প্রশ্ন করে থাকেন, অপারেশন ছাড়া ঠিক করা যাবে কিনা, সার্জারির পরে সেটি আবার হবে কিনা ?
ফার্স্ট ডিগ্রি পাইলস এর ক্ষেত্রে : সার্জারির প্রয়োজন হয় না।এখানে চিকিৎসার দুটি ধাপ রয়েছে। প্রথমত রোগীর জীবনযাপন পরিবর্তন করা ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা। এ জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা, শাকসবজি খাওয়া ও প্রয়োজনে ইসপগুলের ভুসি খেতে পারেন ।
সেকেন্ড ডিগ্রিতে : এখানেও ওষুধপত্র দিয়ে সমাধান করা যায়। এর পর রোগীর অবস্থার উন্নতি না হলে তখন কাটাছেঁড়া ছাড়াও এই রোগের চিকিৎসা করা যায়।
তখন আমরা একটা প্রসিডিউর করি, যেটাকে বলা হয় ব্যান্ডিং। একটি রাবার ব্যান্ডের মতো জিনিস, যেটা রক্তনালির টিউমারের মুখে পরিয়ে দেয়া হয়। তখন পাইলস অটোমেটিক্যালি শুকিয়ে ঝরে যায়। এ ক্ষেত্রে কোনো কাটাছেঁড়া করতে হয় না।
আগের চেয়েও যদি বেড়ে যায়, থার্ড বা ফোর ডিগ্রির দিকে চলে আসে, তখন সার্জারি করা হয়।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী তিনটি পদ্ধতিতে অপারেশন বেশি প্রচলিত:
১.ব্যান্ডিং ,
২.লংগো অপারেশন ও
৩.প্রচলিত(কেটে)অপারেশন।
'রিংলাইগেশন ও লংগো'অপারেশনে মলদ্বারে কোনরূপ কাটাছেড়া ছাড়াই ৯০-৯৫% রোগীর পাইলস রোগের সমাধান সম্ভব। সল্প খরচে, উন্নতমানের চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি । মাত্র ১ দিনেই অপারেশন করে ছুটি ।
ডাঃ মোঃ মাজেদুল ইসলাম
এমবিবিএস, এফসিপিএস (সার্জারি)
জেনারেল, কোলোরেক্টাল এবং ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন।
সহকারী অধ্যাপক ,মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মানিকগঞ্জ।
চেম্বার:
ডেলটা কেয়ার হাসপাতাল লি.
মিরপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ কমপ্লেক্স, মিরপুর ১১
সিরিয়ালের জন্য : 02-58055111-15, 01407-075714,০১৭১২১২৭৫৭৩
(মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকা থেকে ১০ ঘটিকা )
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/emonsurgeon