আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে অনেক পরিবর্তন হওয়ায় নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়। তারপর আছে তীব্র গরম। শরীরে হবে পানিশূন্যতা ।আর আমরা খাই ভাজাপুরা, ফাস্টফুড, অতিরিক্ত মসলা ও চর্বি জাতীয় খাবার কিন্তু আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া হয় কম। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় বেশী । আর কোষ্ঠকাঠিন্যর জন্যই আমরা পায়ুপথ ও মলদ্বারের সমস্যায় ভুগি বেশী।
সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে পায়ুপথ ও মলদ্বারের সমস্যাগুলোও বেশী হচ্ছে। এ সমস্যাগুলোর মাঝে সবচেয়ে বেশী হয় কোষ্ঠকাঠিন্য , মলদ্বার দিয়ে রক্ত যাওয়া, ও মলদ্বারে ব্যথা হওয়া। অধিকাংশ মানুষই এই সমস্যায় ভুগে। আমাদের একটু সচতেনতাই এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি দিতে পারণঃ
পাইলসের লক্ষনঃ
পাইলস হলে পায়খানার সাথে অথবা আগে বা পরে রক্ত যাবে । রক্ত একদম তরতাজা যাবে। ফুটা ফুটা হয়ে রক্ত যাবে অথবা পিচকারি দিয়ে যাবে। অনেক সময় শক্ত পায়খানা হলে পায়খানার গায়ে লাগানো থাকবে বা টিস্যু পেপারে রক্তের দাগ লাগানো থাকবে কিন্তু কোন ব্যথা সাধারনত থাকে না।
ফিসারের লক্ষনঃ
ফিসার হলেও রক্ত যাবে কিন্তু খুবই অল্প পরিমানে যাবে। ফুটা ফুটা হয়ে যাবে না। পায়খানার গায়ে লাগানো থাকবে অথবা টিস্যু পেপারে রক্তের দাগ লাগানো থাকবে। কিন্তু প্রচণ্ড ব্যথা হবে। টয়লেট করতে ভয় হবে ব্যথার কারনে।
প্রতিরোধের উপায়ঃ
অথচ আমরা একটু সাবধান হলে , খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে ও নিয়ম কানুন মেনে চললে আমরা খুব সহজেই এ সমস্যা গুলো এড়িয়ে চলতে পারি। তাই আমাদের খাদ্যতালিকায় আনতে হবে কিছু পরিবর্তন।
• বেশী করে পানি খান ,বেল অথবা পেঁপের শরবত খান।
• প্রয়োজনে এসপগুলের ভুষি পানিতে ভিজিয়ে লেবু চিপে শরবত করে খাবেন।
• এসপগুলের ভুষি পানিতে ভিজিয়ে সাথে সাথে খেতে হয়।খাওয়ার পর প্রচুর পরিমানে পানি খেতে হয়। এজন্য সকালে খাওয়াই ভালো। কারন সারাদিন অধিক পরিমানে পানি খাওয়া যায়। কারন এসপগুলের ভুষি খাওয়ার পর পানি কম খেলে এটাই কোষ্ঠকাঠিন্য করতে পারে। আর সমস্যা বারাতে পারে।
• মৌসুমি ফলমূল যেমন আম, জাম, পেয়ারা, লিচু, আমরুল, জামরুল বেশী বেশী খান।
• ছুলা, বুট, মুরি পরিহার করুন।
• আঁশযুক্ত খাবার যেমন- শাক সবজি,ফলমূল বেশি খাবেন,মাংশ কম খাবেন।
• ফাস্ট ফুড, বেশি মসলাযুক্ত, ঝাল ও চর্বি জাতীয় খাবার খাবেন না।
• পানি বেশি খাবেন,সফট ড্রিংকস খাবেন না।
• দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাতলা পায়খানা এড়িয়ে চলবেন।
• নিয়মিত টয়লেট /মলত্যাগ করবেন।
• অপ্রয়োজনে অধিক সময় টয়লেটে বসে থাকবেন না। টয়লেটে বসে ফেসবুক চাপা, পেপার পড়া পরিহার করুন।
• প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের বা কলোরেক্টাল সার্জনের পরামর্শ নিবেন। অপচিকিতসা বা কবিরাজি করে ভবিষ্যতের বিপদ ডেকে আনবেন না। কারন এখন অনেক আধুনিক উন্নতমানের ব্যথামুক্ত চিকিৎসা আমাদের হাতের নাগালেই আছে।
তাই নিজে সচেতন হন অন্যকে সচেতন করুন। কারন আমাদের একটু সচতেনতা, একটু সতর্কতা রক্ষা করতে পারে অনেক বিপদ থেকে। কারন জীবন একটাই। আর সুস্থ থাকার চেয়ে বড় নিয়ামত আল্লাহর কাছে আর নেই।
ধন্যবাদ
ডাঃ মোঃ আশেক মাহমুদ ফেরদৌস
FCPS(surgery) FISCP(India) Ms(Colorectal Surgery) Bangabandhu Sheikh Mujib Medical Univarsity
Chamber:
নেক্সাস হাসপাতাল-ঢাকা রোড - ময়মনসিংহ
Contact:01796586561
www.facebook.com/Colorectal-Care-Dr-Md-Ashek-Mahmud-Ferdaus-911427482298482/