শারীরিক সুস্থতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা , হাড় ও চোখের সুস্থতা সহ শরীরের সামগ্রিক সুস্থতায় ওমেগা-3 ফ্যাটি এসিডের তুলনা অনস্বীকার্য । শরীরের নানা কাজকর্ম চালাতে যে সব পলিস্যাচুরেটে়ড ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজন হয়, তার মধ্যে অন্যতম এই ওমেগা থ্রি।
গবেষণায় ইতিমধ্যেই প্রমাণিত, শিশুদের অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডার (এডিএইচডি)-এর মতো বিহেভিওরাল ডিজঅর্ডারের অন্যতম কারণ ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাব। মনোযোগের অভাব, শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া , ইত্যাদি নানা সমস্যার কারনই হলো এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতেও ওমেগা-3-র ভূমিকা তুলনাহীন। ক্ষতিকর ও নষ্ট হয়ে যাওয়া কোষগুলিকে ধ্বংস করে সেখানে নতুন কোষ তৈরি ও তা বিভাজনে সহযোগিতা করে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড।
আমেরিকার মেন্টাল হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের গবেষকদের দাবি, ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রাচুর্য মানসিক দুর্বলতা, হতাশা বাড়তে দেয় না। স্নায়ুকে শক্ত সামর্থ করে অবসাদ কাটাতে সাহায্য করে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড। গবেষণায় আরও প্রমাণিত, উদ্বেগে আক্রান্ত রোগীরা প্রতি দিন ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড নেওয়ার পর তাদের মানসিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটাই উন্নত হয়েছে।
ওমেগা-3 ফ্যাটি এসিড এর স্বাস্থ্য উপকারিতা
কোলেস্টেরল লেভেল কমায়
উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
ডায়বেটিস প্রতিরোধ করে
মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়
ত্বক সতেজ রাখে
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ওমেগা-3 ফ্যাটি এসিড এর উৎস
সামুদ্রিক মাছ- যেমনঃ টুনা ইলিশ রূপচাঁদা চিংড়ি
উদ্ভিজ তেল যেমন তিসি সয়াবিন
বাদাম জাতীয় যেমনঃবাদাম পেস্তা আখরোট
গাঢ় সবুজ শাক-সবজিতে কিছু পরিমাণে
ধন্যবাদ
Nusrat Jahan
Nutrition and Diet Consultant