শারীরিক সুস্থতা কে গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়া প্রয়োজন। মানসিক ভাবে কেউ আপসেট থাকলে বা দীর্ঘ দিন বিষণ্ণতার ভুগলে তার একটা বড়সড় প্রভাব কিন্তু খাবারে গিয়ে পড়ে। দুই রকম কমপ্লেইন পাই পেশেন্ট এর কাছ থেকে -
১. মানসিক অশান্তি তে আছি খাওয়া দাওয়া হচ্ছে তবুও ওজন বাড়ছে না।
২। অনেক বেশী ডিপ্প্রেসড শান্তি নাই মনে খুব কম খাই তাও ওজন বাড়ে।
অর্থাৎ মন ভালো থাকা না থাকার সাথে খাবারের একটা ব্যাপক পরিবর্তন হয়।
অনেক বেশি মানসিক চাপের কারনে একটা বিশাল শারীরিক পরিবর্তন ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি দেখা যায়। সামাজিক প্রেক্ষাপট এটার জন্য সবচেয়ে বেশী দায়ী। মেয়েদের উপর নানা ভাবে মানসিক নির্যাতন এই যুগেও চলছে আগে নির্মম ভাবে প্রকাশ্যে হত এখন সেটা গোপনে হয়। এছাড়াও মেয়েদের জীবনে অনেক গুলা ট্রানজিশন টাইম আসে। বিয়ের আগে এক রকম জীবন, পরে আরেক নতুন জীবন, নতুন পরিবার, নতুন মানুষ,আবার মা হওয়ার সময় টা তে বিশাল এক ফিজিওলজিক্যাল চেঞ্জ ত আছেই। আবার বাচ্চা হওয়ার পর পোস্ট পার্টেম ডিপ্রেশন ত আছেই। কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রে এই ট্রান্সজিশন টাইম এবং এই বায়োলজিক্যাল পরিবর্তন না থাকায় তারা অনেক টাই বিপদ মুক্ত।
খাবারের ক্ষেত্রে তাই আমি মেয়েদের জন্য বাড়তি যত্ন নেয়ার কথা বলি। যে সকল খাবার খেলে আমাদের মনে সুখকর অনুভূতি প্রদানে সক্ষম হরমোন এর এক্টিভিটি বাড়ে সেই খাবার গুলো কে ঘুরে ফিরে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে বলি। এটা এমন নয় যে এখনি খেলেন আর সাথে সাথে মুড ভালো হলো। এই খাবার গুলো কে নিয়মিত হিসেব করে খেতে হবে।
যেই খাদ্য গুলো কে রাখবেন যেমন : বাদাম এতে থাকা সেলেনিয়াম আপনার সেরোটোনিন হরমোন এর উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে সুখকর অনুভূতি দিবে। আর ও আছে টমেটো, কলা, দই , ওমেগা ফ্যাটি এসিড যুক্ত খাবার টুনা ফিস, স্যালমন ফিস, চিয়া সিডস ইত্যাদি
বছরে একবার শরীরের চেক আপ হয় কিন্তু মনের চেক আপ বা সমস্যা নিয়ে একজন সাইকোলজিস্ট এর সাথে কথা বলতে আমরা দিধাদন্দে ভুগি। অথচ সব সম্পর্কেই টানাপোড়ন থাকে, জীবনে অনেক উত্থান পতন থাকে, সব সময় হাসি খুশি নিজেকে ভালো আছি দেখানোর যুদ্ধ করতে করতে একদিন ক্লান্ত হয়ে যাবেন।
নিজেকে সময় দিন। এক রুটিনে চলার দরকার নাই নিজের জন্য মাঝে মদ্ধে রুটিন এর ব্রেক করুন। খোলা আকাশের নিচে হাটুন। সাজু গুজু করুন। নিজের পছন্দের কাজ যেগুলা হারাতে বসেছেন সেগুলা সপ্তাহে একদিন হলেও করুন। প্রিয় মানুষ গুলোর সাথে দেখা করুন। গল্প করুন।ভালো খাদ্যভাস বজায় রাখুন। প্রতিদিন কিছু সময় ব্যায়াম করুন বা হাটুন মন প্রফুল্ল থাকবে। নিজের ভেতর চেপে রাখা কষ্ট গুলো কে কারো কাছে প্রকাশ করুন। সাইকোলজিস্ট এর শরণাপন্ন হোন। মানসিক সাস্থ্যের সাপোর্ট গুলো বিশেষজ্ঞ এর কাছ থেকে নিন। নিজে ভালো থাকুন কাছের মানুষ গুলো কে ভালো রাখুন।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/নিউট্রিশনিস্ট-সুমাইয়া-সিরাজী-102934114426153
লেখক
নিউট্রিশনিস্ট সুমাইয়া সিরাজী
Bsc (Hon's) Msc (food & Nutrition)
CND (BIRDEM), CCND (BADN)
Trained on Special Child Nutrition
Consultant Dietitian (Ex)
Samorita Hospital
Mobile:
01750-765578,017678-377442
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/নিউট্রিশনিস্ট-সুমাইয়া-সিরাজী-102934114426153