হাঁটা একটি উৎকৃষ্ট ব্যায়াম।
কেন হাটবেন? কিভাবে হাটবেন???
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ
নিয়মিত হাঁটলে টাইপ–২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে । ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও হাঁটা বেশ কার্যকর। হাঁটলে শরীরের পেশিতে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে রক্তের গ্লুকোজ কমে।
উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়ঃ
উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে এবং তা নিয়ন্ত্রণে হাঁটা বেশ কার্যকর । নিয়মিত হাঁটলে রক্তনালির দেয়ালে চর্বি কম জমে। তাই করোনারি হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে। এ ছাড়া মূল করোনারি রক্তনালিতে ব্লক থাকলেও নিয়মিত হাঁটার কারণে আশপাশের ছোট রক্তনালিতে রক্ত সরবরাহ বাড়ে।
মেদ কমায়ঃ
নিয়মিত হাঁটলে মেদ কমে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে । ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বাড়ে, মন্দ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমে।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়ঃ
নিয়মিত হাঁটলে ওজন কমে। ফলে স্তন ক্যানসারসহ অন্য অনেক ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
মেজাজ ভালো রাখেঃ
নিয়মিত হাঁটলে মস্তিষ্কে এনডর্ফিন, ডোপামিন, সেরোটোনিনের মতো ভালো অনুভূতি তৈরির রাসায়নিক নিঃসরণ বাড়ে। ফলে বিষণ্নতা কমে, মন–মেজাজ ভালো থাকে, রাতে ঘুম হয় চমৎকার।
হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ায়ঃ
হাঁটার সময় হৃৎস্পন্দন আর শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বাড়ে। ফলে হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে রক্ত সরবরাহ বাড়ে।
হাড় ও গিঁটের জন্যও ভালোঃ
হাঁটলে হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে এবং ক্ষয় কমে।
শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ায়
কিছু পরামর্শ কিভাবে হাটবেন??????
- হাঁটার উপকার পেতে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন হাঁটুন।
- প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে ১৫০ মিনিট হাঁটতে হবে। একবারে ৩০ মিনিট হাঁটতে না পারলে ১০ মিনিট করে দিনে তিনবার হাঁটা যেতে পারে। হাঁটার জন্য সকাল বা বিকেলের একটি নির্দিষ্ট সময় বেছে নিন।
- দ্রুত হাঁটুন যাতে ঘাম হয়, নাড়ির স্পন্দন বাড়ে (মাথায় রাখতে পারেন আমার সামনে যে মানুষ আছে,তাকে ওভারটেক করতে হবে)।
- হাঁটা শুরুর পর প্রথম কয়েক মিনিট এবং শেষ কয়েক মিনিট ধীরে হাঁটুন। এতে শরীর মানিয়ে নেবে।
- ভরপেট খাওয়ার পরপরই হাঁটবেন না। হাঁটার শুরুতে এবং শেষে একটু পানি পান করুন।
- ঢিলেঢালা আরামদায়ক পোশাক ও উপযুক্ত জুতা পরে হাঁটুন।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/ডা-অনির্বাণ-মোদক-পূজন-106765094929779
লেখক
ডা: অনির্বাণ মোদক পূজন
এমবিবিএস,বিসিএস(স্বাস্থ্য-রিকমেন্ডেড) ডি-কার্ড (বিএসএমএমইউ,ঢাকা)
এমএসিপি (আমেরিকা), ডিএমইউ(আল্ট্রা)
কনসালটেন্ট -কার্ডিওলজি।
জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
হৃদরোগ, বাতজ্বর ও উচ্চ রক্তচাপ রোগ বিশেষজ্ঞ
চেম্বার :
মাধবপুর মা-মনি হাসপাতাল
হাজী রুপু মিয়া ভবন (সেমকো ফিলিং ষ্টেশনের বিপরীতে)
মাধবপুর, পৌরসভা, হবিগন্জ্ঞা।
তথ্য,সেবা,সিরিয়াল:
০১৭০৫৪৭৬৭২৫,০১৭০৫৪৭৬৭২৪,০১৭০৫-৪৭৬৭২৬.
রোগী দেখার সময়:
প্রতি বুধবার সকাল ৯.০০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/ডা-অনির্বাণ-মোদক-পূজন-106765094929779