অনেকেরই ঘাড়, বগল বা শরীরের ভাঁজগুলোয় কালো দাগ থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় 'একান্থোসিস নাইগ্রিকেনস'। সাধারণত যারা স্থূল (ওবেস) বা ওজন বেশি তাদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়।
একান্থোসিস নাইগ্রিকেনসের কারণ
ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স : যাদের একান্থোসিস নাইগ্রিকেনস থাকে তাদের শরীরে ইনসুলিন কাজ করতে পারে না।
একে বলা হয় ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স। ইনসুলিন একটি হরমোন, যা প্যানক্রিয়াসের বিটা কোষ থেকে নিঃসৃত হয়। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের কারণে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হতে পারে। এই ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বা পিসিওএসেরও অন্যতম কারণ।
কিছু ওষুধ : জন্ম নিয়ন্ত্রক পিল, নিয়াসিন, প্রেডনিসোলোন বা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধও একান্থোসিস নাইগ্রিকেন্সের কারণ হতে পারে।
ক্যান্সার : কিছু ক্যান্সার একান্থোসিস নাইগ্রিকেনস তৈরি করে। যেমন পাকস্থলীর ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, লিম্ফোমা।
কাদের ঝুঁকি বেশি?
*যাদের ওজন অতিরিক্ত।
*যাদের ডায়াবেটিস আছে বা ডায়াবেটিসের পারিবারিক ইতিহাস আছে।
*যারা শারীরিক পরিশ্রম কম করে।
*যাদের পিসিওএস আছে।
কী সমস্যা হতে পারে?
যাদের একান্থোসিস নাইগ্রিকেনস আছে, পরবর্তী সময়ে তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চঝুঁকি রয়েছে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার কারণেও একান্থোসিস নাইগ্রিকেনস হতে পারে।
প্রতিরোধের উপায়
* যাদের ওজন বেশি, অতিরিক্ত ওজন ঝেড়ে ফেলতে হবে।
* প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট ঘাম ঝরিয়ে ব্যায়াম করতে হবে।
* উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার, যেমন ফাস্ট ফুড, ফ্যাটি ফুড, কোমল পানীয়, চিনি, মিষ্টি, ভাত কম খেতে হবে।
* প্রয়োজনে হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ বা এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ নিন।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/drmhtanim
লেখক
ডাঃ মো: মাজহারুল হক তানিম
এম বি বি এস ( স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ)
ডি ইএম ( বারডেম)
এফ সি পি এস মেডিসিন ( শেষ পর্ব)
এম এ সি পি ( আমেরিকা)
মেডিসিন, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ।
চেম্বার:- ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল কাকরাইল ঢাকা।
কিশোরগঞ্জ চেম্বার : হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, স্টেশন রোড কিশোরগঞ্জ।
সিরিয়াল- 01670-465423 ( what's app)
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/drmhtanim