গ্লুকোজ কোষের প্রধান উপাদান এটা হয়ত অনেকেই জানি। গ্লুকোজ থেকেই আমাদের শরীর শক্তি পেয়ে থাকে। কোথা থেকে আসে এই গ্লুকোজ?
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গ্লুকোজের প্রধান উৎস কিন্তু সব খাবারেই কিছুনা কিছু গ্লুকোজ থাকে। ভাত, আলু, আটা, চিনি, শাক সবজি, ফলমূল ইত্যাদিতে এটি পাওয়া যায়।
প্রায় সব খাবারে আপনি গ্লুকোজ পাচ্ছেন, তাহলে আমরা কেন কোবিড ১৯ এ চিনি কম খেতে বলছি?
অন্যান্য খাবার থেকে আপনি যে গ্লুকোজ পাচ্ছেন তা বিশেষ প্রক্রিয়ায় ভেঙ্গে রক্তে যাচ্ছে। কিন্তু চিনির ভাঙ্গার প্রয়োজন হয় না, সরাসরি রক্তে দ্রুত শোষিত হয়। যা রক্তে থাকা লোহিত কণিকার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধের সক্ষম শ্বেত রক্ত কনিকা কে ও ক্ষতিগ্রস্ত করে। রক্তের চিনির পরিমান বাড়িয়ে দেয়। অপরদিকে ভিটামিন সি, যা শ্বেত রক্ত কণিকা কে কর্মক্ষম করে। চিনি ও ভিটামিন সি এর রাসায়নিক গঠন একি হওয়ায়, যখন আমরা চিনি ও ভিটামিন সি একইসাথে গ্রহন করি, এদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। চিনি রক্তের শ্বেত কণিকায় ভিটামিন সি শোষনে বাঁধা দেয়। ভিটামিন সি শোষণ বেশি হলে শ্বেত কণিকা কার্যকারিতা বাড়ে ফলে রোগ প্রতিরোধের শ্বেত কণিকা ব্যকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হয়। অপরদিকে চিনি এর কর্মক্ষমতা হ্রাস করে।তাছাড়া বিভিন্ন রোগের ট্রিগার হিসেবে কাজ করে চিনি।
চিনি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য যেমন খারাপ , তেমনি এটি সবার জন্যই ক্ষতিকর।
তাই আপনি অনেক ভিটামিন সি জাতীয় খাবার যেমন লেবু, মালটা, টমেটো, অন্য টক ফল খেলেন সাথে চিনিও খেলেন তাহলে কোন লাভই হলো না।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশি বেশি টক ফল, শাক সবজি, দুধ, ডিম, সমুদ্রের মাছ, ভিটামিন ই খান। চিনি ও চিনিযুক্ত খাবার যেমন সফ্ট ড্রিংস, প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করুন।
ধন্যবাদ
তাহমিনা আক্তার
পুষ্টিবিদ বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস