অনেকেই আছেন মধ্যরাতে একবারে খেয়ে শুয়ে পড়েন । এটা করবেন না। শেষ রাতে অবশ্যই সেহেরী খাবেন ।
আবার অনেকের ধারণা ,সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে তাই সেহেরীতে অনেক বেশি খাওয়া উচিত । এটা ঠিক নয় । কারন নির্দিষ্ট সময় পর খাদ্য এমনিতেই হজম হয়ে যায় । তাই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়া ঠিক নয় । আপনার উচিত সারাদিন শক্তি পাওয়া যায় এমন খাবার গ্রহণ করা ।
1. রাতের খাবার ও সেহরী যেন খুব কাছাকাছি সময়ে না হয় । তারাবীহর নামাজ পড়েই রাতের খাবার শেষ করে ফেলুন ।
2. অধিক তেল ঝাল ও চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন । মুরগির মাংস,আঁশ জাতীয় খাবার ,মাছ ও শাক-সবজিকে প্রাধান্য দিন। ঢেঁকি ছাটা যাল,দুধ াওয়া যেতে পারে ।
3. চা ,কফি পান থেকে বিরিত থাকুন । ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় তৃষ্ণা এবং এবং শরীরের তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে দিবে ।
4.সেহরিতে খুব বেশি পানি পান হিতে বিপরীত হতে পারে । এতে হজমের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে । যদিও এটা নির্ভর করে আপনি কতটুকু খাবার গ্রহণ করতে অভ্যস্ত তার উপর । চেষ্টা করুন ইফতার থেকেই প্রয়োজনীয় পানি পান করে নিতে ।
5. পোলাও,বিরিয়ানি এ ধরণের খাবার সেহেরীতে একদমই খাবেন না । এগুলো একদমই স্বাস্থ্য সম্মত না ।
6. ফজরের আজান হওয়া পর্যন্ত খেতেই থাকবেন এটা থেকে বিরত থাকুন । তাড়াহুড়ো না করে আজানের ১০-১৫ মিনিট আগেই খাবার শেষ করুন ।
7. যারা ধুমপান করেন,তাদের ধূমপান ত্যাগ করার একটি মোক্ষম সময় এ রমজান। চেষ্টা করেই দেখুন না এ অভ্যাসটি ছেড়ে দিতে পারেন কি না ।
8. ইফতারের পর হালকা ব্যায়াম বা একটু হাঁটাহাঁটি করতে পারেন । যদিও তারাবীহ পড়লে হাঁটাহাঁটি না করলেও চলবে ।
9. একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন । বিশেষ করে যাদের ডায়বেটিস, হাইপ্রেশার, কিডনী বা লিভারের সমস্যা আছে তারা অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে চলবেন ।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/trust.a.dietitian
লেখক
Nusrat Jahan
Nutrition and Diet Consultant
অনলাইন কাউন্সিলিং এর জন্য যোগাযোগ করুন এই নম্বরে, 01881925632,
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/trust.a.dietitian