কোমরে ব্যথা আমাদের সবার কাছেই একটা পরিচিত সমস্যা। সারা জীবনে একবারও কোমরে ব্যথা অনুভব করেননি এমন মানুষ বিরল। মেরুদণ্ডের নিচের হাড়ের মধ্যবর্তী তরুণাস্থি বা ডিস্কের বার্ধক্যজনিত পরিবর্তনের কারণে এ ব্যথার সুত্রপাত হয়। সাধারণত এ পরিবর্তন ৩০ বছর বয়স থেকে শুরু হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ রোগের কোনো উপসর্গ থাকে না। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগের উপসর্গও বাড়তে থাকে। বিভিন্ন কারনে কোমরে ব্যথা হতে পারে। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজ করার কিছু ধরন আছে যা মেনে না চললে অল্প বয়সেই কোমরে ব্যাথায় আক্রান্ত হবার সম্ভবনা থাকে। তাই এ ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কিছু সতর্কতা তো মেনে চলতেই হবে।
জেনে নেয়া যাক আমাদের প্রতিদিনে সাধারণ কিছু কাজে কি কি সাবধানতা মেনে চলতে পারলে কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
- নিচ থেকে কিছু তোলার সময় কোমর ভাঁজ করে কিংবা ঝুঁকে তুলবেন না। হাঁটু ভাঁজ করে তুলুন।
- কোনো কিছু বহন করার সময় ঘাড়ের ওপর কিছু তুলবেন না। ভারি জিনিস শরীরের কাছাকাছি রাখুন। পিঠের উপর ভারি কিছু বহন করার সময় সামনের দিকে ঝুঁকে বহন করুন।
- দাঁড়িয়ে থাকার সময় ১০ মিনিটের বেশি দাঁড়িয়ে থাকবেন না। হাঁটু না ভেঙে সামনের দিকে ঝুঁকবেন না। দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে বা দাঁড়াতে হলে উঁচু হিল পরবেন না। অনেকক্ষণ দাঁড়াতে হলে কিছুক্ষণ পর পর শরীরের ভর এক পা থেকে অন্য পায়ে নিন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হলে ছোট ফুট রেস্ট ব্যবহার করুন।
- যানবাহনে চড়ার সময় গাড়ি চলানোর সময় স্টিয়ারিং হুইল থেকে দূরে সরে বসবেন না। সোজা হয়ে বসুন। ভ্রমণে ব্যথার সময় লাম্বার করসেট ব্যবহার করুন।
- বসে থাকার সময় আপনার চেয়ারটি টেবিল থেকে বেশি দূরে নেবেন না। সামনে ঝুঁকে কাজ করবেন না। কোমরের পেছনে সাপোর্ট দিন। এমনভাবে বসুন যাতে ঊরু মাটির সমান্তরালে থাকে। নরম গদি বা স্প্রিংযুক্ত সোফা বা চেয়ারে বসবেন না।
- শোয়ার সময় উপুড় হয়ে শোবেন না। ভাঙ্গা খাট, ফোম বা স্প্রিংয়ের খাটে শোবেন না। সমান তোশক ব্যবহার করুন। বিছানা শক্ত, চওড়া ও সমান হতে হবে। শক্ত বিছানা বলতে সমান কিছুর ওপর পাতলা তোশক বিছানোকে বোঝায়।
- এছাড়াও অল্প হিলের জুতো বা স্যান্ডেল ব্যাবহার করুন, গরু, খাসির মাংস, ডালজাতীয় খাবার, মিষ্টিজাতীয় খাবার, তৈলাক্ত খাবার খাদ্য তালিকা থেকে কমিয়ে শাকসবজি, তরিতরকারি, ফলমূল খাদ্য তালিকায় বেশি করে রাখুন, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করুন এবং যাদের দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস আছে, তা বন্ধ করে রাতে শিগগিরই শুয়ে পড়ুন। এভাবে কিছু সতর্কতা নিয়ম মেনে চলে কোমর ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
লেখক
ডাঃ আয়েশা রাইসুল (গভঃ রেজিঃ H-১৫৯৮)
বি.এইচ.এম.এস (ঢাঃ বিঃ), এক্স-হাউজ ফিজিসিয়ান
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল।
চেম্বারঃ
খান ক্লাসিকেল হোমিওপ্যাথি।
উওর কাজীপাড়া,মিরপুর, ঢাকা।
হেল্পলাইনঃ 01916-023571, 01976-023572 (রিসিপসন)।
www.facebook.com/Dr.AyeshaRaisul.B.H.M.S