১. আমাদের হয়তো আরো কয়েকমাস কোভিড-১৯ এর সাথে থাকতে হবে। আসুন এটিকে অস্বীকার বা এটি নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে যেন জীবনকে অহেতুক জটিল ও কঠিন করে না তুলি। বরং আমরা যেন এটাকে সাথে নিয়েই সতর্কতার সাথে ভালো থাকতে অভ্যস্ত হই ।
২. গ্রীষ্মে ভাইরাসের প্রভাব কমবে না। ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনায় গ্রীষ্মকালেও ভাইরাসটি বেশ দ্রুত ছড়াচ্ছে।
৩. আপনি খুব বেশি পানি পান করে কোভিড-১৯ ভাইরাসকে ধ্বংস করতে পারবেন না। উপরন্তু আপনাকে ঘনঘন টয়লেটে যেতে হবে।
৪.সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং ১.৮ মিটার শারীরিক দূরত্ব থাকা এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাবার সেরা পদ্ধতি। যদি আপনার বাড়িতে কোভিড-১৯ রোগী না থাকে তবে বাড়ির সারফেসগুলো জীবাণুমুক্ত করার দরকার নেই।
৫. কুরিয়ার প্যাকেজ, পেট্রোল পাম্প, বাজারের ব্যাগ বা এটিএম সংক্রমণ সৃষ্টি করে না। আপনি সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন, বরাবরের মতো স্বাভাবিক জীবন যাপন করুন।
৬. কোভিড-১৯ কোনও খাদ্য সংক্রমণ নয়। এটি ফ্লুর মতো সংক্রমণের ফোঁটাগুলির সাথে সম্পর্কিত। অর্ডার করা খাবারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রমণ হওয়ার কোনও প্রমানিত ঝুঁকি নেই।
7. কোভিড-১৯ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে স্টিম বাথে তা মারা যায় না।
৮. আপনি অনেক অ্যালার্জি এবং ভাইরাল সংক্রমণের সাথে গন্ধ বা স্বাদ হারাতে পারেন। এটি কোভিড-১৯ এর একটি অনির্দিষ্ট লক্ষণ।
৯. বাড়ি ফিরে আসার সাথে সাথেই জরুরীভাবে জামাকাপড় পরিবর্তন করার এবং গোসল করবার দরকার নেই। শুদ্ধতা একটি পুণ্য, প্রয়োজনীয় বিষয় এটা আপনি যেকোন সময় ইচ্ছেমত করতে পারেন।
১০. কোভিড-১৯ ভাইরাসটি বাতাসে স্থির থাকে না। এটি একটি ড্রপলেট সংক্রমণ যার জন্য ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ প্রয়োজন। পরিষ্কার বাতাসের জন্য আপনি কাছের উদ্যানগুলিতে (দূরত্ব বজায় রেখে) ঘুরে আসতে পারেন।
১১. কোভিড-১৯ জাতি বা ধর্ম মানে না, এটি সমস্ত লোককে আক্রান্ত করে।
১২. অযথা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করার দরকার নেই। কোভিড-১৯ এর বিপরীতে সাধারণ সাবান ব্যবহার করাই যথেষ্ট। ভাইরাস কোনওভাবেই ব্যাকটিরিয়া নয়।
১৩.অর্ডার করা খাবার বা প্যাকেট খাবার সম্পর্কে আপনাকে চিন্তিত হতে হবে না। তবে আপনি চাইলে মাইক্রোওয়েভে এটি কিছুটা গরম করতে পারেন।
১৪. আপনার জুতো দিয়ে কোভিড-১৯ বাড়িতে আসার এবং আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বা সুযোগ নেই। ড্রপলেট সংক্রমণ কখনো এভাবে ছড়িয়ে পড়ে না।
১৫. ভিনেগার, স্যামাক, সোডা এবং আদা পান করে বা খাওয়ার মাধ্যমে আপনি ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে পারবেন না।
১৬. গ্লাভস পরা একটি ঝুঁকিপূর্ণ ও অপ্রয়োজনীয় ধারণা, ভাইরাসটি গ্লাভসে জমে থাকতে পারে, আপনি আপনার মুখটি স্পর্শ করলে সহজেই সংক্রমণ হতে পারে। এক্ষেত্রে সাবান দিয়ে হাত ধোয়াই সর্বোত্তম।
ডাঃ হাসনা হোসেন আখী
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এমএস (অবস এন্ড গাইনী)
ট্রেইন্ড ইন ল্যাপারস্কপি এন্ড ইনফার্টিলিটি স্ত্রী রোগ ও প্রসূতি বিদ্যা বিশেষজ্ঞা এবং ল্যাপারস্কপিক সার্জন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
নিয়মিত রোগী দেখছেন: মার্কস কনসালটেশন সেন্টার।
প্রতিদিন : বিকেল ৫ টা হতে রাত ৮ টা পর্যন্ত।
সিরিয়াল : 01729-269437.
সিরাজ মার্কেট (২য় তলা), কচুক্ষেত, ঢাকা-১২০৬। (ফুট ওভার ব্রিজের পাশে)
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/dr.hasnahossain