বড়োরা রোজা রাখছে এটা দেখে অনেক বাচ্চাই রোজা রাখতে বায়না করে। বাচ্চা যদি আগ্রহের সাথে রোজা রাখতে চায়, সেহরিতে উঠে যায় সেক্ষেত্রে তাকে উৎসাহ দেওয়াই ভালো। ছোট থেকে প্রথমদিকে দিনের কিছু অংশে রোজা পালন করবে অর্থাৎ রোজার শুরুতে দিনের কিছু অংশ রোযা রেখে পরে ক্রমান্বয়ে সেই সময়কে বাড়িয়ে দিয়ে আস্তে আস্তে অভ্যাস করতে পারবে।
রোজা রাখলে বাচ্চারা সেহরি ও ইফতারে যা খাবে:
বাচ্চারা সাধারণত নিজের পছন্দমতো সব খাবার ই খেতে পারবে। নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। সেহরি ও ইফতারে শিশুর পছন্দের খাবার রাখুন যাতে করে শিশু রোজা রাখতে উৎসাহবোধ করে। তবে খেয়াল রাখবেন রোজাদার শিশুর ইফতার বা সেহরি যেন অবশ্যই পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত হয়।
- শিশু সারাদিন রোজা রাখবে এই ভেবে অনেকে সেহরিতে বেশি খাবার খাওয়ান, যার ফলে দেখা যায় শিশু বমি করে বের করে দিয়েছে সব। তাই শিশুকে কোয়ালিটি প্রোটিন, গুড ফ্যাট এভং ভালো কার্বের সমন্বয় করে তাকে পরিমিত খেতে দিন। অল্প তেল-মসলায় রান্না সবজি, মাছ, মাংস, ডিম ও ডাল রাখুন শিশুর সেহরিতে। স্যুপ, জুস বা স্মুদি সেহরির জন্য আদর্শ খাবার। চাইলে খাওয়ার পর দুধ ও কিছু ফল ও দিতে পারেন।
- শিশুরা সহজেই পানিশূন্য হয়ে যায়। তাই ইফতার ও সেহেরির মাঝে সাত থেকে দশ গ্লাস পানি দিন। শিশু দুর্বল হয়ে পড়া কিংবা অতিরিক্ত ছটফট করা, চোখ ভিতরের দিকে ঢুকে যাওয়া, জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি পানিশূন্যতার লক্ষণ। এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত শিশুর রোজা ভেঙ্গে ফেলুন।
- ইফতারিতে পানি, শরবত ও পানীয় জাতীয় খাবার বেশি দিন। পানীয়র তালিকায় রাখতে পারেন লেবুর শরবত বা ঘরে তৈরি তাজা ফলের রস, স্যুপ, স্মুদি বা লাচ্ছি। খেজুর ও চিনি মেশানো শরবত অথবা জুস শরীরে দ্রুত শক্তি জোগায়, সেটাও দিতে পারেন। চা- কফি ইত্যাদি পানিশূন্যতা বাড়ায়। তাই এগুলো এড়িয়ে যান।
- ইফতারিতে ঝাল, ভাজা-পোড়া না দিয়ে দই-চিরা, পায়েস, ফল ইত্যাদি খেতে দিন। এতে শিশুর পেট ঠান্ডা থাকবে। একবারে অনেক খাবার না দিয়ে দুই ধাপে ইফতার খাওয়া যেতে পারে।
- ইফতারে শিশু ছোলা-মুড়িও খেতে পারে। ইফতারে রাখতে পারেন একটু হালকা, পুষ্টিকর ও মুখরোচক খাবার যেমন - বানানা শেক, দুধ ও ডিমের তৈরি পুডিং, ফল ও দুধের তৈরি কাস্টার্ড, ডাল, চাল ও মাংসের হালিম বা খিচুড়ি, হালুয়া, দই ইত্যাদি।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/DietitianMunira
লেখক
পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা
কনসালটেন্ট ডায়েটিশিয়ান
ইবনেসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/DietitianMunira