রমজান মাস হলো ধর্মীয় অনুশীলন, আধ্যাত্মিকতা ও সংযম প্রকাশের মাস। এই মাসে আমাদের জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আসে। আমরা দীর্ঘ সময় রোজা রাখি, নামাজ পড়ি এবং রাত জেগে ইবাদত করি। ইবাদতের মাসটিতে শারীরিকভাবে ফিট থাকার চিন্তাও করতে হয়। কারন এ সময়টাতে বিভিন্ন ধরণের খাবার খাওয়া হয় বেশি। তাই অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে, রমজানে শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের কি করবো?
তারাবিহর নামাজ কি ব্যায়াম বা শারীরিক পরিমশ্রমের বিকল্প হতে পারে?
হাঁ পারে। প্রতিরাতে এশার নামাজের সাথে 20 রাকাত তারাবিহর নামাজ পড়লে যে পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম হয় তাতে আলাদা করে ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই।
তবে যারা আলাদা করে ব্যায়াম করতে চান তারা ইফতার ও রাতের খাবারের মধ্যবর্তী সময়টাতে এ কাজটি সেরে নিতে পারেন। কারন তখন ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটির আগে ও পরে কিছু খেয়ে নেয়া যেতে পারে। ইফতারের পর এটা করা হয় বলে শরীরও অতটা ক্লান্ত থাকে না। তাছাড়া এ সময়টায় পরিশ্রম করার পর রাতের ঘুমটা ভালো হবে। আবার যারা সেহেরির সময় ঘুম থেকে উঠেন, তারা সেহেরীতে একটু আগে উঠে ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটির কাজটি সেরে সেহেরী খেতে পারেন।
কোন ধরণের ব্যায়াম করবেন?
- হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করবেন।
- হাঁটাহাঁটি যতটা সম্ভব হালকা করুন।
- ট্রেডমিলে হাঁটা, সাইকেল চালানো, কিছু ফ্রি-হ্যান্ড এবং ইয়োগা করা যেতে পারে।
- যেসব ব্যায়ামে খুব বেশি ঘাম হয়, সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
কিছু সতর্কতা:
- বেশি তেল বা ঘিয়ে ভাজা খাবার না খেয়ে ব্যায়াম করা।
- ব্যায়ামের জন্য উপযুক্ত কাপড় পরা।
- হৃদরোগী, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করা।
পরিশেষে, রমজান মাসে নিয়মকানুন মেনে সঠিকভাবে ব্যায়াম করলে শরীর ও মন সুস্থ থাকবে এবং রোজা রাখাও সহজ হবে।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/trust.a.dietitian
লেখক
Nusrat Jahan
Nutrition and Diet Consultant
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/trust.a.dietitian