গর্ভাবস্থায় আপনাকে অনেক কিছুই ভাবতে হয়, তখন মুখের স্বাস্থ্যের কথা ভুলে গেলে চলবে না।হরমোনগত পরিবর্তনের কারনে শরীরের বিভিন্ন অংশেরসাথে তাল মিলিয়ে আমাদের মুখ গহবরের গঠনগত কিছুপরিবর্তন আসে।
উদাহরন হিসেবে বলা যায় মাড়ির প্রদাহের কথা।
যা অধিকাংশ নারীর গর্ভকালীন প্রধান সমস্যা। হরমোনগত পরিবর্তনের( Hormonal imbalances) কারনেই গর্ভাবস্থায় এটা বেশি দেখা যায়।মাড়ি ফুলে যাওয়া, ব্যথাহওয়া, দাঁত ব্রাশ বা ফ্লসিং করার সময় রক্ত পড়া এরোগের প্রধান লক্ষন।প্রথমাবস্থায় খুব সামান্য মনেহলেও চিকিৎসা না করালে সেটা আরো খারাপ ভাবেঅগ্রসর হতে পারে এমনকি ইনফেকশনসহ আপনার দাঁত ফেলার কারন পর্যন্ত হয়ে দাড়াতে পারে। কাজেই সময়ের একটু সাবধানতাই পারে আপনাকে এসব অনাকাংখিত বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে।
দ্বিতীয় যে রোগের কথা না বললেই নয় তা হল 'প্রেগনেন্সিটিউমর ' ( Pregnancy Tumor) । এটাও হরমোনগত পরিবর্তনের কারনে হয়। এ রোগের লক্ষন হল দুই দাঁতের সংযোগস্থলের মাড়ি ফুলে যায় এবং ব্যাথা ছাড়াই সামান্যআঘাতে প্রচুর রক্ত ঝরে। আশার কথা হলো, ছোটসার্জারির মাধ্যমে সেটা কেটে বের করে আনা যায়।
দাঁতের যত্ন
নিয়মিত দুইবার দাঁত ব্রাশ করার পাশাপাশি ভালোভাবে জিহবা পরিষ্কার করতে হবে। পরিসংখানে, মুখে দুর্গন্ধের শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে কারন হিসেবে উল্লেখ করাহয়েছে অপরিচ্ছন্ন জিহবা। দুই দাঁতের মাঝখানে আটকেথাকা খাবার বের করে আনার জন্য ফ্লসিং খুবইগুরুত্বপূর্ন। কাজেই ফ্লসিং এর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
গর্ভাবস্থায় দাঁতের যেকোন সমস্যার ব্যাপারে আপনি কথাবলুন নিকটস্থ রেজিস্টার্ড দন্ত চিকিৎসকের (BDS) সাথে।
এক্ষেত্রে আপনার প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য হল, ডাক্তারকে আপনার গর্ভাবস্থার কথা জানানো। কিছু ঔষুধ যেমন টেট্রাসাইক্লিন নামক এন্টিবায়োটিক নবজাতকের দাঁত নষ্ট করে দেয় (এরকম আরো ঔষুধ সম্পর্কে পরবর্তীতে বলা হবে)। নির্বিচারে ঔষুধের ব্যবহার আপনার সন্তানের বিভিন্ন শারিরীক বিকলাঙ্গতা সহ কেড়েনিতে পারে আপনার ও আপনার সন্তানের জীবন পর্যন্ত।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/DrS-MSadique-105600987900812
লেখক
ডা: এস.এম.ছাদিক
বি ডি এস (ডি ইউ)
এম পি এইচ (অন কোর্স)
পি জি টি (ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারী)
ঢাকা ডেন্টাল কলেজ এন্ড হসপিটাল
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/DrS-MSadique-105600987900812