মলদ্বারে অনেক রকম রোগ হয়। তবে সাধারন মানুষের মনে একটা প্রচলিত ধারনা হচ্ছে মলদ্বারে সমস্যা মানেই হচ্ছে পাইলস। মলদ্বারে বিভিন্ন রোগের মধ্যে পাইলস, ফিসার,ফিস্টুলা সবচেয়ে বেশি হয়। এছাড়া অনেক রকম জটিল রোগ এমনকি ক্যান্সার ও হতে পারে। আমাদের কাছে অনেক রোগী আসে যে তার হয়েছে ক্যান্সার অথচ চিকিৎসা নিচ্ছে পাইলসের অথবা কবিরাজি করছে, ইনজেকশন নিচ্ছে। আবার এখন অনেক রোগী আসে যাদের অপারেশন লাগবে তারা এসেই বলে আমরা লেজার সার্জারি করতে চাই। তাই আমাদেরকে আগে জানতে হবে মলদ্বারে লেজার সার্জারি কি, কখন এবং কেন করব আর এর সফলতার হারই বা কেমন।
মলদ্বারের সমস্যায় কি কি চিকিৎসা আছে?
মলদ্বারের সমস্যায় অনেক রকম চিকিৎসা বা অপারেশন আছে। তবে কোন ধরনের চিকিৎসা নিব তা নির্ভর করে কি সমস্যা হয়েছে এবং এটা কোন পর্যায় আছে তার উপর। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় নিয়ম কানুন এবং সঙ্গে কিছু ওষুধের মাধ্যমে নিরাময় হতে পারে। কিন্তু এটি যখন দীর্ঘমেয়াদি বা জটিল পর্যায়ে চলে যায়, তখন অপারেশন ছাড়া বিকল্প থাকে না। সবধরনের পদ্ধতির কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা আছে। আর লেজার সার্জারি হচ্ছে এই অনেকগুলো options এর মাঝে একটি। সাধারনত common রোগ বিশেষ করে পাইলস, ফিসার, ফিস্টুলা এবং পাইলোনিডাল সাইনাস চিকিৎসায় লেজার ব্যবহার করা হয়।
লেজার কিভাবে কাজ করে?
লেজার এক বিশেষ ধরনের আলো। এতে লেজার প্রোব দিয়ে লেজার এনার্জি প্রয়োগ করা হয়। এটি পাইলসে প্রয়োগ করলে পাইলস চুপসে স্বাভাবিক হয়ে যায়। ফলে পাইলস নিরাময় হয়। ফিসারে আংশিক স্ফিঙ্কটার কেটে ক্ষত ঘা শুঁকায়, আর ফিস্টুলার ক্ষেত্রে নালীটা শুকিয়ে চুপসিয়ে ঠিক হয়ে যায়। এতে সাধারনত খুব একটা কাটাছেঁড়া, সেলাই, অথবা রক্তপাত নেই।
লেজার অপারেশন কয় ধরনের ?
বিভিন্ন রকমের আছে। তবে কোন রোগে লেজার করব তার উপর নির্ভর করে। এটাকে কয়েকভাবে ব্যখ্যা করা যায়। তবে এর কিছু modifications আছে যাতে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
সবক্ষেত্রেই কি লেজার সার্জারি করব?
অবশ্যই না। কারন সঠিক রুগীর ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার করলেই কেবল ভালো ফলাফল আশা করা যায়। তা না হলে পুরো অপারেশনটাই ব্যর্থ হবে।
• প্রাথমিক পর্যায়ে লেজার ভালো।
• Advanced Stage ও জটিল ফিস্টুলা বা পাইলোনিডাল সাইনাসের ক্ষেত্রে ফলাফল কম আশাব্যঞ্জক।
• কিন্তু Advanced Stage এ additional কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
সুবিধাসমুহ-
• কোনো কাটা ছেঁড়া পড়ে না।
• ফলে রক্তক্ষরণ হয় না,
• মলদ্বার চেপে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
• ব্যথা কম হয় এবং পায়খানা ধরে রাখতে সমস্যা হয় না।
• অল্প সময়ে রোগী স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে যেতে পারে।
• যে কারণে লেজার চিকিৎসা বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে ও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
অসুবিধাসমুহ-
• যন্ত্র অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
• বিশেষ প্রশিক্ষণের দরকার হয়।
• নিরাপত্তার জন্য চোখে গগলস পরতে হয়।
• চিকিৎসা ব্যয়ও বেশি।
• কিছু ক্ষেত্রে ইনফেকশন হতে পারে।
• রক্তপাত হতে পারে।
• পুনরায় হতে পারে।
লেখক
Colorectal Care Dr. Md Ashek Mahmud Ferdaus
FCPS(surgery) FISCP(India) Ms(Colorectal Surgery) Bangabandhu Sheikh Mujib Medical Univarsity
Chamber:
নেক্সাস হাসপাতাল-ঢাকা রোড - ময়মনসিংহ
Contact:01796586561