আত্মবিশ্বাসী বাচ্চা জীবনের অনেক প্রতিকূলতা খুব সহজেই মোকাবেলা করতে পারে। জীবনের সকল পদক্ষেপ সঠিক ভাবে নিতে সেলফ কনফিডেন্স দারুণ সহায়তা করে থাকে। বাচ্চার সেলফ কনফিডেন্স এর বুনিয়াদ শুরু হয় নিজের ঘর থেকেই। তাই বাবা-মার উচিৎ কিভাবে বাচ্চার সেলফ কনফিডেন্স বাড়ানো যায় সেই দিকে লক্ষ্য রাখা। এখানে কিছু টিপস শেয়ার করলাম।
আপনার সন্তানকেই উত্তর দিতে দিন
আপনার সন্তানের হয়ে তার প্রশ্নের উত্তর নিজে না দিয়ে তাকে দিয়ে উত্তর দেয়ানোর চেষ্টা করুন। এতে আপনার বাচ্চার যোগাযোগ দক্ষতার উন্নতি হবে। আপনার বাচ্চাকে বরং কিভাবে অন্যের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় তা শেখান।
বাচ্চাকে স্বনির্ভর হতে শেখান
সন্তানকে ভালবেসে আপনি নিজেই হয়ত সবকিছু করে দেন। এটা থেকে সরে আসুন সন্তানের নিজের কাজ ওকেই করতে দিন। নিজের পোশাক পরা জুতা পরা ব্যাগ গোছানো এই কাজগুলো সন্তানকেই করতে দিন । এ শিক্ষাটা সন্তানকে স্বনির্ভর হওয়ার শিক্ষা দেবে। নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে এ উপলব্ধি তৈরি হবে।
বাচ্চার পছন্দকে প্রাধান্য দিন
আপনি হয়ত বাচ্চাকে মার্কেটে নিয়ে গেলেন সেখানে আপনার পছন্দ আপনার বাচ্চার উপর চাপিয়ে না দিয়ে তার পছন্দকে গুরুত্ব দিন। আপনি তাকে পছন্দ করতে সহায়তা করতে পারেন। কিন্তু তার পছন্দকেই প্রাধান্য দিন । এতে আপনার বাচ্চার মধ্যে নিজস্বতা তৈরি হবে। পাশাপাশি আপনার পরামর্শ তার জীবনে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হবে।
আপনার বাচ্চাকে এক চলতে উৎসাহ দিন
আপনার বাচ্চাকে সবসময় ছায়ার মত অনুসরণ করার প্রয়োজন নেই। বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাকে একা স্কুলে যেতে দিন। সমবয়সীদের সাথে মিশতে দিন। তবে অন্যদের সাথে কিভাবে কথা বলতে হবে কি আচরণ করতে হবে তা শেখাবেন।
আপনার সন্তানকে আত্মনিয়ন্ত্রণ শেখান
ছোট বাচ্চারা অনেক আবেগী ও সংবেদনশীল হয়। যেকোন বিষয়ে তারা সহজেই চিৎকার-চেচামেচি করে । অথবা কান্নাকাটি করে। আপনার সন্তানের এ ধরনের আবেগ কে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখান । যেকোন ঘটনা বা পরিস্থিতিতে কি করণীয় তা বোঝানোর চেষ্টা করুন।
আপনার সন্তানকে স্ব-শৃঙ্খলা শেখান
বাচ্চার মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করুন। বাড়ির প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিজেই গুছিয়ে রাখা- শোবারা আগে ও পরে দাঁত ব্রাশ করা -খেলনা-জামা-জুতো গুছিয়ে রাখা এসব শেখান।
বাচ্চাকে তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিন
বাবু তুমি অনেক ছোট । ওটা করতে পারবে না । আমি করে দিচ্ছি। এ ধরনের আচরণ থেকে সরে আসুন। আপনার বাচ্চা যে কাজগুলো করতে পারে তাকে ওগুলো করতে দিন। আপনার প্রতিদিনের ছোট ছোট কিছু কাজ তাকে বুঝিয়ে দিন। এবং প্রতিদিন এগুলো করতে হবে এ তাগিদ দিন। এ অভ্যাস বাচ্চার বিকাশ -অধ্যাবসায় এবং শৃঙ্খলাবোধ তৈরি করবে।
সন্তানের ভুলে তাকে না শাসিয়ে বোঝান
আপনার বাচ্চা কোন ভুল করলে তাকে প্রথমেই না শাসিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করুন। কারণ বাচ্চাকে অতিরিক্ত শাসন তাকে রাগী ও জেদি করে তুলতে পারে। যেকোন ভুলে যখন আপনি তাকে বোঝাবেন দেখবেন সে তখন নিজ থেকে ভুল থেকে শিক্ষা নেবে। ধন্যবাদ
Nusrat Jahan
Nutrition and Diet Consultant