অভিভাবক বা পিতা-মাতার জন্য পজিটিভ প্যারেন্টিং এর জন্য টিপসগুলোঃ
ক) এই সময়ে বাচ্চাদের অন্যতম সমস্যা স্ক্রিন আসক্তি। এই স্ক্রিন আসক্তি কমাতে কখনোই আপনার শিশুকে পুরাপুরি স্ক্রিন বিরত না রেখে আস্তে আস্তে সময় কমিয়ে আনুন। কেননা, পুরাপুরি বিরত রাখলে আপনার শিশুর উপর বিরুপ প্রভাব পড়বে। আপনাকে শিশুর মোবাইল বা টিভির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে । গবেষণায় দেখা যায় মোবাইল টেলিভিশনের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর। তাই মোবাইল বাদ দিয়ে টিভিতে কি কি দেখবে এবং কতোটা কম সময় ধরে দেখবে সেই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
খ) শিশুকে কোয়ালিটি সময় দেয়ার চেষ্টা করুন। এই সময়ে তার সাথে খেলুন ও তার মতো করে আড্ডা দিন, যাতে সে স্ক্রিন বাদ দিয়ে আাপনার সাথে বেশী সময় কাটায়। তাকে নিয়ে পরিকল্পনা করে বিভিন্ন ঘরোয়া খেলাধূলাও করতে পারেন।
গ) নিচের নয়টি বাক্য আপনার বাচ্চাকে প্রতিদিন বলবেন, আাপনি এই বাক্যগুলো আপনার পরিবারের সবাইকে বলতে উৎসাহিত করতে পারেন;
১) ' আমি তোমাকে ভালোবাসি ', এই বাক্যটি যতবার সম্ভব হয়,ততবারই বলুন। এতে করে বাচ্চাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে, আপনারও প্রশান্তি লাগবে।
২) ' আমি তোমাকে খুব পছন্দ করি যখন তুমি.. .. .. ভালো কোন আচরণ করলেই এটা বলবেন, যাতে করে তার মধ্যে ইতিবাচক কিছু করার মানসিকতা বৃদ্ধি পায়।
৩) ' তুমি আমাকে সুখি করেছ '- এই বাক্যটি বললে আপনার বাচ্চা নিজেকে গুরুত্বপূর্ন মনে করবে।
৪) ' আমি তোমাকে নিয়ে গর্বিত কারন .. .. ...... তাদের শুনাতে হবে তারা কি কি ভালো কাজ করছে, যদিও সেটা খুব অল্প হয়।
৫) ' তুমি আমার কাছে স্পেশাল বাচ্চা '- বাচ্চা বুঝতে পারবে,তাদের স্বতন্ত্রতা আপনার কাছে স্পেশাল।
৬) ' আমি তোমার উপর আস্থা রাখি '- তার মধ্যে বিশ্বাষের ভিত্তি স্থাপন করা, যাতে সে সৎ ব্যক্তি হিসাবে গড়ে উঠতে পারে।
৭) ' আমি তোমাকে বিশ্বাষ করি '- এই বাক্যের মাধ্যমে তাদের বোঝানো তারা কতটা গুরুত্বপূৃর্ন।
৮) ' আমি জানি তুমি চাইলেই এটি করতে পারবে '- এই বাক্যের মাধ্যমে তাদের কোন কাজে লেগে থাকার আগ্রহী করে তোলা যাতে তারা অল্পতেই ছেড়ে না দেয়।
৯) 'আমি তোমার জন্য কৃতজ্ঞ '- এটার মাধ্যমে তাদের সারাদিন সুন্দর কাটবে ও মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকবে।
ঘ) অবশ্যই বাচ্চাকে কোন ধরনের মানসিক ( তুলনা করা, বকা বকি করা, নেতিবাচক কথা বলা) এবং শারীরিক নির্যাতন করবেন না।
ঙ) বাচ্চার আবেগগুলো প্রকাশ করতে দিন যেমন- তার মন খারাপ লাগলে কি কারনে মন খারাপ লাগছে শুনুন, তার আনন্দ লাগলে কি কারনে আনন্দ লাগছে শুনুন, রাগ হলে কি কারনে রাগ লাগছেইত্যাদি। অবশ্যই তাকে দোষ দেয়া যাবে না।
চ) নিজের রাগ, ডিপ্রেশন, টেনশনসহ সকল নেতিবাচক আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন । নিজে না পারলে সাইকোলজিক্যাল চিকিৎসা নিন।
লেখকঃ
জিয়ানুর কবির
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিষ্ট
বি-এস.সি (অনার্স), সাইকোলজি
পিজিটি (সাইকোথেরাপি)
এম.এস ও এম.ফিল (ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি)।
কল্যাণ মানসিক হাসপাতাল
দক্ষিণ কল্যানপুর,মিরপুর রোড, ঢাকা
ফোন নম্বর:০১৭৪৮৭৮৭৮২৩
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/jianur.kabir