এক. ভালবাসা ও বন্ধুত্ব
আপনার সন্তানকে তার প্রতি আপনার ভালবাসা বুঝতে দিন।তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন।তার যেকোন সমস্যা সমাধানে সাহায্য করুন।
দুই ,অনুভূতি প্রকাশ ঃ
আপনার সন্তানকে তার অনুভূতি প্রকাশ করার সুযোগ দিন। তার আবেগ অনুভূতির প্রতি গুরুত্ব দিন।
তিন.প্রশংসা ও আলোচনা
সন্তানের ভাল কাজগুলোর প্রশংসা করুন।তাকে আলাপ আলোচনায় উৎসাহিত করুন।
চার.কথা শোনা
আপনার সন্তান কি বলতে চায় তা মনোযোগ দিয়ে শুনুন।তাকে পর্যাপ্ত সময় দিন তার কথা শোনার জন্য।
পাঁচ. ধৈর্য
ধৈর্য ধরে থাকুন।সন্তানকে তার চাহিদা অনুযায়ী বেড়ে উঠার সুযোগ দিন।তাড়াহুড়ো করবেন না।তাকে বকাঝকা ও মারধর করবেন না কিংবা অন্যদের সাথে তুলনা করবেন না।এতে তার মধ্যে হীনমন্যতা তৈরি হবে।
ছয় .ভয় দেখানো
সন্তানকে কখনো ভয় দেখিয়ে কাজ আদায় করবেন না।এতে তার সাথে আপনার দূরত্ব তৈরি হবে।
সাত উপযুক্ত পরিবেশ
সন্তানের বেড়ে উঠার জন্য ও আত্মবিশ্বাসী হওয়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করুন।ঘরে তার সামনে স্বামী স্ত্রী ঝগড়া করবেন না।এতে তার মনে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হবে ও মানসিক বিকাশ ব্যহত হবে।তার বাধা নিষেধের একটি সীমানা করে দিন।
আট, খেলাধুলা ও শরীরচর্চা
সন্তানের হাতে মোবাইল না দিয়ে তাকে খেলাধুলা ও শরীরচর্চায় উৎসাহিত করুন।তাকে জিমে ভর্তি করুন,কারাতে শেখার স্কুলে দিন।
নয়. আচরণের পরিবর্তন
তার আচার আচরণের দিকে খেয়াল রাখুন।বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ ও লক্ষনের ব্যাপারে খেয়াল রাখুন।
দশ. মানসিক বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ
প্রয়োজনবোধে মানসিক বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিন।এ বিষয়ে কোনরকম দ্বিধা বা সংকোচ করবেন না।
ডাঃ ফাতেমা জোহরা
MBBS(DU), MD Psychiatry (BSMMU), FMD(USTC), DHMS(BD)
মনোরোগ, যৌনরোগ ও মাদকাসক্তি নিরাময় বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক
মানসিক রোগ বিভাগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ