হৃদরোগের অন্যতম লক্ষণ হলো বুকের প্রচণ্ড ব্যথা /হাত ব্যাথা(কেকে' সাহেবের এটা হচ্ছিল কয়েকদিন যাবৎ)/শরীর ঘামা/ অল্প পরিশ্রমে হয়রান হওয়া।
এ ধরনের ব্যথা খুবই তীব্রতর হয়। অনেকেই বুকের এমন ব্যথাকে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ভেবে ভুল করেন, যা হতে পারে বিপজ্জনক। হার্টের ব্যথাকে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা মনে করায় অনেকের হৃদরোগ দেরিতে শনাক্ত করা হয়। ফলে হার্টের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
বুকে তীব্র ব্যথা হলেই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তা ছোটদের হোক বা বড়দের। হৃদরোগ যে কোনো বয়সেই হতে পারে ।’
‘হার্টের সমস্যায় বুকের ব্যথাকে অনেকেই গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা বলে ভুল করেন, যা আরও বিপদ বাড়িয়ে দেয়। এ ধরনের ব্যথা খুবই তীব্র হয়। একনাগাড়ে ব্যথা হয়। যা সহজে কমে না। অনেক সময় ভয় পাওয়ায় রোগীর হার্ট অ্যাটাক ঘটে থাকে।’
যদি কোনো কাজের সময় ব্যথা হয় আবার বিশ্রাম নিলে কমে যায়, এমন অবস্থা বেশ সমস্যার। এ রকম অবস্থায় সাধারণত রক্তনালীতে অর্থাৎ করনারি আর্টারিগুলো সংকুচিত হয়ে যেতে পারে।
এক্ষেত্রে বুকে ব্যথা বা বুকে চাপ বা ভারী রাখতে হবে। সেটা বাম পাশে বা ডান পাশে হোক বা মাঝখানে যে কোনো জায়গায় হতে পারে। এ রকম অবস্থায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তখন ধরে নেওয়া হয় ব্যথাটা হৃদরোগের কারণে হতে পারে।
কিছু উপসর্গ আছে, যা দেখলে বুঝতে হবে তা নিশ্চয়ই হার্টের কোনো সমস্যার কারণে হচ্ছে ও রোগী হার্ট অ্যাটাকের দিকে যাচ্ছে। যেমন-
> হার্টের সমস্যার কারণে ব্যথা হলে তা বুকের একেবারে মাঝখানে চাপ ধরা ব্যথা বা বুকের মধ্যে কিছু চেপে আছে এমনটি মনে হবে।
>> হাঁটলে বা সিঁড়ি ভাঙলে বুকের এই চাপ ধরা ভাব বেড়ে যাবে।
>> ব্যথা ধীরে ধীরে চোয়াল, ঘাড় বা পিঠের দিকে চলে যেতে পারে। একে বলে অ্যানজাইনাল পেইন।
>> শরীর প্রচণ্ড ঘেমে যাবে।
>> কোনো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
>> রাতে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে যাওয়া।
>> মুখের রং ফ্যাকাসে বা কালচে হয়ে যেতে পারে।
>> ক্রমান্বয়ে হাত-পা ঠান্ডা হতে পারে
>> এ ধরনের ব্যথা ২০-২৫ মিনিটের মতো স্থায়ী হতে পারে।
এমনটি হলে দ্রুত কী করণীয়?
‘ঘরে সব সময় অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট রাখা উচিত। বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হলে মোট ৩০০ মিলিগ্রামের (৭৫ গ্রামের ৪টি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট) একসঙ্গে পানিতে গুলে বা চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। এতে হার্ট অ্যাটাক থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি ৪০-৫০ শতাংশ কমে যাবে।
আর হার্ট অ্যাটাক হলে ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে সঠিক চিকিৎসা দিলেই রোগী ভালো হয়ে যায়। এর আগে ইসিজি, রক্ত পরীক্ষা, ইকোকার্ডিওগ্রাম, ট্রপনিন-আইসহ বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে হৃদরোগের সমস্যাগুলো সম্পর্কে জানা যাবে।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/ডা-অনির্বাণ-মোদক-পূজন-106765094929779
লেখক
ডা: অনির্বাণ মোদক পূজন
এমবিবিএস,বিসিএস(স্বাস্থ্য-রিকমেন্ডেড) ডি-কার্ড (বিএসএমএমইউ,ঢাকা)
এমএসিপি (আমেরিকা), ডিএমইউ(আল্ট্রা)
কনসালটেন্ট -কার্ডিওলজি।
জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
হৃদরোগ, বাতজ্বর ও উচ্চ রক্তচাপ রোগ বিশেষজ্ঞ
চেম্বার :
মাধবপুর মা-মনি হাসপাতাল
হাজী রুপু মিয়া ভবন (সেমকো ফিলিং ষ্টেশনের বিপরীতে)
মাধবপুর, পৌরসভা, হবিগন্জ্ঞা।
তথ্য,সেবা,সিরিয়াল:
০১৭০৫৪৭৬৭২৫,০১৭০৫৪৭৬৭২৪,০১৭০৫- ৪৭৬৭২৬.
রোগী দেখার সময়:
প্রতি বুধবার সকাল ৯.০০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/ডা-অনির্বাণ-মোদক-পূজন-106765094929779