উপরের দুইটা লাইন অনেক মা-বাবার মুখেই শোনা যায়। কেউ বলেন আমার বেবি ফ্রুটস খেতে চায় না, কি করি বলেন তো। আবার কেউ বলেন আমার বেবি শাকসব্জি খেতে চায় না, কি করি বলেন তো। হ্যা আপনাদের জন্য এই বিষয়ে কথা বলতে আজ আপনাদের সাথে আছি আমি পুষ্টিবিদ মোঃ ইকবাল হোসেন।
বাচ্চা ফ্রুটস বা শাকসব্জি খেতে চায় না, এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারন নেই। তবে দুইটাই যদি খেতে না চায় সেক্ষেত্রে অবশ্য একটু টেনশন করতে পারেন।
সমাধান কি?
সমাধান পেতে হলে আপনাকে প্রথমেই জানতে হবে যে আপনি কেন বাচ্চাকে ফ্রুটস বা শাকসব্জি খাওয়াবেন। আমরা প্রতিদিন যে খাবারগুলো খায়, তার পিছনে নিশ্চয় একটা উদ্দেশ্য আছে। আমরা তো শুধু পেট ভরানোর জন্য খায় না, তাই না? প্রতিটা খাবারের নির্দিষ্ট কিছু গুনাগুন আছে। সেই গুনাগুন বিচার করেই আমরা খাবার খায় বা খাওয়া উচিৎ।
শাকসব্জি & ফলমুল আমরা কেন খাই?
শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলস এর চাহিদা মেটাতে আমরা শাকসব্জি এবং ফলমুল খেয়ে থাকি এবং আমাদের বাচ্চাদেরও খাওয়ানোর চেষ্টা করি। ঠিক যেমনটা কার্বোহাইড্রেট এর চাহিদা মেটাতে ভাত/রুটি/মুড়ি, প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মাছ/মাংস/ডিম/ডাল এবং ফ্যাটের চাহিদা মেটাতে ঘি/মাখন/তেল/চর্বি খেয়ে থাকি। ঠিক তেমনি ভিটামিন এবং মিনারেলস এর চাহিদা মেটাতে আমরা শাকসব্জি এবং ফ্রুটস খেয়ে থাকি। সবধরনের ভিটামিন এবং মিনারেলস এর গুড সোর্স হচ্ছে শাকসবজি এবং ফ্রুটস।
এবার আসি মুল কথায়..
শাকসবজি তে যে যে ভিটামিন এবং মিনারেলস পাওয়া যায়, ঠিক ফ্রুটসেও সেইম ভিটামিন বা মিনারেলস পাওয়া যায়। কিছুটা পার্থক্য নিশ্চয় আছে, তবে সেটা এভোয়েড করা যায়। হয়ত ফ্রুটসে একটু বেশি এন্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, শাকসবজিতে একটু কম পাওয়া যায়। হয়ত কিছু ভিটামিন বা মিনারেলস শাকসবজিতে একটু বেশি পাওয়া যায় আর ফ্রুটসে একটু কম। জাস্ট ১৯-২০ টাইপের ব্যাপার।
এখন যে বাচ্চা ফ্রুটস খেতে চায় না, তাকে শাকসব্জি খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। আর যে বাচ্চা শাকসব্জি খেতে চায় না তাকে ফ্রুটস খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। একটা না একটা বাচ্চা অবশ্যই খাবে। যে শাকসবজি বেশি খাবে তার ফ্রুটস এর অভাব পুরন হবে আর যে, ফ্রুটস বেশি খাবে তার শাকসব্জির অভাব পুরন হবে। তবে হ্যা, ধীরে ধীরে বাচ্চাকে অবশ্যই দুইটাতেই অভ্যস্ত করতে হবে। বাচ্চা কি পরিমানে শাকসব্জি ও ফলমুল খাবে সেটা বাচ্চার ওজন এবং উচ্চতার উপরে নির্ভর করবে। খেতে পছন্দ করে বলে অতিরিক্ত না খাওয়ানোই উচিৎ।
একটা উদাহরন দিই...
একজন পুর্নবয়স্ক মানুষের শাকসব্জি এবং ফ্রুটস মিলিয়ে ৪০০ গ্রাম খেলেই শরীরের ভিটামিন এবং মিনারেলস এর চাহিদা পুরন হয়ে যায়। এখন কেউ যদি মনেকরে যে, যে ফ্রুটস খাবে না শুধু ৪০০ গ্রাম শাকসব্জিই খাবে, কোন প্রব্লেম নাই। এতেই তার শরীরের চাহিদা মিটে যাবে। আবার কেউ যদি মনেকরে যে, যে শাকসব্জি খাবে না শুধু ৪০০ গ্রাম ফ্রুটসই খাবে, তাতেও কোন প্রব্লেম নাই। এতেই তার শরীরের চাহিদা মিটে যাবে। তবে প্রতিদিন মিনিমাম ৪০-৫০ গ্রাম ফ্রুটস খেতে পারলে খুব ভাল হয়। এটা জরুরী।
শাকসব্জি রান্না করে খেতে হয়, তাতে কিছু পুষ্টিগুন নষ্ট হয়, কিন্তু ফ্রুটস সরাসরি খাওয়া হয়। তাই বলা যায় যে ফ্রুটস থেকে একটু বেশিই নিউট্রিয়েন্ট পাওয়া যায়।
আমি এই লেখাটা লিখেছি তাদের জন্য, যাদের বাচ্চারা কেউ হয়ত ফ্রুটস বা কেউ হয়ত শাকসব্জি খেতে অনিহা প্রকাশ করে। যাদের বাচ্চারা সেচ্ছায় উভয়ই খায়, তাদের জন্য নয়।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/Nutritionist.Iqbal
পুষ্টিবিদ মোঃ ইকবাল হোসেন
বিএসসি (সম্মান), এমএসসি (প্রথম শ্রেণী)
(ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি)
পুষ্টি কর্মকর্তা
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
জাকির হোসেন রোড, খুলশি।
চট্টগ্রাম।
চেম্বারঃ সার্জিস্কোপ হাসপাতাল, ইউনিট-২,
কাতালগঞ্জ, চট্টগ্রাম।
প্রতিদিন সন্ধ্যা ৫ঃ৩০-৮ঃ০০ টা
চেম্বারঃ হাটহাজারী ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার,
হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
প্রতি বুধবার বিকাল ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত।
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/Nutritionist.Iqbal
উপরের দুইটা লাইন অনেক মা-বাবার মুখেই শোনা যায়। কেউ বলেন আমার বেবি ফ্রুটস খেতে চায় না, কি করি বলেন তো। আবার কেউ বলেন আমার বেবি শাকসব্জি খেতে চায় না, কি করি বলেন তো। হ্যাঁ আপনাদের জন্য এই বিষয়ে কথা বলতে আজ আপনাদের সাথে আছি আমি পুষ্টিবিদ মোঃ ইকবাল হোসেন।
বাচ্চা ফ্রুটস বা শাকসব্জি খেতে চায় না, এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারন নেই। তবে দুইটাই যদি খেতে না চায় সেক্ষেত্রে অবশ্য একটু টেনশন করতে পারেন।
সমাধান কি?
সমাধান পেতে হলে আপনাকে প্রথমেই জানতে হবে যে আপনি কেন বাচ্চাকে ফ্রুটস বা শাকসব্জি খাওয়াবেন। আমরা প্রতিদিন যে খাবারগুলো খায়, তার পিছনে নিশ্চয় একটা উদ্দেশ্য আছে। আমরা তো শুধু পেট ভরানোর জন্য খায় না, তাই না? প্রতিটা খাবারের নির্দিষ্ট কিছু গুনাগুন আছে। সেই গুনাগুন বিচার করেই আমরা খাবার খায় বা খাওয়া উচিৎ।
শাকসব্জি & ফলমূল আমরা কেন খাই?
শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলস এর চাহিদা মেটাতে আমরা শাকসব্জি এবং ফলমূল খেয়ে থাকি এবং আমাদের বাচ্চাদেরও খাওয়ানোর চেষ্টা করি। ঠিক যেমনটা কার্বোহাইড্রেট এর চাহিদা মেটাতে ভাত/রুটি/মুড়ি, প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মাছ/মাংস/ডিম/ডাল এবং ফ্যাটের চাহিদা মেটাতে ঘি/মাখন/তেল/চর্বি খেয়ে থাকি। ঠিক তেমনি ভিটামিন এবং মিনারেলস এর চাহিদা মেটাতে আমরা শাকসব্জি এবং ফ্রুটস খেয়ে থাকি। সবধরনের ভিটামিন এবং মিনারেলস এর গুড সোর্স হচ্ছে শাকসবজি এবং ফ্রুটস।
এবার আসি মুল কথায়..
শাকসবজি তে যে যে ভিটামিন এবং মিনারেলস পাওয়া যায়, ঠিক ফ্রুটসেও সেইম ভিটামিন বা মিনারেলস পাওয়া যায়। কিছুটা পার্থক্য নিশ্চয় আছে, তবে সেটা এভোয়েড করা যায়। হয়ত ফ্রুটসে একটু বেশি এন্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, শাকসবজিতে একটু কম পাওয়া যায়। হয়ত কিছু ভিটামিন বা মিনারেলস শাকসবজিতে একটু বেশি পাওয়া যায় আর ফ্রুটসে একটু কম। জাস্ট ১৯-২০ টাইপের ব্যাপার।
এখন যে বাচ্চা ফ্রুটস খেতে চায় না, তাকে শাকসব্জি খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। আর যে বাচ্চা শাকসব্জি খেতে চায় না তাকে ফ্রুটস খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। একটা না একটা বাচ্চা অবশ্যই খাবে। যে শাকসবজি বেশি খাবে তার ফ্রুটস এর অভাব পুরন হবে আর যে, ফ্রুটস বেশি খাবে তার শাকসব্জির অভাব পুরন হবে। তবে হ্যা, ধীরে ধীরে বাচ্চাকে অবশ্যই দুইটাতেই অভ্যস্ত করতে হবে। বাচ্চা কি পরিমানে শাকসব্জি ও ফলমূল খাবে সেটা বাচ্চার ওজন এবং উচ্চতার উপরে নির্ভর করবে । খেতে পছন্দ করে বলে অতিরিক্ত না খাওয়ানোই উচিৎ।
একটা উদাহরন দিই...
একজন পুর্নবয়স্ক মানুষের শাকসব্জি এবং ফ্রুটস মিলিয়ে ৪০০ গ্রাম খেলেই শরীরের ভিটামিন এবং মিনারেলস এর চাহিদা পুরন হয়ে যায়। এখন কেউ যদি মনেকরে যে, যে ফ্রুটস খাবে না শুধু ৪০০ গ্রাম শাকসব্জিই খাবে, কোন প্রব্লেম নাই। এতেই তার শরীরের চাহিদা মিটে যাবে। আবার কেউ যদি মনেকরে যে, যে শাকসব্জি খাবে না শুধু ৪০০ গ্রাম ফ্রুটসই খাবে, তাতেও কোন প্রব্লেম নাই। এতেই তার শরীরের চাহিদা মিটে যাবে। তবে প্রতিদিন মিনিমাম ৪০-৫০ গ্রাম ফ্রুটস খেতে পারলে খুব ভাল হয়। এটা জরুরী।
শাকসব্জি রান্না করে খেতে হয়, তাতে কিছু পুষ্টিগুন নষ্ট হয়, কিন্তু ফ্রুটস সরাসরি খাওয়া হয়। তাই বলা যায় যে ফ্রুটস থেকে একটু বেশিই নিউট্রিয়েন্ট পাওয়া যায়।
আমি এই লেখাটা লিখেছি তাদের জন্য, যাদের বাচ্চারা কেউ হয়ত ফ্রুটস বা কেউ হয়ত শাকসব্জি খেতে অনিহা প্রকাশ করে। যাদের বাচ্চারা সেচ্ছায় উভয়ই খায়, তাদের জন্য নয়।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/Nutritionist.Iqbal
পুষ্টিবিদ মোঃ ইকবাল হোসেন
বিএসসি (সম্মান), এমএসসি (প্রথম শ্রেণী)
(ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি)
পুষ্টি কর্মকর্তা
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
জাকির হোসেন রোড, খুলশি।
চট্টগ্রাম।
চেম্বারঃ সার্জিস্কোপ হাসপাতাল, ইউনিট-২,
কাতালগঞ্জ, চট্টগ্রাম।
প্রতিদিন সন্ধ্যা ৫ঃ৩০-৮ঃ০০ টা
চেম্বারঃ হাটহাজারী ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার,
হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
প্রতি বুধবার বিকাল ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত।
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/Nutritionist.Iqbal