এই সিন্ড্রোম টা কি মোটামুটি সবাই জানি আমরা!
কেমন হবে এই বেবিদের খাবার? আর সব শিশুর মতোই কি হবে ডাউন্স দের খাদ্য তালিকা?
এই প্রশ্ন অনেকেই করেন.....
চলুন আজ উত্তর খুজি নিচের লেখায়!
কিছু কিছু গবেষণা বলছে downs বেবি দের একটু বাড়তি ওজনের জন্য দায়ী করছে leptin hormone কে।
এই হরমোন আমাদের ক্ষুধা কে নিয়ন্ত্রন করে।কিছু কিছু ডাটা দেখাচ্ছে যে এই হরমোন ডাউন্স সিন্ড্রোমিক চাইল্ড দের বেড়ে যাওয়ার কারনে তাদের এই ক্ষুধার নিয়ন্ত্রন থাকে না যা অবেসিটির ঝুকিতে ফেলে দেয়।
এছাড়াও ডাউন্স দের মধ্যে type 2 diabetes এবং cardiovascular disease হওয়ার একটা চান্স বেশি থাকে।
এছাড়াও এই শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায়
প্রায় ঠান্ডা কাশি সর্দি লেগে থাকে।
যেহেতু উপরের বর্নিত সমস্যা গুলো একটা ফ্যাক্ট তাই আমরা এটাকে ইগ্নোর করতে পারবো না কিন্তু ডাউন্স দের অভিভাবক রা হয়তো ভাবেন আচ্ছা এই সমস্যা ত ওর হবেই তাই খাবার নিয়ন্ত্রন করে লাভ নেই।
তাছাড়া অন্য সব ডিজ অ্যাবিলিটির ক্ষেত্রে বাচ্চাকে খাওয়ানো টা একটা চ্যালেঞ্জ থাকে সেখানে ডাউন্স বেবিরা উলটো খাবার খুজে বের করে খেয়ে নেয়। কারন স্বভাবে ডাউন্স রা একটু ভোজনপটু হয় এবং ওরা আশেপাশের মানুষের কাছ থেকে দেখে শিখে বা অনুকরণ করে। দেখবেন খুব অল্প বয়সেই বড় দের মতো খাবার বাছাই করে নিজের মত করে খেতে চায়।
যেহেতু ডাউন্স দের কিছু শারীরিক চ্যালেঞ্জ জন্ম থেকেই চলে আসে তাই প্রথম থেকে খাবার নিয়ন্ত্রন করাটা প্রয়োজন। একটু মুটিয়ে যাওয়া আর খাবারের কারনে ওজন বাড়া ভিন্ন।
তাই খেয়াল রাখতে হবে -
১. চাহিদার তুলনায় বেশি খাবার যেনো না খায়। বয়স অনুযায়ী যতটুকু দরকার
২. প্রোটিনের অনেক উৎস থেকে নয়, একটি বা দুটি উৎস থেকে খাবার নিবে সারাদিনে।একবার মাছ খেলে মাংস বা মুরগি নাই।আবার ডিম খেলে সাথে ডাল না , এভাবে।
৩. যেহেতু শারীরিক পরিশ্রম কম করে তাই শর্করা খাদ্য গ্রহন কম রাখতে হবে। ভাত খেলে মাপ বুঝে,রুটি খেলে কয়টা খাবে, তেলে বা ঘিয়ে ভাজা পরটা না।
৪.সাদা চিনি কোন খাবার না তাই এই সরল শর্করা কে খাবার থেকে বাদ দেয়াই শ্রেয়।
৫. মিষ্টি জাতীয় খাবারে প্রচুর ক্যালরি এবং ঘনত্বে সহজপাচ্য হওয়ায় অনেক বেশি খাওয়া যায়। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে ১ দিন দেয়া যায় বা দুই দিন।
৬.খাবারের যে একটা মাপ আছে সেটা বুঝিয়ে দিতে হবে। এইটুকু খাবার আমার এরপর আর নেই এভাবে বুঝিয়ে খাওয়ালে খাবারের ক্রেভিং টা কমে।
৭. থাইরয়েড হরমোন লেভেল ঠিক আছে কিনা একবার চেক আপ করিয়ে নিতে হবে । এর সাথে খাবারের একটা কানেকশন আছে।
৮. খুব পরিশ্রমের কাজ না করিয়ে হাল্কা কাজে বডির মাসেল গুলো কে এক্টিভ রাখতে হবে।
৯. সৃজনশীল কাজে ( কোন কিছু বানানো) ব্যস্ত রাখতে হবে যাতে বসে থাকতে না পারে।কাজ নেই কি করবো এই ধরনের পরিস্থিতি তেও সাভাবিক মানুষ রা ও খাবার খুজে।
১০. গান পছন্দ করে ডাউন্স রা তাই গানের তালে নাচ বা নাচের মুভমেন্ট করানো যেতে পারে, এতে করে হাল্কা ব্যায়াম হয়ে যাবে।।।
আশা করি প্রশ্নের উত্তর টা এতোক্ষনে পেয়ে গেছেন। আমাদের আশেপাশে অনেক ডাউন্স বেবি আছে। এই লেখা টা তাই শেয়ার দিয়ে জানার সুযোগ করে দিন।
অনেক অভিভাবক ই হয়তো জানেন না এই বাচ্চা গুলোরজন্য প্রয়োজন হতে পারে ডায়েট ম্যানেজমেন্ট। অনেকেই ভাবেন ডায়েট ম্যানেজমেন্ট মানে খাবার সব বন্ধ কিচ্ছু নাই। আসলে তা নয়। একজন বাচ্চার সমস্যা অনুযায়ী তার জন্য ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ডায়েট ম্যানেজমেন্ট হয়। এর ভেতর খাবার,কাউন্সেলিং, রেকর্ড, হিস্ট্রি অনেক কিছুই থাকে।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/নিউট্রিশনিস্ট-সুমাইয়া-সিরাজী-102934114426153
লেখক
নিউট্রিশনিস্ট সুমাইয়া সিরাজী
Bsc (Hon's) Msc (food & Nutrition)
CND (BIRDEM), CCND (BADN)
Trained on Special Child Nutrition
Consultant Dietitian (Ex)
Samorita Hospital
Mobile:
01750-765578,017678-377442
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/নিউট্রিশনিস্ট-সুমাইয়া-সিরাজী-102934114426153