কর্মজীবি অনেকেই আছেন যাদের অফিসে পৌঁছে হালকা ক্ষুধায় এটা ওটা বিশেষ করে বাইরের সিংগারা, সামুচা সাথে এক কাপ দুধ চা না খেলেই নয়। নিজেকে সুস্থ রাখতে সঠিক সময়ে সঠিক খাবার গ্রহণের বিকল্প নেই। তাই সকালের নাস্তা খাবার পরে অফিসে পৌঁছে মধ্যসকালেও অর্থাৎ (১০.৩০-১১.০০) এর মধ্যে বেছে নিতে হবে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার।
কি খাবো ??
মধ্যসকালে (১০.৩০-১১.০০) ফল হতে পারে একটি স্বাস্থ্যকর অপশন। সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন ফল খাওয়া জরুরি।
কেন খাবো ??
ফলে থাকা ভিটামিন (বিশেষ করে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি), মিনারেল (বিশেষ করে পটাসিয়াম), অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার মানব শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানোর জন্য ফল অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়াও ব্লাড সুগার, খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে , পুষ্টি ঘাটতি দূরীকরণে, শরীরকে বিষমুক্ত করণে, ওজন কমানোর মতন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে ফল।
কি পরিমাণে খাবো ??
বয়স এবং অবস্থাভেদে ফল গ্রহণের পরিমাণ ভিন্ন হবে তবে একজন সুস্থ মানুষের দৈহিক সুস্থতার জন্য প্রতিদিন ১৫০-২০০ গ্রাম ফল খাওয়া জরুরি। একটি ছোট টেনিস বল এর সমান একটি ফলকে আনুমানিক ৮০ গ্রাম ধরা হয়। সেই অনুযায়ী প্রতিদিন ৮০ গ্রাম পরিমাণ হিসেবে দুটি ফল খাওয়া উত্তম। সম্ভব না হলে অন্তত একটি অবশ্যই খাবেন।
কোন কোন ফল খাবো ??
ফলের দেশ বাংলাদেশ। সারা বছর ধরে যেসব ফল পাওয়া যায় এবং মৌসুমি ফলের সময়টিতে যে কোন একটি বা দুটি দেশি ফল অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে অনায়াসেই। সেই সাথে দৈনন্দিন একটি বা সঠিক পরিমাণে টক জাতীয় ফল গ্রহণ আপনাকে সুস্থ রাখবে সারা বছর।
কিছু সতর্কবার্তা --------
ডায়াবেটিক পেশেন্ট আম, কলা, কাঁঠাল খেতে পারবেন তবে আপনার জন্য সঠিক পরিমাণ এবং খাওয়ার নিয়মটি জেনে নিবেন একজন পুষ্টবিদের কাছ থেকে। এছাড়া যাদের অ্যাসিটিডির সমস্যা আছে তারা একেবারে খালি পেটে টক ফল না খেয়ে দুটি মিলের মধ্যবর্তী সময়ে খাবেন।
লেখক
পুষ্টিবিদ মুনিয়া মৌরিন মুমু
নিউট্রিশনিস্ট, বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস (উত্তরা ব্রাঞ্চ)
এক্স-ডায়েটিশিয়ান, ভাইবস হেল্থ কেয়ার বাংলাদেশ এবং বেক্সিমকো ফার্মা ডায়েট কেয়ার ডিভিশন
www.facebook.com/NutritionistMonia